১২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্তুগালকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে দক্ষিণ কোরিয়া

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:১১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • 25

গ্রুপ-এইচ’র শেষ রাউন্ডের ম্যাচে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে উঠলো দক্ষিণ কোরিয়া। ২০১০ সালের পর আবারও নক-আউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো  দক্ষিণ কোরিয়া।
৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলো আগেই নিশ্চিত করেছিল  পর্তুগাল। আজ পর্তুগালকে হারানোর পর গ্রুপ ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট হয় দক্ষিণ কোরিয়ার। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৪ পয়েন্ট হয় উরুগুয়েরও। নিজেদের শেষ ম্যাচে উরুগুয়ে ২-০ গোলে হারায় ঘানাকে। দক্ষিণ কোরিয়া ও উরুগুয়ের পয়েন্ট সমান হওয়ায়  গোল দেয়া ও হজমও সমান হয়ে যায়। শেষ বিচারে দেখা যায়, গ্রুপ পর্বে প্রতিপক্ষের জালে গোল বেশি দেয়াতে এগিয়ে ছিলো দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া মোট ৪টি গোল দেয়। উরুগুয়ে প্রতিপক্ষের জালে গোল দিয়েছে মাত্র ২টি। উরুগুয়ের চেয়ে ২টি গোল বেশি দেয়াতে এগিয়ে থাকায় শেষ ষোলোতে উঠে দক্ষিণ কোরিয়া।
শেষ ষোলোর লড়াইয়ে টিকে থাকতে পর্তুগালের চেয়ে ম্যাচটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগেভাগেই পরের রাউন্ডের টিকিট কেটে ফেলে পর্তুগাল। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১ পয়েন্ট দক্ষিণ কোরিয়ার। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প পথ নেই কোরিয়ানদের। তবে কোরিয়া জিতলেও ঘানা-উরুগুয়ের ম্যাচের ফলাফলের পরই নির্ধারিত হবে কোরিয়ানদের ভাগ্য।
দোহার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই গোলের আনন্দে নেচে উঠে পর্তুগাল। ম্যাচের ৫ মিনিটে পর্তুগালের রক্ষণভাগ থেকে উড়ে আসা বলে ডান-প্রান্ত দিয়ে আক্রমন শানিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বক্সের ভেতর ঢুকে মাইনাস করেন ডিফেন্ডার দিয়োগো ডালট। পাস পেয়ে সময়ক্ষেপণ না করেই ডান-পায়ের শটে গোল করেন স্ট্রাইকার রিকার্ডো হোর্টা। এবারের বিশ্বকাপে অভিষেকেই গোল করলেন হোর্টা। পর্তুগালের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের অভিষেকে গোল করার  নজির গড়লেন তিনি।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া মাঝমাঠ থেকে আক্রমন পরিকল্পনা করতে থাকে। ১৭ মিনিটে মিডফিল্ডার সন হেয়াং-মিনের ক্রস থেকে দারুন এক হেড নিয়েছিলেন স্ট্রাইকার চো গুয়ে-সুং। তার হেড পর্তুগালের গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তার হাতে জমা পড়ে।
দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন অবশেষে ২৭ মিনিটে পূরণ হয়। হুয়াং ইন-বেয়মের করা কর্ণার থেকে উড়ে আসা বলে হেড দিয়ে সরাতে গিয়েছিলেন পর্তুগালের মিডফিল্ডার রুবেন নেভেস। তবে বলে মাথা ছোয়াতে পারেননি নেভেস। বল গিয়ে লাগে দলের সেরা তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পিঠে। রোনালদোর পিঠে লেগে পর্তুগালের গোল মুখে পড়ে। সেখানে ছিলেন ডিফেন্ডার কিম ইয়ং-গুন। বাঁ-পায়ের শটে গোল করেন দলকে খেলায় ফেরান তিনি।
দ্বিতীয় গোলের জন্য মরিয়া হলেও স্কোর লাইন পরিবর্তন করতে পারেনি পর্তুগাল ও দক্ষিণ কোরিয়া। ১-১ গোলের সমতা নিয়ে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ করে তারা।
প্রথমার্ধে বল দখল ও আক্রমনে এগিয়ে ছিলো পর্তুগাল। ৫৬ শতাংশ বল ছিলো দখলে ছিলো তাদের। দক্ষিণ কোরিয়ার গোলমুখে ১০টি মধ্যে ৬টি টার্গেট শট নেয় পর্তুগাল। পক্ষান্তরে পর্তুগালের গোলমুখে ৫বার শট নিয়ে ৩টি টার্গেটে রাখতে পারে কোরিয়ানরা।
বিরতির পর পর্তুগালকে চেপে ধরে দক্ষিণ কোরিয়া। খেলা শুরুর পর পর্তুগালের সীমানায় ১০ মিনিটের ব্যবধানে দু’বার আক্রমন করে দক্ষিণ কোরিয়া।
ম্যাচে ৬৬ ও ৬৮ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার আরও দু’টি আক্রমনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান পর্তুগালের গোলরক্ষক কস্তা।
এর আগে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে রোনাল্ডোকে উঠিয়ে নেয়া হয়। এ ম্যাচে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি। একটি করে অ্যাসিস্ট ও হেড নিতে পারেন রোনালদো। মাঠ ছাড়ার সময় বেশ বিরক্ত ছিলেন তিনি। গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচ খেলে মাত্র ১টি গোল করতে পেরেছেন রোনালদো।
রোনালদো মাঠ ছাড়া পর মাত্র ১টি আক্রমন করতে পারে পর্তুগাল। ৭২ মিনিটে হওয়া ঐ আক্রমনে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন স্ট্রাইকার রাফায়েল লিয়াও। আরেক স্ট্রাইকার আন্দ্রে সিলভার পাস থেকে বল পেয়ে বাইরে শট নেন লিয়াও।
৮৬ মিনিটে ভালো একটি আক্রমন করেছিলো দক্ষিণ কোরিয়া। মিডফিল্ডার সন হেয়াং-মিনের ক্রসে স্ট্রাইকার চো গুয়ে-সুং-এর হেড আটকে দেয় পর্তুগালের গোলরক্ষক।
এমন অবস্থায় ১-১ সমতায় শেষ হয় ৯০ মিনিট।  ইনজুরির সময়ের প্রথম মিনিটে পর্তুগালের জালে দ্বিতীয়বারের বল জড়ায় দক্ষিণ কোরিয়া। মিডফিল্ডার সন হেয়াং-মিনের থ্রো বল থেকে বক্সের মধ্যে পান ডান-পায়ের শটে গোল করেন আরেক মিডফিল্ডার হুয়াং হি-চান। ২-১ গোলে এগিয়ে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া।
ইনজুরি সময়ে সপ্তম মিনিটে শেষ বাঁশি বাজলেও আনন্দে মাতাতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া। কারন তখনও অন্য ভেন্যুতে ৮৮ মিনিটে উরুগুয়ে-ঘানার ম্যাচটি চলমান ছিলো। ঐ ম্যাচের দিকে পাখির মত চোখ ছিল  দক্ষিণ কোরিয়ার। ঐ সময় ২-০ গোলে এগিয়ে ছিলো উরুগুয়ে। শেষ পর্যন্ত উরুগুয়ে জিতলেও, গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় শেষ ষোলোতে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। ঘানার বিপক্ষে জিতেও বাদ পড়ে উরুগুয়ে। ২০০২ সালের পর আবারও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলো ১৯৩০ ও ১৯৫০ সালের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

