অর্থনীতি ডেস্ক 
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের রিসাইক্লিং শিল্পে বিনিয়োগসহ বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে লন্ডনে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে জনসন এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আরও বিনিয়োগের আহ্বান
জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাময়
রিসাইক্লিং শিল্পে বিনিয়োগে ও কারিগরি সহায়তা প্রদানে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
শ্রমঘন ও পরিবেশ রক্ষায় সহায়তাকারী এই শিল্পে বাংলাদেশে এরইমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ অনেক অগ্রসর হয়েছে।
স্বনামধন্য ও বৃহৎ বৈশ্বিক ক্রেতাগোষ্ঠী তাদের ক্রয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ মাধ্যমে প্রাপ্ত ফাইবার থেকে প্রস্তুতকৃত পোশাকের মাধ্যমে পূরণ করা শুরু করেছে।
পরিবেশবান্ধব ও সার্কুলার ইকোনমির জন্য সহায়ক হওয়ায় এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত করে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় জমি দিতে পারবে না।
তবে পানিতে ভাসমান টেকনোলজির মাধ্যমে সোলার পাওয়ার উৎপাদন করা যেতে পারে।
এখানে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ করার সুযোগ আছে। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক অন্যান্য শিল্পেও যুক্তরাজ্য বিনিয়োগ করতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা।
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের জন্য বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন বা বিদ্যমান কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ দেয়া যেতে পারে বলে লর্ড ডমিনিক জনসনকে অবহিত করেন সালমান এফ রহমান।
অন্যদিকে লর্ড ডমিনিক জনসন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প-বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও বহুমাত্রিক ও সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের রফতানি সহায়তা ঋণ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানান তিনি।
ব্রিটিশ মন্ত্রী এয়ারবাস থেকে কার্গো বিমান ক্রয়সহ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাত উন্নয়নে এয়ারবাসের আরও সম্পৃক্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করলে উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানান,
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এয়ারবাসের উদ্যোগে ঢাকায় আন্তর্জাতিক এভিয়েশন সামিট যাতে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে
ব্যাপারে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
এই সম্মেলনে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের নিকট এয়ারবাস তাদের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে পারে।
মন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন যুক্তরাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা লাভের বিষয়ে কিছু
জটিলতার কথা উল্লেখ করলে উপদেষ্টা সেসব বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন এবং বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে আরও
অধিক হারে যুক্তরাজ্যে অধ্যয়ন ভিসা পেতে পারে সে ব্যাপারে সহায়তা প্রত্যাশা করেন।
