নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর লক্ষীনারায়ণপুরে স্কুল ছাত্রী তাসমিয়া হোসেন অদিতা হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অষ্টম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী অদিতা হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে নোয়াখালীর শিক্ষাঙ্গন ও রাজপথ। এই সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা সুধারাম থানা ঘেরাও করে অবস্থান ধর্মঘট করে তাদের দাবি জানায়। এসময় শিক্ষার্থীরা সকল অপরাধীর ফাঁসির দাবি জানান।
আজ শনিবার নোয়াখালী প্রেসক্লাব ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনেও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। এ সময় হাজার হাজার শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা স্কুল ছাত্রী অদিতা হত্যার প্রধান আসামি রনিসহ সকল আসামির ফাঁসি দাবি করে।
হরিনারায়ণপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল আলিম বলেন, আমাদের প্রত্যেককেই যার যার জায়গায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোথাও কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দেখলে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং সমাধান করতে হবে। এসময় কিশোর গ্যাং গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ এবং অদিতা হত্যাকারীদের দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, অপরাধী শনাক্তে চৌমুহনী ও মাইজদীতে ১৬০টি স্পটে ২০০টি সিসি ক্যামেরা বসানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
উলেখ্য, গত বৃহষ্পতিবার বিকেলে জেলা শহর মাইজদীতে নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসমিয়া হোসেন অদিতাকে (১৪) ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করা হয়। নিহত শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধারের পরপর পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি সাবেক গৃহ শিক্ষক আবদুর রহিম রনি (২০), ইসরাফিল (১৪), তার ভাই সাঈদ (২০)কে গ্রেপ্তার করে।