১২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববাজারে কমেছে, তেলের দাম

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২
  • 19

গত দুই মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী। শনিবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৯০ ডলারেরও নিচে নেমে এসেছে, যা ৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এরপরেও আগের লোকসান মেটাতে দেশের বাজারে রেকর্ড হারে জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে সরকার। এবার এক লাফে প্রায় ৫০ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে, যা যৌক্তিক নয় বলে মত বিশ্লেষকদের।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বেশ ঊর্ধ্বমুখী ছিল জ্বালানি তেলের দাম। সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় মাত্র দুই মাস আগেও ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ছিল ১২০ ডলারের ওপরে। সাম্প্রতিক সময়ে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর উৎপাদন বেড়েছে।

বর্তমানে ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমুখী অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের বাজার। শনিবার দুপুর পর্যন্ত অপরিশোধিত তেলের প্রতি ব্যারেলের দাম ছিল প্রায় ৯৫ ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্রে সেই দর অবস্থান করছে ৯০ ডলারের নিচে। আগামী কয়েক মাসে এই দাম আরও কমে আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আন্তর্জাতিক বাজারের দামের উর্ধ্বগতিকে কারণ দেখিয়ে দেশে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ববাজারে গত এপ্রিলে ডিজেলের গড়মূল্য ছিল প্রায় ১৪৫ ডলার। জুন পর্যন্ত এর দাম বাড়লেও, জুলাই এবং আগস্টে কমতে থাকে। অকটনের দামেও একই অবস্থা। জুনে অকটেনের দাম ব্যারেল প্রতি ১৪৮ ডলারের বেশি থাকলেও, জুলাইয়ে তা নেমে আসে ১১৫ ডলারে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম ক্রমাগত কমতে থাকায় দেশে অকটেন ও পেট্রোলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বিশ্ববাজারে কমেছে, তেলের দাম

Update Time : ০৯:৪১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২

গত দুই মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী। শনিবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৯০ ডলারেরও নিচে নেমে এসেছে, যা ৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এরপরেও আগের লোকসান মেটাতে দেশের বাজারে রেকর্ড হারে জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে সরকার। এবার এক লাফে প্রায় ৫০ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে, যা যৌক্তিক নয় বলে মত বিশ্লেষকদের।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বেশ ঊর্ধ্বমুখী ছিল জ্বালানি তেলের দাম। সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় মাত্র দুই মাস আগেও ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ছিল ১২০ ডলারের ওপরে। সাম্প্রতিক সময়ে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর উৎপাদন বেড়েছে।

বর্তমানে ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমুখী অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের বাজার। শনিবার দুপুর পর্যন্ত অপরিশোধিত তেলের প্রতি ব্যারেলের দাম ছিল প্রায় ৯৫ ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্রে সেই দর অবস্থান করছে ৯০ ডলারের নিচে। আগামী কয়েক মাসে এই দাম আরও কমে আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আন্তর্জাতিক বাজারের দামের উর্ধ্বগতিকে কারণ দেখিয়ে দেশে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ববাজারে গত এপ্রিলে ডিজেলের গড়মূল্য ছিল প্রায় ১৪৫ ডলার। জুন পর্যন্ত এর দাম বাড়লেও, জুলাই এবং আগস্টে কমতে থাকে। অকটনের দামেও একই অবস্থা। জুনে অকটেনের দাম ব্যারেল প্রতি ১৪৮ ডলারের বেশি থাকলেও, জুলাইয়ে তা নেমে আসে ১১৫ ডলারে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম ক্রমাগত কমতে থাকায় দেশে অকটেন ও পেট্রোলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই।