০৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রমত্তা পদ্মার বুকে অনেক বাধা-বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আজ দাঁড়িয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২
  • 20

প্রমত্তা পদ্মার বুকে অনেক বাধা-বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আজ সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে এর নির্মাণকাজ। সেতুটিকে নিয়ে এখন আর স্বপ্ন নয়, বরং ছুঁয়ে দেখার ক্ষণ গুনছেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। প্রতীক্ষার প্রহর শেষ করে আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন সেতুটি।

পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে তৈরি ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটির মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সড়ক সংযোগ তৈরি হবে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু। এরই মধ্যে বাঙালির গর্বের আর আত্ম অহংকারের প্রতীক এই সেতু কেবল দেশেই নয়, বিশ্ব জুড়েও গড়েছে একাধিক রেকর্ড। এমন বহুরূপি একটি নদীর তলদেশে পাইলিং করতেও কম বিপাকে পড়তে হয়নি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পদ্মা নদীর তলদেশে মাটির গভীরে পাইল বসানো ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ। পৃথিবীর আর কোনো নদীর ওপর সেতু বানাতে গিয়ে এতো গভীরে পাইল বসাতে হয়নি। একেকটি পিলারের নীচের মাটি ছিল একেক রকম। শেষ পর্যন্ত ১২০ থেকে ১২৮ মিটার পাইলিং করতে হয়েছে। পিলারের ওপর দশ হাজার ৫০০ টন সহনশীল বেয়ারিং বসানো হয়েছে, যা একটি বিশ্ব রকের্ড। আবার রেকর্ড পরিমাণ নদী শাসন করেই বাগে আনতে হয়েছে পদ্মাকে।

এছাড়া দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্পান ইতিমধ্যে বসানো সম্পন্ন হয়েছে, ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় সেতু। পদ্মা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।

পদ্মা সেতুর আগে বাংলাদেশের সেরা সেতুর মুকুট ছিলো যমুনার বুকে নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর। ১৯৯৮ সালের উদ্বোধনের পর দীর্ঘ ২৪ বছর এটিই ছিলো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ সেতু। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর সেই মুকুট হারালো বঙ্গবন্ধু সেতু। এক নজরে দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশের বৃহৎ সেতুগুলোর পরিচয়:

১. যমুনা/বঙ্গবন্ধু সেতু: যমুনা বহুমুখী সেতু বা বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই সেতুটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এটি যমুনা নদীর পূর্ব তীরের ভূঞাপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে।এটি বিশ্বে ১১শ এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু। যমুনা বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর মধ্যে বৃহত্তর এবং প্রবাহিত পানি আয়তানিক পরিমাপের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম।

২. মেঘনা সেতু: মেঘনা সেতু বাংলাদেশের একটি সড়ক সেতু। জাপানের সহায়তায় নির্মিত এই সেতুর আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয় জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১, তবে এটি মেঘনা সেতু নামেই পরিচিত। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯০০ মিটার (২,৯৫২ ফুট ৯ ইঞ্চি) প্রস্থ ৯.২ মিটার (৩০ ফুট ২ ইঞ্চি)

৩. বুড়িগঙ্গা সেতু: বুড়িগঙ্গা সেতু হল বাংলাদেশের বুড়িগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু। এটি প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু হিসাবেও পরিচিত। এটি বাংলাদেশ ও চীন যৌথ ভাবে তৈরি করেছে। সেতুটি ৭২৫ মিটার দীর্ঘ। এই সেতু ঢাকার সঙ্গে কেরানীগঞ্জ উপাজেলাকে যুক্ত করেছে। সেতুটির নির্মাণ শেষে ১৯৮৯ চালু করা হয়।সেতুটি নির্মাণের ফলে সহজেই কেরানীগঞ্জ উপজেলা ও তার পার্শবর্তী এলাকার মানুষ ঢাকা শহরে প্রবেশ করতে পারছে। এই সেতু ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যুক্ত করেছে।

