০৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরণার্থীদের ফিরিয়ে দিতে অসহযোগিতা করলে সেসব দে‌শের ভিসা ও অ্যাসাইলাম বা‌তিল কর‌বে ব্রি‌টেন।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১
  • 18

যেসব দেশ শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে অসহযোগিতা করবে, সেসব দেশের নাগরিকদের জন্য ইউকের ভিসা ব্লক করা হতে পারে।

ব্রিটিশ হোম সেক্রেটারি প্রীতি প্যাটেল ও ভবিষ্যত স্বরাষ্ট্রসচিবরা এমনসব দেশের অ্যাসাইলাম আবেদন বাতিল বা বিলম্বিত করার ক্ষমতা রাখেন, যেসব দেশে নিজদের শরণার্থী ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

জাতীয়তা ও সীমান্ত বিলের ধারাটি স্বরাষ্ট্রসচিবকে ভিসা আবেদনের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক প্রয়োজনীয়তা আরোপের অনুমতি দেয় অর্থাৎ দেশগুলি সহযোগিতা না করেলে ভিসা ফি বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ প্রস্তাবটি যেন মার্কিন ইমিগ্রেশন আইনেরই একটি প্রতিবিম্ব। এর মাধম্যে যেসব রাষ্ট্র তাদের শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে অস্বকৃতি জানিয়েছে তাদের ভিসা রূটগুলো প্রত্যাহার করতে দেয় কর্তৃপক্ষ।

হোম অফিসের এই প্রস্তাবের গুরুত্বপূর্ণ দিক:

১. অবৈধ পথে যুক্তরাজ্যে আগতরা বৈধ পথে আগতদের মতো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবেন না। যদি তাদের আবেদন গ্রহণ করাও হয় তবে তাদেরকে অস্থায়ী রিফিউজি স্টেটাস দেওয়া হবে এবং অপসারণের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য দায়বদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনার মুখোমুখি হবে।

২. অ্যাসাইলাম আবেদনকারী আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ইউকে থেকে বিতারিত হতে পারেন।

৩. যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের বেনেফিট ও পারিবারিক পুনর্মিলনের অধিকার সীমাবদ্ধ করা হবে।

৪. নির্বাচিত ব্যক্তিদের দ্রুত বিতারণের লক্ষ্যে আপিল বিভাগ ও জুডিশিয়াল কাররকলাপে পরিবর্তন আনা হব।

৫. দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে ঝুঁকিতে থাকা দুর্বল ব্যক্তিদের সাহায্য করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি এই সহায়তা পেতে পারেন।

৬. মানব পাচারকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে।

৭. ডিপোর্টেশনের নিয়ম ভাঙলে বিভিন্ন মেয়াদে জেল হতে পারে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

শরণার্থীদের ফিরিয়ে দিতে অসহযোগিতা করলে সেসব দে‌শের ভিসা ও অ্যাসাইলাম বা‌তিল কর‌বে ব্রি‌টেন।

Update Time : ০৬:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১

যেসব দেশ শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে অসহযোগিতা করবে, সেসব দেশের নাগরিকদের জন্য ইউকের ভিসা ব্লক করা হতে পারে।

ব্রিটিশ হোম সেক্রেটারি প্রীতি প্যাটেল ও ভবিষ্যত স্বরাষ্ট্রসচিবরা এমনসব দেশের অ্যাসাইলাম আবেদন বাতিল বা বিলম্বিত করার ক্ষমতা রাখেন, যেসব দেশে নিজদের শরণার্থী ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

জাতীয়তা ও সীমান্ত বিলের ধারাটি স্বরাষ্ট্রসচিবকে ভিসা আবেদনের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক প্রয়োজনীয়তা আরোপের অনুমতি দেয় অর্থাৎ দেশগুলি সহযোগিতা না করেলে ভিসা ফি বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ প্রস্তাবটি যেন মার্কিন ইমিগ্রেশন আইনেরই একটি প্রতিবিম্ব। এর মাধম্যে যেসব রাষ্ট্র তাদের শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে অস্বকৃতি জানিয়েছে তাদের ভিসা রূটগুলো প্রত্যাহার করতে দেয় কর্তৃপক্ষ।

হোম অফিসের এই প্রস্তাবের গুরুত্বপূর্ণ দিক:

১. অবৈধ পথে যুক্তরাজ্যে আগতরা বৈধ পথে আগতদের মতো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবেন না। যদি তাদের আবেদন গ্রহণ করাও হয় তবে তাদেরকে অস্থায়ী রিফিউজি স্টেটাস দেওয়া হবে এবং অপসারণের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য দায়বদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনার মুখোমুখি হবে।

২. অ্যাসাইলাম আবেদনকারী আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ইউকে থেকে বিতারিত হতে পারেন।

৩. যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের বেনেফিট ও পারিবারিক পুনর্মিলনের অধিকার সীমাবদ্ধ করা হবে।

৪. নির্বাচিত ব্যক্তিদের দ্রুত বিতারণের লক্ষ্যে আপিল বিভাগ ও জুডিশিয়াল কাররকলাপে পরিবর্তন আনা হব।

৫. দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে ঝুঁকিতে থাকা দুর্বল ব্যক্তিদের সাহায্য করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি এই সহায়তা পেতে পারেন।

৬. মানব পাচারকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে।

৭. ডিপোর্টেশনের নিয়ম ভাঙলে বিভিন্ন মেয়াদে জেল হতে পারে।