বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মর্তুজা কাওসার অভিকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিরাজগঞ্জ জেলা ও শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা ও থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শেরপুর পৌর শহরের খন্দকার পাড়ার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ হিমেল (৩২), পূর্ব দত্তপাড়া এলাকার সোহাগ হোসেন (৩০), নয়াপাড়া এলাকার জাহিদ হোসেন (২৬), উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ (৩৫), শেরপুর পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাপ্পি (৩৭)।
তাদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা শুভ ও যুবলীগ নেতা বাপ্পিকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে। বাকি তিনজনকে শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে থানার পুলিশ।
মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহরের নয়াপাড়া (কোর্টপাড়া) এলাকার জাহাঙ্গীর আলম (৩২), শ্রমিক লীগ নেতা রকি (২৭), উলিপুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা যুবলীগ নেতা এনামুল মুসলিমিন সোহাগ (৩৫)।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতোয়ার রহমান খোন্দকার জানান, শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহতের স্ত্রী খাদিজা আক্তার লিমা বাদি হয়ে আটজনের নাম এবং অজ্ঞাত আরও ৮-৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তারদের শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতে পাঠিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন । পাশাপাশি অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
নিহত অভি শেরপুর পৌর এলাকার খন্দকার পাড়ার মৃত হোসাইন কাওসার ফুয়াদের ছেলে। তিনি উপজেলার পৌর আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শেরপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সংলগ্ন এলাকায় শক্রতার জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।