১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে মদ্যপ অবস্থায় তরুণী উদ্ধার, মেয়েকে দেখতে বাবার অনীহা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫৪:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
  • 16

এবার রাজধানী ঢাকায় এক তরুণী সংঘবদ্ধ খারাপকাজের শিকার হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন তবে পুলিশ বলছে ওই তরুণীর াণ অভিযোগের ভিত্তিতে তারা অনুসন্ধান করেছে তবে কিছু পাওয়া যায়নি এবং তার সাথে খারাপ কাজ হয়েছে কিনা তা ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে। ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারকৃত ওই তরুণীর দাবি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বলছে তারা কোনো আলামত পায়নি।

বুধবার ভোর ৬টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১১ নম্বর সেক্টর এলকায় রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পরে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক ইয়াসিন গাজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ওই তরুণীকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যায়। তরুণীর ভাষ্যমতে, তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসে পুলিশ। চিকিৎসকরা তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারতে (ওসিসি) ভর্তি করান বলে নিশ্চিত করেছেন তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম।

শরিফুল ইসলাম বলেন, সেখান (টংঙ্গী হাসপাতাল) থেকে ৯৯৯ ফোন পেয়ে সেখানে যায় তুরাগ থানা পুলিশ। ওই নারী অভিযোগ করেন, তাকে দুটি ছেলে তুরাগ এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। যেহেতু তুরাগ থানা এলাকার কথা বলা হয়েছে। তাই বিষয়টি তদন্ত আমাদের ওপর পরে।

তিনি বলেন, মেয়েটি সঠিকভাবে কিছুই বলছে না, পাগলামি করছে। তার অভিযোগ অনুযায়ী ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। আমরা সেই এলাকার কিছু সিসিটিভির ফুটেজ দেখেছি, সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। আশপাশের আরো ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছি।

শরিফুল ইসলাম আরো বলেন, মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা সেজন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে জানা যাবে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কি না। পুরো বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন।

উদ্ধার তরুণীর বাবা সাভার এলাকায় থাকেন। স্বামীর সঙ্গে টঙ্গী এলাকায় ওই তরুণী থাকতেন বলে জানতেন তার বাবা। খবর দেওয়া হলে মেয়েটির বাবা প্রথমে আসতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তরুণীর বাবা পুলিশকে জানান, তার মেয়ের সঙ্গে স্বামীর বনিবনা নেই। তাকে তার স্বামী নিযার্তন করতেন।

উল্লেখ্য, তরুণী সংঘবদ্ধ খারাপ কাজের শিকার হয়েছেন এই প্রসঙ্গে পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, বেশ কিছু আগে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ তরুণীকে আটক করে। সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান তার বাবা।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

রাজধানীতে মদ্যপ অবস্থায় তরুণী উদ্ধার, মেয়েকে দেখতে বাবার অনীহা

Update Time : ১২:৫৪:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

এবার রাজধানী ঢাকায় এক তরুণী সংঘবদ্ধ খারাপকাজের শিকার হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন তবে পুলিশ বলছে ওই তরুণীর াণ অভিযোগের ভিত্তিতে তারা অনুসন্ধান করেছে তবে কিছু পাওয়া যায়নি এবং তার সাথে খারাপ কাজ হয়েছে কিনা তা ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে। ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারকৃত ওই তরুণীর দাবি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বলছে তারা কোনো আলামত পায়নি।

বুধবার ভোর ৬টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১১ নম্বর সেক্টর এলকায় রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পরে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক ইয়াসিন গাজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ওই তরুণীকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যায়। তরুণীর ভাষ্যমতে, তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসে পুলিশ। চিকিৎসকরা তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারতে (ওসিসি) ভর্তি করান বলে নিশ্চিত করেছেন তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম।

শরিফুল ইসলাম বলেন, সেখান (টংঙ্গী হাসপাতাল) থেকে ৯৯৯ ফোন পেয়ে সেখানে যায় তুরাগ থানা পুলিশ। ওই নারী অভিযোগ করেন, তাকে দুটি ছেলে তুরাগ এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। যেহেতু তুরাগ থানা এলাকার কথা বলা হয়েছে। তাই বিষয়টি তদন্ত আমাদের ওপর পরে।

তিনি বলেন, মেয়েটি সঠিকভাবে কিছুই বলছে না, পাগলামি করছে। তার অভিযোগ অনুযায়ী ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। আমরা সেই এলাকার কিছু সিসিটিভির ফুটেজ দেখেছি, সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। আশপাশের আরো ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছি।

শরিফুল ইসলাম আরো বলেন, মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা সেজন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে জানা যাবে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কি না। পুরো বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন।

উদ্ধার তরুণীর বাবা সাভার এলাকায় থাকেন। স্বামীর সঙ্গে টঙ্গী এলাকায় ওই তরুণী থাকতেন বলে জানতেন তার বাবা। খবর দেওয়া হলে মেয়েটির বাবা প্রথমে আসতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তরুণীর বাবা পুলিশকে জানান, তার মেয়ের সঙ্গে স্বামীর বনিবনা নেই। তাকে তার স্বামী নিযার্তন করতেন।

উল্লেখ্য, তরুণী সংঘবদ্ধ খারাপ কাজের শিকার হয়েছেন এই প্রসঙ্গে পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, বেশ কিছু আগে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ তরুণীকে আটক করে। সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান তার বাবা।