০৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি এখন দেশের সবচেয়ে বড় দল।’মির্জা ফখরুল

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 53

বর্তমান সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র নির্বাসিত করেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনারা জানেন যে তারা জনগণের অধিকার হরণ করেছে। আমাদের নেত্রী যিনি সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন তাকে গৃহ অন্তরীণ করে রেখেছে। আমাদের ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি করেছে বিএনপি। র‌্যালির আগে ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে বিএনপি মহাসচিব এ সব কথা বলেন। র‌্যালিটি নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিকেলে সোয়া ৪টায় শুরু হওয়া র‌্যালিটি নাইটেঙ্গল মোড়, বিজয় নগর সড়ক, পল্টনের মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে বড় আকৃতির জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকার পাশাপাশি রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের প্রতিকৃতিসহ নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মীরা এ র‌্যালিতে অংশ নেয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা এ র‌্যালির মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসী ও সরকারকে জানিয়ে দেবো যে বিএনপি এখন সবচেয়ে বড় দল। এই দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এই দলকে যিনি শক্তিশালী করেছেন, বিকশিত করেছেন, জনগণের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি হচ্ছেন আমাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি এখনও এই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছেন। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা মামলায় অন্তরীণ অবস্থায় আছেন, অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় আছেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিন নারায়ণগঞ্জে পুলিশের হামলায় যুবদলের শাওন প্রধানকে নিহত হওয়ার ঘটনাসহ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দলের নেতা-কর্মীদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন, কিছুদিন আগে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানোর দাবিতে আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি করতে গিয়ে ভোলাতে আমাদের ছাত্রদলের নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, যখন মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে, তখন সরকার মনে করেছে চুরি করে, গুম করে, হত্যা করে, অত্যাচার-নির্যাতন করে এই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখবে। এ বিএনপির জন্মই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। বাকশাল থেকে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করে। খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছে এ বিএনপিকে সামনে নিয়ে এসে স্বৈরাচারের সঙ্গে লড়াই করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকেও দেশের মানুষ এই সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে গণতন্ত্রের জন্য। আমরা সোচ্চার করে বলছি, গণতন্ত্রের জন্য এই আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্র সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা যদি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই, আসুন আজকে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথ দখল করে দুর্বার আন্দোলন করে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে। র‌্যালি উপলক্ষে নয়া পল্টনসহ শান্তিনগর পর্যন্ত ব্যাপক পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে মোতায়েন করা হয়। শোভাযাত্রার অগ্রভাবে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা ছিল। দুপুর থেকে নয়া পল্টনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। র‌্যালি শুরু হওয়ার পর একঘণ্টা নয়া পল্টন, ফকিরাপুল, মালিবাগ, বেইলি রোড, কাকরাইল, বিজয় নগর সড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বিএনপি এখন দেশের সবচেয়ে বড় দল।’মির্জা ফখরুল

Update Time : ০৮:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

বর্তমান সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র নির্বাসিত করেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনারা জানেন যে তারা জনগণের অধিকার হরণ করেছে। আমাদের নেত্রী যিনি সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন তাকে গৃহ অন্তরীণ করে রেখেছে। আমাদের ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি করেছে বিএনপি। র‌্যালির আগে ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে বিএনপি মহাসচিব এ সব কথা বলেন। র‌্যালিটি নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিকেলে সোয়া ৪টায় শুরু হওয়া র‌্যালিটি নাইটেঙ্গল মোড়, বিজয় নগর সড়ক, পল্টনের মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে বড় আকৃতির জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকার পাশাপাশি রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের প্রতিকৃতিসহ নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মীরা এ র‌্যালিতে অংশ নেয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা এ র‌্যালির মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসী ও সরকারকে জানিয়ে দেবো যে বিএনপি এখন সবচেয়ে বড় দল। এই দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এই দলকে যিনি শক্তিশালী করেছেন, বিকশিত করেছেন, জনগণের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি হচ্ছেন আমাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি এখনও এই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছেন। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা মামলায় অন্তরীণ অবস্থায় আছেন, অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় আছেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিন নারায়ণগঞ্জে পুলিশের হামলায় যুবদলের শাওন প্রধানকে নিহত হওয়ার ঘটনাসহ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দলের নেতা-কর্মীদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন, কিছুদিন আগে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানোর দাবিতে আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি করতে গিয়ে ভোলাতে আমাদের ছাত্রদলের নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, যখন মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে, তখন সরকার মনে করেছে চুরি করে, গুম করে, হত্যা করে, অত্যাচার-নির্যাতন করে এই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখবে। এ বিএনপির জন্মই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। বাকশাল থেকে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করে। খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছে এ বিএনপিকে সামনে নিয়ে এসে স্বৈরাচারের সঙ্গে লড়াই করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকেও দেশের মানুষ এই সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে গণতন্ত্রের জন্য। আমরা সোচ্চার করে বলছি, গণতন্ত্রের জন্য এই আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্র সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা যদি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই, আসুন আজকে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথ দখল করে দুর্বার আন্দোলন করে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে। র‌্যালি উপলক্ষে নয়া পল্টনসহ শান্তিনগর পর্যন্ত ব্যাপক পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে মোতায়েন করা হয়। শোভাযাত্রার অগ্রভাবে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা ছিল। দুপুর থেকে নয়া পল্টনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। র‌্যালি শুরু হওয়ার পর একঘণ্টা নয়া পল্টন, ফকিরাপুল, মালিবাগ, বেইলি রোড, কাকরাইল, বিজয় নগর সড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।