পর্তুগালকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে দক্ষিণ কোরিয়া

Update Time : ০৩:১১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

গ্রুপ-এইচ’র শেষ রাউন্ডের ম্যাচে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে উঠলো দক্ষিণ কোরিয়া। ২০১০ সালের পর আবারও নক-আউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো  দক্ষিণ কোরিয়া।
৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলো আগেই নিশ্চিত করেছিল  পর্তুগাল। আজ পর্তুগালকে হারানোর পর গ্রুপ ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট হয় দক্ষিণ কোরিয়ার। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৪ পয়েন্ট হয় উরুগুয়েরও। নিজেদের শেষ ম্যাচে উরুগুয়ে ২-০ গোলে হারায় ঘানাকে। দক্ষিণ কোরিয়া ও উরুগুয়ের পয়েন্ট সমান হওয়ায়  গোল দেয়া ও হজমও সমান হয়ে যায়। শেষ বিচারে দেখা যায়, গ্রুপ পর্বে প্রতিপক্ষের জালে গোল বেশি দেয়াতে এগিয়ে ছিলো দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া মোট ৪টি গোল দেয়। উরুগুয়ে প্রতিপক্ষের জালে গোল দিয়েছে মাত্র ২টি। উরুগুয়ের চেয়ে ২টি গোল বেশি দেয়াতে এগিয়ে থাকায় শেষ ষোলোতে উঠে দক্ষিণ কোরিয়া।
শেষ ষোলোর লড়াইয়ে টিকে থাকতে পর্তুগালের চেয়ে ম্যাচটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগেভাগেই পরের রাউন্ডের টিকিট কেটে ফেলে পর্তুগাল। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১ পয়েন্ট দক্ষিণ কোরিয়ার। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প পথ নেই কোরিয়ানদের। তবে কোরিয়া জিতলেও ঘানা-উরুগুয়ের ম্যাচের ফলাফলের পরই নির্ধারিত হবে কোরিয়ানদের ভাগ্য।
দোহার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই গোলের আনন্দে নেচে উঠে পর্তুগাল। ম্যাচের ৫ মিনিটে পর্তুগালের রক্ষণভাগ থেকে উড়ে আসা বলে ডান-প্রান্ত দিয়ে আক্রমন শানিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বক্সের ভেতর ঢুকে মাইনাস করেন ডিফেন্ডার দিয়োগো ডালট। পাস পেয়ে সময়ক্ষেপণ না করেই ডান-পায়ের শটে গোল করেন স্ট্রাইকার রিকার্ডো হোর্টা। এবারের বিশ্বকাপে অভিষেকেই গোল করলেন হোর্টা। পর্তুগালের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের অভিষেকে গোল করার  নজির গড়লেন তিনি।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া মাঝমাঠ থেকে আক্রমন পরিকল্পনা করতে থাকে। ১৭ মিনিটে মিডফিল্ডার সন হেয়াং-মিনের ক্রস থেকে দারুন এক হেড নিয়েছিলেন স্ট্রাইকার চো গুয়ে-সুং। তার হেড পর্তুগালের গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তার হাতে জমা পড়ে।
দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন অবশেষে ২৭ মিনিটে পূরণ হয়। হুয়াং ইন-বেয়মের করা কর্ণার থেকে উড়ে আসা বলে হেড দিয়ে সরাতে গিয়েছিলেন পর্তুগালের মিডফিল্ডার রুবেন নেভেস। তবে বলে মাথা ছোয়াতে পারেননি নেভেস। বল গিয়ে লাগে দলের সেরা তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পিঠে। রোনালদোর পিঠে লেগে পর্তুগালের গোল মুখে পড়ে। সেখানে ছিলেন ডিফেন্ডার কিম ইয়ং-গুন। বাঁ-পায়ের শটে গোল করেন দলকে খেলায় ফেরান তিনি।
