০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকায় ৭১ শতাংশ ও চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার এন্টিবডি পাওয়া গেছে।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
  • 35

রাজধানী ঢাকায় ৭১ শতাংশ ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার এন্টিবডি পাওয়া গেছে। আইসিডিডিআর,বির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে বসবাসকারী ৩,২২০ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল বস্তি এবং বস্তির বাইরে বসবাসকারীদের রক্তে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি এবং তার সম্ভাব্য কারণ নির্ণয় করা।

যেসকল সম্ভাব্য কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে সেগুলো হলো- শরীরে অন্য কোন শ্বাসকষ্টজনিত ভাইরাসের উপস্থিতি, পুষ্টিগত অবস্থা (যেমন: ভিটামিন-ডি, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম) এবং রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। এই সমীক্ষাটি ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি সময়ের মধ্যে পরিচালনা করা হয়। এটি ঢাকা এবং চট্টগ্রাম শহরে বস্তি এবং বস্তি সংলগ্ন বাইরের এলাকায় বসবাসকারী মোট ৩,২২০ জনের মধ্যে একটি আন্ত-বিভাগীয় গবেষণা হিসেবে পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় গৃহস্থালি পর্যায়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ, রক্তচাপ ও শরীরের পুষ্টি পরিমাপ এবং রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

গবেষণা থেকে প্রাপ্ত মূল তথ্য হলো-

১. ৩,২২০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে চট্টগ্রামের তুলনায় ঢাকায় সেরোপজিটিভিটির হার বেশি।
ঢাকায় যেটি ৭১%, চট্টগ্রামে তা ৫৫%। বয়স্ক ও তরুণদের সেরোপজিটিভিটির হার প্রায় সমান।
মহিলাদের মধ্যে সেরোপজিটিভিটির হার ৭০.৬%,যা পুরুষদের (৬৬%) তুলনায় বেশি। যেসব অংশগ্রহণকারীদের (মোট ২২০৯)মাঝে সেরো পজিটিভিটি পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ৩৫.৫% এর ক্ষেত্রে মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।

২. স্বল্প শিক্ষিত, অধিকও জন, উচ্চরক্ত চাপও ডায়াবেটিস রয়েছে যাদের, তাদের মাঝে অধিক মাত্রায় সেরোপ্রিভেলেন্স (রক্তে কোভিড উপস্থিতির হার) দেখা গিয়েছে।

৩. বারবার হাত ধোয়ার প্রবণতা, নাক-মুখ কম স্পর্শ করা, বিসিজি টিকা গ্রহণ এবং মাঝারি ধরনের শারীরিক পরিশ্র্রম করা ব্যাক্তিদের মাঝে কমমাত্রার সেরোপ্রিভেলেন্স দেখা গেছে।

৪. সেরোনেগটিভ ব্যক্তিদের তুলনায় সেরোপজিটিভ ব্যক্তিদের মাঝে সেরাম জিংক এর মাত্রা বেশি দেখা গেছে। এটাই হয়তো গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মাঝে রোগের মৃদুলক্ষণ এর সাথে সম্পৃক্ত।

৫. গবেষণায় ভিটামিন-ডি এর অপর্যাপ্ততার সাথে সেরোপজিটিভিটির কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। বরং গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ভিটামিন-ডি এর উচ্চ মাত্রার ঘাটতি দেখা গেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বস্তির বাইরে, বস্তিসংলগ্ন এলাকার নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের তুলনায় SARS-CoV-2 অ্যান্টিবডি সেরোপ্রিভ্যালেন্স বস্তিতে বেশি। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মধ্যে ঘনঘন হাতধোয়া, সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রভাব ফেলেছে। সেরোপ জিটিভিটির সাথে যুক্ত অন্যান্য প্রভাবক কারণ গুলির মধ্যে রয়েছে, অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্ত চাপ। মাঝারি কায়িক শ্রম যারা করে তাদের মাঝে সেরোপ জিটিভিটির সম্ভাবনা কম দেখা গেছে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ঢাকায় ৭১ শতাংশ ও চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার এন্টিবডি পাওয়া গেছে।

