০২:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে এগিয়ে চলছে ৪৮ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার স্টিল রাইস সাইলো প্রকল্পের কাজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২
  • 17

জেলায় নির্মানাধীণ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ৪৮ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার স্টিল রাইস সাইলো প্রকল্পের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ সম্পন্ন। এছাড়াও কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন নির্মাণাধীন পল্টুন (যেটি) নির্মাণ কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরীর ত্রিশ গোডাউন কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন এলাকায় এই স্টিল সাইলোটি চালু হলে খাদ্যপণ্যের গুণগত ও পুষ্টিমান দীর্ঘ সময় বজায় রাখা সম্ভব হবে। প্রায় ৩৬২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ৪৮ হাজার টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই আধুনিক স্টিল সাইলো। ৫২০ শতক জমির উপর নির্মিত এই সাইলোতে একসঙ্গে তিন বছরের জন্য সংরক্ষণ করা যাবে ৪৮ হাজার টন চাল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, যে কোন দুর্যোগে খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলায় স্টিল সাইলোতে সংরক্ষণ করা চাল হবে দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বড় সহায়ক। বিভাগের ছয় জেলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় সরকারিভাবে দীর্ঘদিন মজুদ রাখার উপযোগী আধুনিক ও উন্নতমানের খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পৃথক-পৃথক ১৬টি বিনের মাধ্যমে প্রতিটি বিনে ৩ হাজার টন চাল ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন হবে এ সাইলো। সর্বাধুনিক সাইলো পাইল, ফাউন্ডেশন করে স্টিল স্ট্রাকচার হবে। নদী ও সড়ক পথে চাল আসলে তা জেটি থেকে কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে অটোমোশনে সংরক্ষণাগারে এসে প্রতিটি বিনে মজুদ হবে। এতে কীটনাশক ছাড়া আধুনিক চিলার (স্বয়ংক্রিয় তাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) যন্ত্রের মাধ্যমে আদ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রেখে প্রায় তিন বছর চাল সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় চাল সংরক্ষণ, ব্যাগিং ও লেডিং-আনলোডিং প্রক্রিয়া করবে। অপারেটর নিজ কক্ষে বসে প্রতিটি সাইলো বিনের তাপমাত্রা স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে বুঝতে পারবেন। ফলে সঠিক তাপমাত্রা ও আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাসস’কে বলেন, বিভাগের ছয় জেলায় স্থানীয় পদ্ধতিতে প্রায় ৯০ হাজার টন খাদ্য মজুদের ব্যবস্থা রয়েছে। অত্যাধুনিক খাদ্য মজুদের ক্ষেত্রে স্টিল সাইলো হবে বাড়তি শক্তি। খরা, ঝড়, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের পর খেতে ফসল ওঠা পর্যন্ত এই সাইলোর মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে স্টিল সাইলো প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম সেখ বাসস’কে বলেন, স্টিল সাইলো নির্মাণ প্রকল্পটির চুক্তি সম্পাদিত হয় ২০২১ সালের জুন মাসে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৩ সালের আগস্ট মাস নাগাদ। দ্রুতগতিতে স্টিল সাইলো নির্মাণ কাজের প্রায় ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে। এটি সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব ও কীটনাশকমুক্ত ।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বরিশালে এগিয়ে চলছে ৪৮ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার স্টিল রাইস সাইলো প্রকল্পের কাজ

Update Time : ০৯:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২

জেলায় নির্মানাধীণ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ৪৮ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার স্টিল রাইস সাইলো প্রকল্পের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ সম্পন্ন। এছাড়াও কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন নির্মাণাধীন পল্টুন (যেটি) নির্মাণ কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরীর ত্রিশ গোডাউন কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন এলাকায় এই স্টিল সাইলোটি চালু হলে খাদ্যপণ্যের গুণগত ও পুষ্টিমান দীর্ঘ সময় বজায় রাখা সম্ভব হবে। প্রায় ৩৬২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ৪৮ হাজার টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই আধুনিক স্টিল সাইলো। ৫২০ শতক জমির উপর নির্মিত এই সাইলোতে একসঙ্গে তিন বছরের জন্য সংরক্ষণ করা যাবে ৪৮ হাজার টন চাল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, যে কোন দুর্যোগে খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলায় স্টিল সাইলোতে সংরক্ষণ করা চাল হবে দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বড় সহায়ক। বিভাগের ছয় জেলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় সরকারিভাবে দীর্ঘদিন মজুদ রাখার উপযোগী আধুনিক ও উন্নতমানের খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পৃথক-পৃথক ১৬টি বিনের মাধ্যমে প্রতিটি বিনে ৩ হাজার টন চাল ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন হবে এ সাইলো। সর্বাধুনিক সাইলো পাইল, ফাউন্ডেশন করে স্টিল স্ট্রাকচার হবে। নদী ও সড়ক পথে চাল আসলে তা জেটি থেকে কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে অটোমোশনে সংরক্ষণাগারে এসে প্রতিটি বিনে মজুদ হবে। এতে কীটনাশক ছাড়া আধুনিক চিলার (স্বয়ংক্রিয় তাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) যন্ত্রের মাধ্যমে আদ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রেখে প্রায় তিন বছর চাল সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় চাল সংরক্ষণ, ব্যাগিং ও লেডিং-আনলোডিং প্রক্রিয়া করবে। অপারেটর নিজ কক্ষে বসে প্রতিটি সাইলো বিনের তাপমাত্রা স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে বুঝতে পারবেন। ফলে সঠিক তাপমাত্রা ও আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাসস’কে বলেন, বিভাগের ছয় জেলায় স্থানীয় পদ্ধতিতে প্রায় ৯০ হাজার টন খাদ্য মজুদের ব্যবস্থা রয়েছে। অত্যাধুনিক খাদ্য মজুদের ক্ষেত্রে স্টিল সাইলো হবে বাড়তি শক্তি। খরা, ঝড়, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের পর খেতে ফসল ওঠা পর্যন্ত এই সাইলোর মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে স্টিল সাইলো প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম সেখ বাসস’কে বলেন, স্টিল সাইলো নির্মাণ প্রকল্পটির চুক্তি সম্পাদিত হয় ২০২১ সালের জুন মাসে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৩ সালের আগস্ট মাস নাগাদ। দ্রুতগতিতে স্টিল সাইলো নির্মাণ কাজের প্রায় ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে। এটি সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব ও কীটনাশকমুক্ত ।