দ্বিতীয় গোলের জন্য মরিয়া হলেও স্কোর লাইন পরিবর্তন করতে পারেনি পর্তুগাল ও দক্ষিণ কোরিয়া। ১-১ গোলের সমতা নিয়ে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ করে তারা।
প্রথমার্ধে বল দখল ও আক্রমনে এগিয়ে ছিলো পর্তুগাল। ৫৬ শতাংশ বল ছিলো দখলে ছিলো তাদের। দক্ষিণ কোরিয়ার গোলমুখে ১০টি মধ্যে ৬টি টার্গেট শট নেয় পর্তুগাল। পক্ষান্তরে পর্তুগালের গোলমুখে ৫বার শট নিয়ে ৩টি টার্গেটে রাখতে পারে কোরিয়ানরা।
বিরতির পর পর্তুগালকে চেপে ধরে দক্ষিণ কোরিয়া। খেলা শুরুর পর পর্তুগালের সীমানায় ১০ মিনিটের ব্যবধানে দু’বার আক্রমন করে দক্ষিণ কোরিয়া।
ম্যাচে ৬৬ ও ৬৮ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার আরও দু’টি আক্রমনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান পর্তুগালের গোলরক্ষক কস্তা।
এর আগে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে রোনাল্ডোকে উঠিয়ে নেয়া হয়। এ ম্যাচে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি। একটি করে অ্যাসিস্ট ও হেড নিতে পারেন রোনালদো। মাঠ ছাড়ার সময় বেশ বিরক্ত ছিলেন তিনি। গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচ খেলে মাত্র ১টি গোল করতে পেরেছেন রোনালদো।
রোনালদো মাঠ ছাড়া পর মাত্র ১টি আক্রমন করতে পারে পর্তুগাল। ৭২ মিনিটে হওয়া ঐ আক্রমনে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন স্ট্রাইকার রাফায়েল লিয়াও। আরেক স্ট্রাইকার আন্দ্রে সিলভার পাস থেকে বল পেয়ে বাইরে শট নেন লিয়াও।
৮৬ মিনিটে ভালো একটি আক্রমন করেছিলো দক্ষিণ কোরিয়া। মিডফিল্ডার সন হেয়াং-মিনের ক্রসে স্ট্রাইকার চো গুয়ে-সুং-এর হেড আটকে দেয় পর্তুগালের গোলরক্ষক।
এমন অবস্থায় ১-১ সমতায় শেষ হয় ৯০ মিনিট।  ইনজুরির সময়ের প্রথম মিনিটে পর্তুগালের জালে দ্বিতীয়বারের বল জড়ায় দক্ষিণ কোরিয়া। মিডফিল্ডার সন হেয়াং-মিনের থ্রো বল থেকে বক্সের মধ্যে পান ডান-পায়ের শটে গোল করেন আরেক মিডফিল্ডার হুয়াং হি-চান। ২-১ গোলে এগিয়ে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া।
ইনজুরি সময়ে সপ্তম মিনিটে শেষ বাঁশি বাজলেও আনন্দে মাতাতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া। কারন তখনও অন্য ভেন্যুতে ৮৮ মিনিটে উরুগুয়ে-ঘানার ম্যাচটি চলমান ছিলো। ঐ ম্যাচের দিকে পাখির মত চোখ ছিল  দক্ষিণ কোরিয়ার। ঐ সময় ২-০ গোলে এগিয়ে ছিলো উরুগুয়ে। শেষ পর্যন্ত উরুগুয়ে জিতলেও, গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় শেষ ষোলোতে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। ঘানার বিপক্ষে জিতেও বাদ পড়ে উরুগুয়ে। ২০০২ সালের পর আবারও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলো ১৯৩০ ও ১৯৫০ সালের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।