০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিমানবন্দরে শত শত প্রবাসীর ঠাঁই গাছতলায়!

প্রচণ্ড দাবদাহ, রাত জাগা ক্লান্ত শরীর। দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে বটবৃক্ষের একটুখানি ছায়াই যেন বিশাল পাওয়া এই প্রবাসী শ্রমজীবীদের কাছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এই দৃশ্য নিত্যদিনের। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ফ্লাইট ধরতে আসা শত শত প্রবাসীর ঠাঁই হয় গাছের তলায়।

গাছ তলায় ঠাঁই নেওয়া মানুষগুলোর কেউ বিদেশ যাবেন, কেউবা বিদেশ থেকে ফিরেছেন। সঙ্গে নিকটজনরা। প্রিয়জনকে বরণ বা বিদায় জানানো এখন রীতিতে পরিণত হয়েছে।

এক যাত্রী বলেন, ফ্লাইট হলো ৭টায়। ৪টায় ভেতরে প্রবেশ করতে দেবে। আমরা অনেক দূর থেকে একটু আগেই চলে আসছি। ঢাকা শহরে অনেক যানজট।

আরেক যাত্রী বলেন, ইমিগ্রেশনে যাব আমি ৪টা বাজে। আমি আসছি দূর থেকে। এখন আমাকে ওয়েট করতে হবে। কিন্তু আমি যে অপেক্ষা করব সে রকম একটা জায়গা নেই। গাছের নিচে বসে আছি, এখন বৃষ্টি আসলে আমাকে ভিজতে হবে।

রাজধানীর যানজট কিংবা রাস্তার ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই আগেভাগেই পৌঁছে যান। সঙ্গে থাকা লাগেজ থাকায় কোথায় যাওয়ারও উপায় থাকে না। অথচ তাদের জন্য নেই কোনো ওয়েটিং রুম।

বিমানবন্দরে যাত্রীর স্বজনদের জন্য ওয়টিং রুম তৈরি এখন সময়ে দাবি বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, যাত্রীদের সঙ্গে যারা আসেন, তাদের ব্যবস্থাপনা সত্যিই কঠিন কাজ। আমাদের এখানে অবকাঠামো সেভাবে তৈরি করা হয়নি।

তৃতীয় টার্মিনাল ভাবন নির্মাণ শেষ হলে স্বজনদের এই ভোগান্তি দূর হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, যতভাবে তাদের সহায়তা দরকার, তা আমরা করব। কারণ আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা আনছেন। এই টার্মিনাল ভবনটি যখন হয়ে যাবে, তখন আশা করি কোনো সমস্যা থাকবে না।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও বাইরে থেকে যারা আসেন, তারা যেন বসতে পারে। তারা যেন চা খেতে পারেন, সে ব্যবস্থা যেন থাকে সেই নির্দেশনা দিয়েছি। ইতোমধ্যে কিছু ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

দ্রুতই এই সমস্যার সমাধাণে কী করে করা যায়, তা নিয়েও কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বিমানবন্দরে শত শত প্রবাসীর ঠাঁই গাছতলায়!

Update Time : ০৬:৫২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রচণ্ড দাবদাহ, রাত জাগা ক্লান্ত শরীর। দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে বটবৃক্ষের একটুখানি ছায়াই যেন বিশাল পাওয়া এই প্রবাসী শ্রমজীবীদের কাছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এই দৃশ্য নিত্যদিনের। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ফ্লাইট ধরতে আসা শত শত প্রবাসীর ঠাঁই হয় গাছের তলায়।

গাছ তলায় ঠাঁই নেওয়া মানুষগুলোর কেউ বিদেশ যাবেন, কেউবা বিদেশ থেকে ফিরেছেন। সঙ্গে নিকটজনরা। প্রিয়জনকে বরণ বা বিদায় জানানো এখন রীতিতে পরিণত হয়েছে।

এক যাত্রী বলেন, ফ্লাইট হলো ৭টায়। ৪টায় ভেতরে প্রবেশ করতে দেবে। আমরা অনেক দূর থেকে একটু আগেই চলে আসছি। ঢাকা শহরে অনেক যানজট।

আরেক যাত্রী বলেন, ইমিগ্রেশনে যাব আমি ৪টা বাজে। আমি আসছি দূর থেকে। এখন আমাকে ওয়েট করতে হবে। কিন্তু আমি যে অপেক্ষা করব সে রকম একটা জায়গা নেই। গাছের নিচে বসে আছি, এখন বৃষ্টি আসলে আমাকে ভিজতে হবে।

রাজধানীর যানজট কিংবা রাস্তার ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই আগেভাগেই পৌঁছে যান। সঙ্গে থাকা লাগেজ থাকায় কোথায় যাওয়ারও উপায় থাকে না। অথচ তাদের জন্য নেই কোনো ওয়েটিং রুম।

বিমানবন্দরে যাত্রীর স্বজনদের জন্য ওয়টিং রুম তৈরি এখন সময়ে দাবি বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, যাত্রীদের সঙ্গে যারা আসেন, তাদের ব্যবস্থাপনা সত্যিই কঠিন কাজ। আমাদের এখানে অবকাঠামো সেভাবে তৈরি করা হয়নি।

তৃতীয় টার্মিনাল ভাবন নির্মাণ শেষ হলে স্বজনদের এই ভোগান্তি দূর হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, যতভাবে তাদের সহায়তা দরকার, তা আমরা করব। কারণ আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা আনছেন। এই টার্মিনাল ভবনটি যখন হয়ে যাবে, তখন আশা করি কোনো সমস্যা থাকবে না।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও বাইরে থেকে যারা আসেন, তারা যেন বসতে পারে। তারা যেন চা খেতে পারেন, সে ব্যবস্থা যেন থাকে সেই নির্দেশনা দিয়েছি। ইতোমধ্যে কিছু ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

দ্রুতই এই সমস্যার সমাধাণে কী করে করা যায়, তা নিয়েও কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।