৪. হার্ডিঞ্জ ব্রিজ: হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশি থেকে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলা পর্যন্ত যুক্তকারী একটি রেলসেতু। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রেলসেতু হিসেবে পরিচিত। পাবনা জেলার পাকশি রেলস্টেশনের দক্ষিণে পদ্মা নদীর উপর এই সেতুটি অবস্থিত। এই সেতুর নির্মাণকাল ১৯০৯-১৯১৫।
তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের নাম অনুসারে এই সেতুর নামকরণ করা হয়। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দৈর্ঘ্য ১,৭৯৮.৩২ মিটার বা ৫৮৯৪ফুট বা ১.৮ কিমি। এর উপর দুটি ব্রড-গেজ রেললাইন রয়েছে।

৫. লালন শাহ: সেতুটি ভেড়ামারা হার্ডিঞ্জ ব্রীজের অদূরে পদ্মা নদীর উপর নির্মিত সেতু। সেতুটি ২০০১ সালের ১৩ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। সেতুটি নির্মাণ শুরু হয় ২০০৩ সালে। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১.৮ কিমি এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।চীনের প্রতিষ্ঠান মেজর ব্রীজ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো এর নির্মাণ কাজ করেন। মোট স্প্যনের সংখ্যা ১৭টি। সেতুটি সম্পূর্ণভাবে যান চলাচলের জন্য ১৮ মে ২০০৪ সালে উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সেতুটি দুই লেন বিশিষ্ট।সেতুর পূর্ব পাশে অবস্থিত পাকশী, ঈশ্বরদী, পাবনা এবং সেতুর পশ্চিম পাশে ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া জেলা অবস্থিত।

উল্লেখিত সেতুগুলো ছাড়া বাংলাদেশে আরো বেশ কয়েকটি সেতু আছে । যেমন: শাহ আমানত সেতু বা তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু, খান জাহান আলী সেতু বা রূপসা সেতু, কাজীর বাজার সেতু, ভৈরব রেলওয়ে সেতু ইত্যাদি।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রমত্তা পদ্মার বুকে অনেক বাধা-বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আজ দাঁড়িয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।

Update Time : ১১:৫০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২

প্রমত্তা পদ্মার বুকে অনেক বাধা-বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আজ সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে এর নির্মাণকাজ। সেতুটিকে নিয়ে এখন আর স্বপ্ন নয়, বরং ছুঁয়ে দেখার ক্ষণ গুনছেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। প্রতীক্ষার প্রহর শেষ করে আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন সেতুটি।

পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে তৈরি ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটির মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সড়ক সংযোগ তৈরি হবে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু। এরই মধ্যে বাঙালির গর্বের আর আত্ম অহংকারের প্রতীক এই সেতু কেবল দেশেই নয়, বিশ্ব জুড়েও গড়েছে একাধিক রেকর্ড। এমন বহুরূপি একটি নদীর তলদেশে পাইলিং করতেও কম বিপাকে পড়তে হয়নি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পদ্মা নদীর তলদেশে মাটির গভীরে পাইল বসানো ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ। পৃথিবীর আর কোনো নদীর ওপর সেতু বানাতে গিয়ে এতো গভীরে পাইল বসাতে হয়নি। একেকটি পিলারের নীচের মাটি ছিল একেক রকম। শেষ পর্যন্ত ১২০ থেকে ১২৮ মিটার পাইলিং করতে হয়েছে। পিলারের ওপর দশ হাজার ৫০০ টন সহনশীল বেয়ারিং বসানো হয়েছে, যা একটি বিশ্ব রকের্ড। আবার রেকর্ড পরিমাণ নদী শাসন করেই বাগে আনতে হয়েছে পদ্মাকে।

এছাড়া দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্পান ইতিমধ্যে বসানো সম্পন্ন হয়েছে, ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় সেতু। পদ্মা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।

