০৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪৫:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২
  • 28

গণতন্ত্রপন্থী চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বেইজিং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না বলে জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান।

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিলিশিয়াদের সাহায্য করার অভিযোগে সোমবার ৪ গণতন্ত্রপন্থী কর্মীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। চার জনের মধ্যে একজন ছিলেন অং সাং সু চির দলের আইনপ্রণেতা।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, আমরা মিয়ানমারের জান্তা সরকারের গণতন্ত্রপন্থি কর্মী ও নির্বাচিত নেতাদের জঘন্যতম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তীব্র নিন্দা জানাই। এর মাধ্যমে একটি দেশের শাসকের সহিংস কর্মকাণ্ডের নতুন ও ভয়াবহ উদাহরণ দেখছি আমরা। এতে যে মানবাধিকার ও আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।

এছাড়া মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চীনকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের ওপর অন্যান্য দেশের চেয়েও চীন বেশি প্রভাব রাখতে পারবে বলে জানান নেড প্রাইস। বিশ্বের অন্য দেশগুলোকেও একই আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে চীন এ ঘটনাকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করে এ বিষয়ে বেইজিং হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান।

এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাপানও। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এ ঘটনা মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে বলে জানায় দেশটি। জান্তার এই পদক্ষেপকে গভীর উদ্বেগের বিষয় আখ্যা দিয়েছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি।

জাতিসংঘ থেকেও মিয়ানমার জান্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।

গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চি সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা নেয় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপর দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে মিয়ানমারের শীর্ষ নেতাসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। বেশ কয়জনকে দেয়া হয় মৃত্যুদণ্ড।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

Update Time : ০৯:৪৫:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২

গণতন্ত্রপন্থী চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বেইজিং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না বলে জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান।

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিলিশিয়াদের সাহায্য করার অভিযোগে সোমবার ৪ গণতন্ত্রপন্থী কর্মীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। চার জনের মধ্যে একজন ছিলেন অং সাং সু চির দলের আইনপ্রণেতা।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, আমরা মিয়ানমারের জান্তা সরকারের গণতন্ত্রপন্থি কর্মী ও নির্বাচিত নেতাদের জঘন্যতম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তীব্র নিন্দা জানাই। এর মাধ্যমে একটি দেশের শাসকের সহিংস কর্মকাণ্ডের নতুন ও ভয়াবহ উদাহরণ দেখছি আমরা। এতে যে মানবাধিকার ও আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।

এছাড়া মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চীনকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের ওপর অন্যান্য দেশের চেয়েও চীন বেশি প্রভাব রাখতে পারবে বলে জানান নেড প্রাইস। বিশ্বের অন্য দেশগুলোকেও একই আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে চীন এ ঘটনাকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করে এ বিষয়ে বেইজিং হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান।

এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাপানও। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এ ঘটনা মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে বলে জানায় দেশটি। জান্তার এই পদক্ষেপকে গভীর উদ্বেগের বিষয় আখ্যা দিয়েছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি।

জাতিসংঘ থেকেও মিয়ানমার জান্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।

গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চি সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা নেয় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপর দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে মিয়ানমারের শীর্ষ নেতাসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। বেশ কয়জনকে দেয়া হয় মৃত্যুদণ্ড।