০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লকডাউনে যা খোলা থাকবে আর যতক্ষণ থাক‌বে।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১
  • 27

বৃহস্পতিবার থেকে অযথা ঘরের বাইরে বের হলেই আইনি ব্যবস্থা। মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনী। সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রেখে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

রিকশা ও পণ্যবাহী যান ছাড়া সব ধরনের স্বল্প ও দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ রেখে সোমবার থেকে চলছে সীমিত লকডাউন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে কার্যকর হবে কঠোর লকডাউন।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় কী কী থাকবে মঙ্গলবার রাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে তা নির্ধারণের পর বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সরকারি আদেশে কঠোর লকডাউনে বন্ধ থাকবে সব ধরনের সরকারি বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস। পুরো বন্ধ থাকবে শপিংমল ও মার্কেট। তবে খোলা থাকবে ব্যাংক ও পোশাক শিল্প কারখানা। ব্যাংকের সময়সূচি বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং শিল্পকারখানা চলবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়।

বন্ধ থাকবে অভ্যন্তরীণ বিমানসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন। জরুরি পরিষেবার আওতায় চলবে খাদ্য, ত্রাণ, স্বাস্থ্য ও নাগরিক সেবার সঙ্গে যুক্ত যানবাহন। দেশব্যাপী চালু থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক লরি কাভার্ডভ্যান। এছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকায় ভ্রমণের টিকিট দেখিয়ে গাড়ি ব্যবহার করা যাবে।

নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচাবাজার উন্মুক্ত স্থানে চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। খাবারের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা গেলেও সেখানে বসে খাওয়া যাবে না।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে, তবে টিকা কার্ড দেখিয়ে যাওয়া যাবে কেন্দ্রে।

মাঠে থাকবে সেনা, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনী। আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার বিধানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সেনা উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন। পুরো বিষয়টি তদারকি করবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

লকডাউনে যা খোলা থাকবে আর যতক্ষণ থাক‌বে।

Update Time : ০১:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১

বৃহস্পতিবার থেকে অযথা ঘরের বাইরে বের হলেই আইনি ব্যবস্থা। মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনী। সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রেখে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

রিকশা ও পণ্যবাহী যান ছাড়া সব ধরনের স্বল্প ও দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ রেখে সোমবার থেকে চলছে সীমিত লকডাউন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে কার্যকর হবে কঠোর লকডাউন।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় কী কী থাকবে মঙ্গলবার রাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে তা নির্ধারণের পর বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সরকারি আদেশে কঠোর লকডাউনে বন্ধ থাকবে সব ধরনের সরকারি বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস। পুরো বন্ধ থাকবে শপিংমল ও মার্কেট। তবে খোলা থাকবে ব্যাংক ও পোশাক শিল্প কারখানা। ব্যাংকের সময়সূচি বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং শিল্পকারখানা চলবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়।

বন্ধ থাকবে অভ্যন্তরীণ বিমানসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন। জরুরি পরিষেবার আওতায় চলবে খাদ্য, ত্রাণ, স্বাস্থ্য ও নাগরিক সেবার সঙ্গে যুক্ত যানবাহন। দেশব্যাপী চালু থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক লরি কাভার্ডভ্যান। এছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকায় ভ্রমণের টিকিট দেখিয়ে গাড়ি ব্যবহার করা যাবে।

নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচাবাজার উন্মুক্ত স্থানে চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। খাবারের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা গেলেও সেখানে বসে খাওয়া যাবে না।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে, তবে টিকা কার্ড দেখিয়ে যাওয়া যাবে কেন্দ্রে।

মাঠে থাকবে সেনা, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনী। আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার বিধানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সেনা উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন। পুরো বিষয়টি তদারকি করবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।