পদ্মা সেতুর আগে বাংলাদেশের সেরা সেতুর মুকুট ছিলো যমুনার বুকে নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর। ১৯৯৮ সালের উদ্বোধনের পর দীর্ঘ ২৪ বছর এটিই ছিলো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ সেতু। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর সেই মুকুট হারালো বঙ্গবন্ধু সেতু। এক নজরে দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশের বৃহৎ সেতুগুলোর পরিচয়:

১. যমুনা/বঙ্গবন্ধু সেতু: যমুনা বহুমুখী সেতু বা বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই সেতুটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এটি যমুনা নদীর পূর্ব তীরের ভূঞাপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে।এটি বিশ্বে ১১শ এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু। যমুনা বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর মধ্যে বৃহত্তর এবং প্রবাহিত পানি আয়তানিক পরিমাপের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম।

২. মেঘনা সেতু: মেঘনা সেতু বাংলাদেশের একটি সড়ক সেতু। জাপানের সহায়তায় নির্মিত এই সেতুর আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয় জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১, তবে এটি মেঘনা সেতু নামেই পরিচিত। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯০০ মিটার (২,৯৫২ ফুট ৯ ইঞ্চি) প্রস্থ ৯.২ মিটার (৩০ ফুট ২ ইঞ্চি)

৩. বুড়িগঙ্গা সেতু: বুড়িগঙ্গা সেতু হল বাংলাদেশের বুড়িগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু। এটি প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু হিসাবেও পরিচিত। এটি বাংলাদেশ ও চীন যৌথ ভাবে তৈরি করেছে। সেতুটি ৭২৫ মিটার দীর্ঘ। এই সেতু ঢাকার সঙ্গে কেরানীগঞ্জ উপাজেলাকে যুক্ত করেছে। সেতুটির নির্মাণ শেষে ১৯৮৯ চালু করা হয়।সেতুটি নির্মাণের ফলে সহজেই কেরানীগঞ্জ উপজেলা ও তার পার্শবর্তী এলাকার মানুষ ঢাকা শহরে প্রবেশ করতে পারছে। এই সেতু ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যুক্ত করেছে।

৪. হার্ডিঞ্জ ব্রিজ: হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশি থেকে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলা পর্যন্ত যুক্তকারী একটি রেলসেতু। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রেলসেতু হিসেবে পরিচিত। পাবনা জেলার পাকশি রেলস্টেশনের দক্ষিণে পদ্মা নদীর উপর এই সেতুটি অবস্থিত। এই সেতুর নির্মাণকাল ১৯০৯-১৯১৫।
তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের নাম অনুসারে এই সেতুর নামকরণ করা হয়। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দৈর্ঘ্য ১,৭৯৮.৩২ মিটার বা ৫৮৯৪ফুট বা ১.৮ কিমি। এর উপর দুটি ব্রড-গেজ রেললাইন রয়েছে।

৫. লালন শাহ: সেতুটি ভেড়ামারা হার্ডিঞ্জ ব্রীজের অদূরে পদ্মা নদীর উপর নির্মিত সেতু। সেতুটি ২০০১ সালের ১৩ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। সেতুটি নির্মাণ শুরু হয় ২০০৩ সালে। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১.৮ কিমি এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।চীনের প্রতিষ্ঠান মেজর ব্রীজ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো এর নির্মাণ কাজ করেন। মোট স্প্যনের সংখ্যা ১৭টি। সেতুটি সম্পূর্ণভাবে যান চলাচলের জন্য ১৮ মে ২০০৪ সালে উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সেতুটি দুই লেন বিশিষ্ট।সেতুর পূর্ব পাশে অবস্থিত পাকশী, ঈশ্বরদী, পাবনা এবং সেতুর পশ্চিম পাশে ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া জেলা অবস্থিত।

উল্লেখিত সেতুগুলো ছাড়া বাংলাদেশে আরো বেশ কয়েকটি সেতু আছে । যেমন: শাহ আমানত সেতু বা তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু, খান জাহান আলী সেতু বা রূপসা সেতু, কাজীর বাজার সেতু, ভৈরব রেলওয়ে সেতু ইত্যাদি।