আর একদিন পরই এশিয়া কাপের ফাইনাল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলো। এই আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে ফাইনালের আগে টানা চারটি ম্যাচ জিতলো শ্রীলঙ্কা।
দুবাইয়ে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ১২১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে পাথুম নিসানকার অপরাজিত ফিফটিতে ভর করে ৩ ওভার হাতে থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য টপকে যায় লঙ্কানরা।
ছোট রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ২ রানের মাথায় দুটি এবং ২৯ রানের মধ্যে পড়ে যায় ৩টি উইকেট। হাসনাইন আর হারিস রউফ আলো জ্বলাতে শুরু করেন। কিন্তু নিসানকা আর রাজাপাকসে লঙ্কাকে খেলায় ফেরান। ভানুকা রাজাপাকসে ২৪ রানে ফিরে গেলেও বিপদ বাড়তে দেননি দলনায়ক দাসুন শানাকা।
নিসানকার সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান ব্যক্তিগত ২১ রানে। ৩ বলে অনবদ্য ১০ রান খেলে নিসানকাকে নিয়ে দল ছাড়ে হাসারাঙ্গা। নিসানকা যখন অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ছেন তখন নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৫৫ রান।
পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ হাসনাইন ও হারিস রউফ ২টি করে এবং উসমান কাদির একটি উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৯.১ ওভার ব্যাটিং করে মাত্র ১২১ রানেই অলআউট হয়েছে পাকিস্তান। রিজওয়ান (১৪), ফখর (১৩), ইফতিখার (১৩) খুশদিল (৪) ও আসিফ আলীরা (০) আজ একেবারেই ব্যর্থ হন।
বাকি ম্যাচগুলোতে ব্যর্থ বাবর আজম আজ রানের দেখা পান। তবে স্কোর বড় করার আগে ২৯ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাটে ঠিকই ধার ছিল। ১৮ বলে ২৬ রানে আউট হন তিনি।
লঙ্কানদের হয়ে বল হাতে দারুণ সফল ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে মহেশ থিকশানা ও প্রমোদ মাদুশান ২টি করে উইকেট নেন।