০৯:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তাসনিয়াকে হত্যা করে রনি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 15

নোয়াখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় স্কুলছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আবদুর রহিম রনি নামের তার সাবেক কোচিং শিক্ষকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, কোচিং ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র প্রাইভেট পড়ায় তাসনিয়াও ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে। প্রাথমিক আলামতে শিক্ষক রনির শরীর থেকে ভিকটিম কর্তৃক নখের কিছু আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া যায়।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃত রনি লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ সুপার জানান, ‘নিহত শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধারের পরপর পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে ইসরাফিল (১৪), তার ভাই সাঈদ (২০) ও শিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিক্ষক রনি প্রাথমিকভাবে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। রনির মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের একাধিক স্থানে সদ্য নখের আঁচড় রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের সময় তাসনিয়া নিজেকে বাঁচানোর জন্য রনির সাথে ধস্তাধস্তির করে। এ সময় রনির শরীরের একাধিক স্থানে তাসনিয়ার নখের আঁচড় লাগে। যা আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণও পেয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় ইসরাফিল ও সাঈদকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, শিক্ষক রনির কোচিং থেকে কিছুদিন আগে পড়া বন্ধ করে দিয়ে অন্যস্থানে প্রাইভেট পড়া শুরু করে তাসনিয়া। এতে ক্ষিপ্ত হয় রনি। তারপরেও তাসনিয়ার বাসায় বিভিন্ন সময় আসা যাওয়া করতো রনি। অদিতার মা বেসরকারী স্কুলে শিক্ষকতা করার সুবাধে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে ২টার মধ্যে কোন এক সময় বাসায় গিয়ে অদিতাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ ও পরে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রান্না ঘরে থাকা ছোরা দিয়ে হাত ও গলা কেটে হত্যা করে এবং ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ঘরে আলমেরি ও ওয়ারডোবে থাকা মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে। কিন্তু কোন স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিস খোয়া যায়নি বলে জানায় নিহতের মা। প্রাথমিকভাবে আমরা শিক্ষক রনিকে হত্যাকারী হিসেবে সনাক্ত করছি। তাকে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তাসনিয়ার মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সে নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মৃতদেহটি অর্ধনগ্ন, গলা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিলো। ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে পুলিশ তাৎক্ষণিক ৩ জনকে আটক করে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

তাসনিয়াকে হত্যা করে রনি

Update Time : ০৫:২৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

নোয়াখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় স্কুলছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আবদুর রহিম রনি নামের তার সাবেক কোচিং শিক্ষকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, কোচিং ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র প্রাইভেট পড়ায় তাসনিয়াও ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে। প্রাথমিক আলামতে শিক্ষক রনির শরীর থেকে ভিকটিম কর্তৃক নখের কিছু আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া যায়।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃত রনি লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ সুপার জানান, ‘নিহত শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধারের পরপর পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে ইসরাফিল (১৪), তার ভাই সাঈদ (২০) ও শিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিক্ষক রনি প্রাথমিকভাবে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। রনির মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের একাধিক স্থানে সদ্য নখের আঁচড় রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের সময় তাসনিয়া নিজেকে বাঁচানোর জন্য রনির সাথে ধস্তাধস্তির করে। এ সময় রনির শরীরের একাধিক স্থানে তাসনিয়ার নখের আঁচড় লাগে। যা আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণও পেয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় ইসরাফিল ও সাঈদকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, শিক্ষক রনির কোচিং থেকে কিছুদিন আগে পড়া বন্ধ করে দিয়ে অন্যস্থানে প্রাইভেট পড়া শুরু করে তাসনিয়া। এতে ক্ষিপ্ত হয় রনি। তারপরেও তাসনিয়ার বাসায় বিভিন্ন সময় আসা যাওয়া করতো রনি। অদিতার মা বেসরকারী স্কুলে শিক্ষকতা করার সুবাধে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে ২টার মধ্যে কোন এক সময় বাসায় গিয়ে অদিতাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ ও পরে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রান্না ঘরে থাকা ছোরা দিয়ে হাত ও গলা কেটে হত্যা করে এবং ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ঘরে আলমেরি ও ওয়ারডোবে থাকা মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে। কিন্তু কোন স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিস খোয়া যায়নি বলে জানায় নিহতের মা। প্রাথমিকভাবে আমরা শিক্ষক রনিকে হত্যাকারী হিসেবে সনাক্ত করছি। তাকে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তাসনিয়ার মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সে নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মৃতদেহটি অর্ধনগ্ন, গলা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিলো। ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে পুলিশ তাৎক্ষণিক ৩ জনকে আটক করে।