১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জি কে শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় রোববার

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৫৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 16

অস্ত্র মামলায় বিতর্কিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আগামীকাল রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য রয়েছে।

ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৮ আগস্ট উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের এই দিন ঠিক করেন বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন হাওলাদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জি কে শামীমসহ আট আসামি কারাগারে আছেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। সে সময় তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ও মদ জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়।

২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যামব। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করেন।

অস্ত্র মামলায় আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, জি কে শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়া ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার সহযোগীরা উচ্চ বেতনভোগী দুষ্কর্মের সহযোগী। তারা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে এসব অস্ত্রশস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। আসামি শামীম অস্ত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক ব্যবসা ও মানি লন্ডারিং করে আসছিলেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

জি কে শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় রোববার

Update Time : ১০:৫৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

অস্ত্র মামলায় বিতর্কিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আগামীকাল রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য রয়েছে।

ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৮ আগস্ট উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের এই দিন ঠিক করেন বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন হাওলাদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জি কে শামীমসহ আট আসামি কারাগারে আছেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। সে সময় তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ও মদ জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়।

২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যামব। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করেন।

অস্ত্র মামলায় আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, জি কে শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়া ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার সহযোগীরা উচ্চ বেতনভোগী দুষ্কর্মের সহযোগী। তারা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে এসব অস্ত্রশস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। আসামি শামীম অস্ত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক ব্যবসা ও মানি লন্ডারিং করে আসছিলেন।