চট্টগ্রামে এক বিজিবি সদস্যের স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর ইপিজেড থানার নিউমুরিং এলাকার একটি বাসা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার শাকিলা সুলতানা।
নিহত শামীমা আক্তার (৪৫) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সুবেদার জামাল উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি রাঙামাটিতে কর্মরত আছেন। নিঃসন্তান শামীমা নগরীর নিউমুরিং এলাকায় আবুল ফয়েজের বিল্ডিং নামে একটি ভবনের পঞ্চম তলায় এক রুমের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
উপপুলিশ কমিশনার শাকিলা সুলতানা বলেন, বিজিবি সদস্য জামাল উদ্দিন রোববার সকালে স্ত্রীকে ফোন করেন। না পেয়ে ভবনের মালিককে ফোন করেন। মালিক ওই বাসায় গিয়ে শামীমাকে নির্জীব অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ ও স্বজনদের খবর দেন। কাছেই থাকা কয়েকজন স্বজন ওই বাসায় যান। তারা শামীমাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখেন। জীবিত ভেবে তারা হাত-পায়ের বাঁধন খুলে মুখে পানি ছিটান। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ মেলেনি। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পর পুলিশ ভবনে বসবাসরত সবাইকে বের হতে নিষেধ করেন। ভবনের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। বাসিন্দাদের মধ্যে এক যুবককে সন্দেহ হওয়ায় তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ কর্মকর্তা শাকিলা বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানিয়েছে, তিনজন মিলে লুটপাটের উদ্দেশে শামীমার ঘরে ঢুকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে রাতে ওই যুবক বাসায় ঢোকে এবং অন্য দুই জনকে ঢোকায়। তিনজন মিলে শামীমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। গ্রেফতারের পর যুবকের কাছ থেকে কিছু স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে। তার হাতে কামড়ের গভীর ক্ষত আছে।’
পুলিশের উপ-কমিশনার শাকিলা সুলতানা আরও বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি দুজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’