০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে অর্থ সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে -আইএমএফ।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২
  • 21

চলমান সংকট সামাল দিতে বাংলাদেশকে অর্থ সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। সংস্থাটির এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বাংলাদেশ সংস্থাটির রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় ঋণ নিতে আগ্রহী। পাশাপাশি আরেক কর্মসূচির আওতায় ঋণের জন্য আলোচনার অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অর্থ সহায়তার জন্য তহবিলের বিদ্যমান নীতি ও প্রক্রিয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে। এরপর আলোচনা অনুযায়ী সহায়তার পরিমাণ নির্ধারিত হবে। এর আগে রোববার লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রাখা ও বাজেট সহায়তার জন্য ঋণ পেতে আইএমএফের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ।

বুধবার ক্রয় কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, আগে না করলেও, এখন প্রয়োজন হয়েছে বলেই আইএমএফের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, সহজ শর্তে ঋণ পেতেই সংস্থাটির কাছে আবেদন করা হয়েছে।

৯ দিনের সফরে ১৪ জুলাই ঢাকায় আসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের একটি প্রতিনিধিদল। সেই সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে আইএমএফের কাছ থেকে কোনো অর্থ সহায়তা নেয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু গেলো রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে, আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের জন্য আবেদন করেছে বাংলাদেশ।

সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, এখন আমাদের ঋণের দরকার, তাই আইএমএফের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি আগে জানানো হলে সংস্থাটির সঙ্গে বিভিন্ন শর্ত নিয়ে দর-কষাকষির সুযোগ পাওয়া যেত না বলেও জানান তিনি।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বাংলাদেশকে অর্থ সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে -আইএমএফ।

Update Time : ১২:০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২

চলমান সংকট সামাল দিতে বাংলাদেশকে অর্থ সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। সংস্থাটির এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বাংলাদেশ সংস্থাটির রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় ঋণ নিতে আগ্রহী। পাশাপাশি আরেক কর্মসূচির আওতায় ঋণের জন্য আলোচনার অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অর্থ সহায়তার জন্য তহবিলের বিদ্যমান নীতি ও প্রক্রিয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে। এরপর আলোচনা অনুযায়ী সহায়তার পরিমাণ নির্ধারিত হবে। এর আগে রোববার লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রাখা ও বাজেট সহায়তার জন্য ঋণ পেতে আইএমএফের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ।

বুধবার ক্রয় কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, আগে না করলেও, এখন প্রয়োজন হয়েছে বলেই আইএমএফের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, সহজ শর্তে ঋণ পেতেই সংস্থাটির কাছে আবেদন করা হয়েছে।

৯ দিনের সফরে ১৪ জুলাই ঢাকায় আসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের একটি প্রতিনিধিদল। সেই সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে আইএমএফের কাছ থেকে কোনো অর্থ সহায়তা নেয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু গেলো রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে, আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের জন্য আবেদন করেছে বাংলাদেশ।

সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, এখন আমাদের ঋণের দরকার, তাই আইএমএফের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি আগে জানানো হলে সংস্থাটির সঙ্গে বিভিন্ন শর্ত নিয়ে দর-কষাকষির সুযোগ পাওয়া যেত না বলেও জানান তিনি।