১১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দূর-পাল্লার জাহাজবিধ্বংসী হারপুন দিয়ে রুশ নৌযানে হামলা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২
  • 29

কৃষ্ণ সাগরে ছোড়া দুটি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ নৌবাহিনীর একটি টাগবোটে আঘাত হানার দাবি করেছে ইউক্রেইন।

শুক্রবার এই দাবি করেছে তারা। পশ্চিমাদের কাছ থেকে পাওয়া দূর-পাল্লার জাহাজবিধ্বংসী হারপুন দিয়ে রুশ নৌযানে হামলার কথা এই প্রথম ঘোষণা করল ইউক্রেইন।ওদেসা অঞ্চলের গভর্নর রুশ ওই টাগবোটটি ‘ভাসিলি বেখ’ নামে চিহ্নিত করেছেন। সেটিতে করে সেনা, অস্ত্র এবং গোলাবারুদ কৃষ্ণসাগরে রুশ-অধিকৃত স্নেক আইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে ইউক্রেইনের নৌবাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়ার লিখিত অনুরোধে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী তাদের টেলিগ্রাম অ্যাপ এ হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করে এটি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বলে দাবি করেছে। এতে দেখা গেছে, দুটি ক্ষেপণাস্ত্র একটি জাহাজে আঘাত হানছে।তবে রয়টার্স নিরপেক্ষ সূত্রে এই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

ইউক্রেইনের সশস্ত্র বাহিনীর কৌশলগত যোগাযোগ অধিদপ্তর বলছে, “কৃষ্নসাগরে পুরোদস্তুর যুদ্ধের এই সময়ে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দু’বার ব্যবহার হয়েছে।”“এর প্রথমটি হচ্ছে, ইউক্রেইনের তৈরি নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, শুক্রবার (১৭ জুন) ছোড়া হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র। দুই ক্ষেপণাস্ত্র হামলাই সফল হয়েছে। আর রাশিয়ার নৌজাহাজের বিমান প্রতিরক্ষা পুরোপুরিই অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।”ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে রুশ সেনাদের জোর হামলার মুখে ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্র কিইভকে দূর পাল্লার জাহাজবিধ্বংসী হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানের চালান পাঠাতে শুরু করেছিল গত মাসেই।

ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজনিকভ সে সময় বলেছিলেন, হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ায় আমাদের উপকূলীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেবল শক্তিশালীই হবে না বরং ইউক্রেইনের প্রশিক্ষিত টীম সেগুলো ব্যবহার করবে।দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওদেসা বন্দরসহ উপকূলকে রক্ষায় হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রসহ ইউক্রেইনের নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করার কথা বলেছিলেন তিনি।

ওদিকে, ওদেসার আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র এক পোস্টে বলেছিলেন, তারা এত হারপুন পেয়েছেন যে, তা দিয়ে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার পুরো নৌবহর ডুবিয়ে দেওয়া যাবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

দূর-পাল্লার জাহাজবিধ্বংসী হারপুন দিয়ে রুশ নৌযানে হামলা

Update Time : ০৯:৫৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২

কৃষ্ণ সাগরে ছোড়া দুটি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ নৌবাহিনীর একটি টাগবোটে আঘাত হানার দাবি করেছে ইউক্রেইন।

শুক্রবার এই দাবি করেছে তারা। পশ্চিমাদের কাছ থেকে পাওয়া দূর-পাল্লার জাহাজবিধ্বংসী হারপুন দিয়ে রুশ নৌযানে হামলার কথা এই প্রথম ঘোষণা করল ইউক্রেইন।ওদেসা অঞ্চলের গভর্নর রুশ ওই টাগবোটটি ‘ভাসিলি বেখ’ নামে চিহ্নিত করেছেন। সেটিতে করে সেনা, অস্ত্র এবং গোলাবারুদ কৃষ্ণসাগরে রুশ-অধিকৃত স্নেক আইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে ইউক্রেইনের নৌবাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়ার লিখিত অনুরোধে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী তাদের টেলিগ্রাম অ্যাপ এ হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করে এটি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বলে দাবি করেছে। এতে দেখা গেছে, দুটি ক্ষেপণাস্ত্র একটি জাহাজে আঘাত হানছে।তবে রয়টার্স নিরপেক্ষ সূত্রে এই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

ইউক্রেইনের সশস্ত্র বাহিনীর কৌশলগত যোগাযোগ অধিদপ্তর বলছে, “কৃষ্নসাগরে পুরোদস্তুর যুদ্ধের এই সময়ে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দু’বার ব্যবহার হয়েছে।”“এর প্রথমটি হচ্ছে, ইউক্রেইনের তৈরি নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, শুক্রবার (১৭ জুন) ছোড়া হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র। দুই ক্ষেপণাস্ত্র হামলাই সফল হয়েছে। আর রাশিয়ার নৌজাহাজের বিমান প্রতিরক্ষা পুরোপুরিই অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।”ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে রুশ সেনাদের জোর হামলার মুখে ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্র কিইভকে দূর পাল্লার জাহাজবিধ্বংসী হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানের চালান পাঠাতে শুরু করেছিল গত মাসেই।

ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজনিকভ সে সময় বলেছিলেন, হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ায় আমাদের উপকূলীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেবল শক্তিশালীই হবে না বরং ইউক্রেইনের প্রশিক্ষিত টীম সেগুলো ব্যবহার করবে।দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওদেসা বন্দরসহ উপকূলকে রক্ষায় হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রসহ ইউক্রেইনের নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করার কথা বলেছিলেন তিনি।

ওদিকে, ওদেসার আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র এক পোস্টে বলেছিলেন, তারা এত হারপুন পেয়েছেন যে, তা দিয়ে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার পুরো নৌবহর ডুবিয়ে দেওয়া যাবে।