Update Time : ০২:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

রাজধানী ঢাকায় ৭১ শতাংশ ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার এন্টিবডি পাওয়া গেছে। আইসিডিডিআর,বির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে বসবাসকারী ৩,২২০ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল বস্তি এবং বস্তির বাইরে বসবাসকারীদের রক্তে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি এবং তার সম্ভাব্য কারণ নির্ণয় করা।

যেসকল সম্ভাব্য কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে সেগুলো হলো- শরীরে অন্য কোন শ্বাসকষ্টজনিত ভাইরাসের উপস্থিতি, পুষ্টিগত অবস্থা (যেমন: ভিটামিন-ডি, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম) এবং রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। এই সমীক্ষাটি ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি সময়ের মধ্যে পরিচালনা করা হয়। এটি ঢাকা এবং চট্টগ্রাম শহরে বস্তি এবং বস্তি সংলগ্ন বাইরের এলাকায় বসবাসকারী মোট ৩,২২০ জনের মধ্যে একটি আন্ত-বিভাগীয় গবেষণা হিসেবে পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় গৃহস্থালি পর্যায়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ, রক্তচাপ ও শরীরের পুষ্টি পরিমাপ এবং রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

গবেষণা থেকে প্রাপ্ত মূল তথ্য হলো-

১. ৩,২২০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে চট্টগ্রামের তুলনায় ঢাকায় সেরোপজিটিভিটির হার বেশি।
ঢাকায় যেটি ৭১%, চট্টগ্রামে তা ৫৫%। বয়স্ক ও তরুণদের সেরোপজিটিভিটির হার প্রায় সমান।
মহিলাদের মধ্যে সেরোপজিটিভিটির হার ৭০.৬%,যা পুরুষদের (৬৬%) তুলনায় বেশি। যেসব অংশগ্রহণকারীদের (মোট ২২০৯)মাঝে সেরো পজিটিভিটি পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ৩৫.৫% এর ক্ষেত্রে মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।

২. স্বল্প শিক্ষিত, অধিকও জন, উচ্চরক্ত চাপও ডায়াবেটিস রয়েছে যাদের, তাদের মাঝে অধিক মাত্রায় সেরোপ্রিভেলেন্স (রক্তে কোভিড উপস্থিতির হার) দেখা গিয়েছে।

৩. বারবার হাত ধোয়ার প্রবণতা, নাক-মুখ কম স্পর্শ করা, বিসিজি টিকা গ্রহণ এবং মাঝারি ধরনের শারীরিক পরিশ্র্রম করা ব্যাক্তিদের মাঝে কমমাত্রার সেরোপ্রিভেলেন্স দেখা গেছে।

৪. সেরোনেগটিভ ব্যক্তিদের তুলনায় সেরোপজিটিভ ব্যক্তিদের মাঝে সেরাম জিংক এর মাত্রা বেশি দেখা গেছে। এটাই হয়তো গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মাঝে রোগের মৃদুলক্ষণ এর সাথে সম্পৃক্ত।

৫. গবেষণায় ভিটামিন-ডি এর অপর্যাপ্ততার সাথে সেরোপজিটিভিটির কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। বরং গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ভিটামিন-ডি এর উচ্চ মাত্রার ঘাটতি দেখা গেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বস্তির বাইরে, বস্তিসংলগ্ন এলাকার নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের তুলনায় SARS-CoV-2 অ্যান্টিবডি সেরোপ্রিভ্যালেন্স বস্তিতে বেশি। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মধ্যে ঘনঘন হাতধোয়া, সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রভাব ফেলেছে। সেরোপ জিটিভিটির সাথে যুক্ত অন্যান্য প্রভাবক কারণ গুলির মধ্যে রয়েছে, অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্ত চাপ। মাঝারি কায়িক শ্রম যারা করে তাদের মাঝে সেরোপ জিটিভিটির সম্ভাবনা কম দেখা গেছে।