শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা, সময়টা যেমনই হোক না কেন বাজারজুড়ে সারা বছর চলে চৈত্রের খরতাপ। তাতে পুড়ে অঙ্গার ক্রেতা-বিক্রেতারা। এর মাঝে দমকা হাওয়ার মতো কিছুটা সুবাতাস বইল সয়াবিনের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমানোর খবরে। তবে দমকা হাওয়ার দমক এখনো কাজে আসেনি। বাজারে নেই নতুন দরের তেল।
বিশ্ববাজারের জন্য নয় বরং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তক্ষেপে কমলো বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) থেকে বাজারে সুলভে পাওয়ার কথা থাকলেও মিলছে পুরনো দামের বোতল। খোঁজ নেই নতুন দরের বোতলের।
বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে পাগলপারা অবস্থা হয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর। রাতের আঁধারে বাজারে আসে নতুন দরের তেল। অথচ কমার খবরে ঘুম ভাঙেনা তাদের।
এদিকে বিশ্ববাজারে পড়তির দিকে থাকা সয়াবিনের দরের বিপরীতে দেশের বাজারের চিত্র ভয়াবহ। লাভের অংকের হিসেব সয়াবিনের প্রতিটি ফোঁটায় ক্রেতা থেকে আদায় করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
আধুনিক কাবুলিওয়ালাদের সুদে-আসলের এ চিত্রে কবে মিলবে স্বস্তি, তার উত্তর কারো জানা নেই। তাইতো হতাশা ঝরলো ক্রেতাদের মাঝে।
টিসিবির তথ্য বলছে, গত একবছরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ।