০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৈনিক কোটি টাকার ভাগ পায় প্রভাবশালীরা :বিদ্যুৎ চুরি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:২১:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২
  • 22

রাজধানীর ফুটপাতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ দোকানে জ্বলছে পাঁচ লাখেরও বেশি বাতি। যার বেশির ভাগই অবৈধ। এ ছাড়া রয়েছে কয়েক লাখ অবৈধ সংযোগ। যেখান থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার ভাগ যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের পকেটে। ঘাটতি মেটাতে যখন টালমাটাল অবস্থা, তখনও বিদ্যুতের চুরি ঠেকাতে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণেই বন্ধ হচ্ছে না এসব অবৈধ সংযোগ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারের বাইরে ফুটপাথ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ফলের দোকান। বাতি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে অবৈধ সংযোগ। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে তাই সূর্যের আলোতেও জ্বলছে বৈদ্যুতিক বাল্ব।দিনের বেলায় বাতি জ্বালিয়ে রাখার কারণ জানতে চাইলে ফুটপাতের এক ব্যবসায়ী বলেন, ফলের দোকান তো! লাইট দিলে ফলটা শাইনিং করে, ভালো দেখা যায়। গুলিস্তান গেলেই ফুটপাথ বা রাস্তার মাঝে দেখা মিলবে হাজারও দোকান। প্রতিটি দোকানেই রয়েছে দুই থেকে চারটি এলইডি বাতি। ক্রেতাদের ধোঁকা দিতেই যেন ঝলমলে সব আয়োজন।

টাউনহল-গুলিস্তানের মতো পুরো রাজধানীজুড়েই রয়েছে হকারদের দাপট। ঢাকা শহরের ফুটপাথ আর রাস্তা দখল করে গড়ে তোলা দোকানের সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। যেখানে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে প্রায় পাঁচ লাখ। যেখান থেকে মাসে অবৈধ লেনদেন ৩০ কোটি টাকার বেশি। সারাদেশে কয়েক লাখ অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে প্রতিদিন চুরি হচ্ছে শত শত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বছরের পর বছর চুরির এমন মহোৎসব চলে আসলেও কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে আছে সুবিধাভোগীরা।

বিদ্যুৎ চুরি বা অপচয় বন্ধ না হলে সরকারের কোনো উদ্যোগই কাজে আসবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, অবৈধ সংযোগ মানে চুরি হচ্ছে। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস বা তেল চুরি হচ্ছে। শুধু লোডশেডিংয়ের দ্বারাই জ্বালানি সাশ্রয় করে সংকট মোকাবিলা করা যাবে-এ রকম একটা সমীকরণ করে যদি আমরা বসে থাকি, তাহলে আমরা এই সংকট থেকে বের হতে পারব না। সংকট মোকাবিলায় সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের চুরি বন্ধে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

দৈনিক কোটি টাকার ভাগ পায় প্রভাবশালীরা :বিদ্যুৎ চুরি

Update Time : ০৯:২১:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২

রাজধানীর ফুটপাতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ দোকানে জ্বলছে পাঁচ লাখেরও বেশি বাতি। যার বেশির ভাগই অবৈধ। এ ছাড়া রয়েছে কয়েক লাখ অবৈধ সংযোগ। যেখান থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার ভাগ যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের পকেটে। ঘাটতি মেটাতে যখন টালমাটাল অবস্থা, তখনও বিদ্যুতের চুরি ঠেকাতে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণেই বন্ধ হচ্ছে না এসব অবৈধ সংযোগ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারের বাইরে ফুটপাথ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ফলের দোকান। বাতি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে অবৈধ সংযোগ। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে তাই সূর্যের আলোতেও জ্বলছে বৈদ্যুতিক বাল্ব।দিনের বেলায় বাতি জ্বালিয়ে রাখার কারণ জানতে চাইলে ফুটপাতের এক ব্যবসায়ী বলেন, ফলের দোকান তো! লাইট দিলে ফলটা শাইনিং করে, ভালো দেখা যায়। গুলিস্তান গেলেই ফুটপাথ বা রাস্তার মাঝে দেখা মিলবে হাজারও দোকান। প্রতিটি দোকানেই রয়েছে দুই থেকে চারটি এলইডি বাতি। ক্রেতাদের ধোঁকা দিতেই যেন ঝলমলে সব আয়োজন।

টাউনহল-গুলিস্তানের মতো পুরো রাজধানীজুড়েই রয়েছে হকারদের দাপট। ঢাকা শহরের ফুটপাথ আর রাস্তা দখল করে গড়ে তোলা দোকানের সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। যেখানে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে প্রায় পাঁচ লাখ। যেখান থেকে মাসে অবৈধ লেনদেন ৩০ কোটি টাকার বেশি। সারাদেশে কয়েক লাখ অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে প্রতিদিন চুরি হচ্ছে শত শত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বছরের পর বছর চুরির এমন মহোৎসব চলে আসলেও কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে আছে সুবিধাভোগীরা।

বিদ্যুৎ চুরি বা অপচয় বন্ধ না হলে সরকারের কোনো উদ্যোগই কাজে আসবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, অবৈধ সংযোগ মানে চুরি হচ্ছে। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস বা তেল চুরি হচ্ছে। শুধু লোডশেডিংয়ের দ্বারাই জ্বালানি সাশ্রয় করে সংকট মোকাবিলা করা যাবে-এ রকম একটা সমীকরণ করে যদি আমরা বসে থাকি, তাহলে আমরা এই সংকট থেকে বের হতে পারব না। সংকট মোকাবিলায় সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের চুরি বন্ধে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।