০৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বন্যার জন্য সরকারকে দুষছেন রিজভী

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:১০:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
  • 23

সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী ----রিজভী

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের বন্যা পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী। অন্য কেউ দায়ী নয়, জনগণকে ক্ষুধায় রেখে অনাহারে রেখে পানিতে ডুবিয়ে আপনি ঝাড়বাতির আলোয় পদ্মা সেতু দেখাবেন আর ভারত থেকে আপনি নাচনেওয়ালি নিয়ে এসে সেখানে নাচাবেন এটা দেশের মানুষ আর মেনে নেবে না। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর বিচিত্রা অনুষ্ঠানের একজন শিল্পী পাবেন তিন কোটি টাকা। তাহলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কুড়িগ্রামের ৫০ লাখ বানভাসি প্রত্যেক মানুষের জন্য এক থেকে দেড় টাকা বরাদ্দ কেন?

গতকাল সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে বিদেশে প্রেরণ এবং বন্যাদুর্গত অঞ্চলে দ্রুত সহায়তা পৌঁছানোর দাবিতে ‘গণতন্ত্র ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

বন্যার জন্য সরকারকে দায়ী করে রিজভী বলেন, আমরা জানি রাষ্ট্রের একজন প্রধান কর্তা ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন অপরিকল্পিতভাবে হাওড়ে বাঁধ দিয়েছেন। অপরিকল্পিতভাবে হাওড়ে রাস্তা নিয়ে গেছেন। এই অপরিকল্পিত বাঁধ ও রাস্তার জন্য ৫০-৬০ লাখ মানুষ পানিবন্দী। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা নিয়ে সরকারি পদক্ষেপেরও সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লুটেরা গোষ্ঠী যে টাকা পাচার করেছে, তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য টাকা বৈধ করার কথা বলা হচ্ছে।

কারণ হিসেবে রিজভী বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজন যেসব দেশে টাকা রেখেছেন, সেসব দেশে ধরপাকড় হতে পারে। তারা এই টাকার উৎস জানতে চাইতে পারে। এই বিপদ থেকে রক্ষার জন্য এবং যাতে তাদের ক্ষতি না হয়, সে জন্য এই টাকা বৈধ করছেন অর্থমন্ত্রী। বিদ্যুতের নামে কুইক রেন্টাল প্রজেক্টে লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী। তিনি বলেন, ‘ইমডেমনিটি (দায়মুক্তি) দিয়ে আপনার দলের লোকজনকে রেহাই দিয়েছেন যে বিদ্যুতের ব্যাপারে কোনো দুর্নীতির মামলা করা যাবে না।

রিজভী বলেন, এখন আপনারা আইন করছেন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য রাত আটটার পর কোনো দোকানপাট ও বিপণি বিতান খোলা রাখা যাবে না। কেন ? ওই টাকাগুলো কোথায়? দেশে কোথাও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই বলেও দাবি করেন রিজভী।

রিজভী হুঁশিয়ারি উচারণ করে বলেন,’খালেদা জিয়াকে বন্দি করে তাকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে আপনি ঠেলে দেবেন এটা আর এদেশের মানুষ সহ্য করবে না। সময় এসেছে আপনার সরকারের গলায় গামছা দিয়ে রাজপথে লুটিয়ে নেবে বাংলার মানুষ। সেই প্রত্যয় সেই অঙ্গীকার নিয়ে এখন মানুষ রাজপথে নেমে পড়বে।

সংগঠনের সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং কৃষকদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নাইমের সঞ্চালনায় প্রতিকী অনশনে বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম, সংগঠনের সমন্বয়কারী ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বন্যার জন্য সরকারকে দুষছেন রিজভী

Update Time : ১২:১০:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের বন্যা পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী। অন্য কেউ দায়ী নয়, জনগণকে ক্ষুধায় রেখে অনাহারে রেখে পানিতে ডুবিয়ে আপনি ঝাড়বাতির আলোয় পদ্মা সেতু দেখাবেন আর ভারত থেকে আপনি নাচনেওয়ালি নিয়ে এসে সেখানে নাচাবেন এটা দেশের মানুষ আর মেনে নেবে না। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর বিচিত্রা অনুষ্ঠানের একজন শিল্পী পাবেন তিন কোটি টাকা। তাহলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কুড়িগ্রামের ৫০ লাখ বানভাসি প্রত্যেক মানুষের জন্য এক থেকে দেড় টাকা বরাদ্দ কেন?

গতকাল সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে বিদেশে প্রেরণ এবং বন্যাদুর্গত অঞ্চলে দ্রুত সহায়তা পৌঁছানোর দাবিতে ‘গণতন্ত্র ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

বন্যার জন্য সরকারকে দায়ী করে রিজভী বলেন, আমরা জানি রাষ্ট্রের একজন প্রধান কর্তা ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন অপরিকল্পিতভাবে হাওড়ে বাঁধ দিয়েছেন। অপরিকল্পিতভাবে হাওড়ে রাস্তা নিয়ে গেছেন। এই অপরিকল্পিত বাঁধ ও রাস্তার জন্য ৫০-৬০ লাখ মানুষ পানিবন্দী। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা নিয়ে সরকারি পদক্ষেপেরও সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লুটেরা গোষ্ঠী যে টাকা পাচার করেছে, তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য টাকা বৈধ করার কথা বলা হচ্ছে।

কারণ হিসেবে রিজভী বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজন যেসব দেশে টাকা রেখেছেন, সেসব দেশে ধরপাকড় হতে পারে। তারা এই টাকার উৎস জানতে চাইতে পারে। এই বিপদ থেকে রক্ষার জন্য এবং যাতে তাদের ক্ষতি না হয়, সে জন্য এই টাকা বৈধ করছেন অর্থমন্ত্রী। বিদ্যুতের নামে কুইক রেন্টাল প্রজেক্টে লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী। তিনি বলেন, ‘ইমডেমনিটি (দায়মুক্তি) দিয়ে আপনার দলের লোকজনকে রেহাই দিয়েছেন যে বিদ্যুতের ব্যাপারে কোনো দুর্নীতির মামলা করা যাবে না।

রিজভী বলেন, এখন আপনারা আইন করছেন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য রাত আটটার পর কোনো দোকানপাট ও বিপণি বিতান খোলা রাখা যাবে না। কেন ? ওই টাকাগুলো কোথায়? দেশে কোথাও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই বলেও দাবি করেন রিজভী।

রিজভী হুঁশিয়ারি উচারণ করে বলেন,’খালেদা জিয়াকে বন্দি করে তাকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে আপনি ঠেলে দেবেন এটা আর এদেশের মানুষ সহ্য করবে না। সময় এসেছে আপনার সরকারের গলায় গামছা দিয়ে রাজপথে লুটিয়ে নেবে বাংলার মানুষ। সেই প্রত্যয় সেই অঙ্গীকার নিয়ে এখন মানুষ রাজপথে নেমে পড়বে।

সংগঠনের সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং কৃষকদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নাইমের সঞ্চালনায় প্রতিকী অনশনে বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম, সংগঠনের সমন্বয়কারী ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ বক্তব্য দেন।