০৭:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বরিশালে বিধবা গৃহবধুকে ধর্ষণকারী পুলিশের এসআই কারাগারে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
  • 13

এক বিধবা গৃহিনীকে কৌশলে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে বরিশাল মহানগর পুলিশের এসআই ও স্টিমার ঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আবুল বাশারকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিএমপি’র কোতয়ালী থানার অভিযুক্ত এসআই বাশার বরিশালেরই বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিহারীপুরের আঃ জলিল খানের ছেলে। অভিযোগকারী নারী মহানগরীর কাশিপুর ইছাকাঠি এলাকার বাসিন্দা।

ভিকটিম কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করেছেন, তিনি তার একটি অভিযোগের বিষয় আলাপ করার জন্য কোতোয়ালি থানায় আসেন। এই সময়ে উভয়ের সাথে পরিচয় হয় এবং একে অপরের মোবাইল ফোন নম্বর আদান প্রদান করেন। কয়েকদিন পরে আর একটি মামলার বিষয় কথা বলার জন্য ওই নারী অভিযুক্ত এসআইকে ফোন করলে তিনি ভিকটিমের অবস্থানস্থল জেনে সেখানে যান। তবে সব কিছু জানার জন্য তার সাথে তার নিজস্ব অফিসে দেখা করতে বলেন।
এভাবেই ভিকটিমকে ভুলিয়ে বিকেলে নগরীর প্যরারা রোডের আবাসিক হোটেল আলভি’র ২০৪ নং কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে দরজা আটকে কর্থাবার্তা বলার এক পর্যায়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। সেদিনই বিকেল ৫ টার দিকে হোটেল থেকে বেরিয়ে ভিকটিম নিকট আত্মীয় স্বজনকে জানানোর পরে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সাথে সাথে আবুল বাশারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হবে বলে জনা গেছে।
উল্লেখ্য অভিযুক্ত আবুল বাশার ইতোপূর্বে গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত থাকাবস্থায় সাংবাদিক নির্যাতনের দায়েও সাসপেন্ড হন। এছাড়াও স্টিমারঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ থাকার সুবাদে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত চাঁদাবাজিও অভিযোগ রয়েছে। এরপরেও তাকে বিএমপি’র কোতয়ালী থানার মত স্পর্ষকাতর থানায় নিয়োগের বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বরিশালে বিধবা গৃহবধুকে ধর্ষণকারী পুলিশের এসআই কারাগারে

Update Time : ১০:২৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

এক বিধবা গৃহিনীকে কৌশলে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে বরিশাল মহানগর পুলিশের এসআই ও স্টিমার ঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আবুল বাশারকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিএমপি’র কোতয়ালী থানার অভিযুক্ত এসআই বাশার বরিশালেরই বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিহারীপুরের আঃ জলিল খানের ছেলে। অভিযোগকারী নারী মহানগরীর কাশিপুর ইছাকাঠি এলাকার বাসিন্দা।

ভিকটিম কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করেছেন, তিনি তার একটি অভিযোগের বিষয় আলাপ করার জন্য কোতোয়ালি থানায় আসেন। এই সময়ে উভয়ের সাথে পরিচয় হয় এবং একে অপরের মোবাইল ফোন নম্বর আদান প্রদান করেন। কয়েকদিন পরে আর একটি মামলার বিষয় কথা বলার জন্য ওই নারী অভিযুক্ত এসআইকে ফোন করলে তিনি ভিকটিমের অবস্থানস্থল জেনে সেখানে যান। তবে সব কিছু জানার জন্য তার সাথে তার নিজস্ব অফিসে দেখা করতে বলেন।
এভাবেই ভিকটিমকে ভুলিয়ে বিকেলে নগরীর প্যরারা রোডের আবাসিক হোটেল আলভি’র ২০৪ নং কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে দরজা আটকে কর্থাবার্তা বলার এক পর্যায়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। সেদিনই বিকেল ৫ টার দিকে হোটেল থেকে বেরিয়ে ভিকটিম নিকট আত্মীয় স্বজনকে জানানোর পরে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সাথে সাথে আবুল বাশারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হবে বলে জনা গেছে।
উল্লেখ্য অভিযুক্ত আবুল বাশার ইতোপূর্বে গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত থাকাবস্থায় সাংবাদিক নির্যাতনের দায়েও সাসপেন্ড হন। এছাড়াও স্টিমারঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ থাকার সুবাদে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত চাঁদাবাজিও অভিযোগ রয়েছে। এরপরেও তাকে বিএমপি’র কোতয়ালী থানার মত স্পর্ষকাতর থানায় নিয়োগের বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।