০৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জাজাই ঝড়ে পাকিস্তান সুপার লিগ থে‌কে বিদায় নি‌লো করা‌চি।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:২৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
  • 29

হযরতুল্লাহ জাজাইয়ের ঝড় তোলা মারকাটারি ইনিংসে ভর করে করাচি কিংসকে পাকিস্তান সুপার লিগের এলিমিনেটর থেকে বিদায় করে দিল পেশোয়ার জালমি। আবু ধাবিতে সোমবার (২১ জুন) রাতের ম্যাচে এক বল বাকী থাকতেই পাঁচ উইকেটে হার মানেন বাবর আজমরা।

শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ওয়াহাব রিয়াজের জালমি। ফলে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪২ রানেই দুই উইকেট হারালেও বাবর আজম ও থিসারা পেরেরার ঝোড়ো ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং স্কোরই পায় করাচি।

নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৭৫ রান তোলে কিংসরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন ওপেনার বাবর আজম। পাক অধিনায়কের ৪৫ বলের এই ইনিংসে ছিল ছয়টি চারের মার। অপর ওপেনার শারজিল খানের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ২৬ রান।

তবে দলের স্কোরে মূল ভূমিকা রাখেন অবসর নেয়া লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। তাঁর ১৮ বলে ৩৭ রানের টর্ণেডো ইনিংসে ভর করেই মূলত ওই চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় করাচি। তিনটি ছক্কার সঙ্গে চারটি চারের মার ছিল পেরেরার ওই ইনিংসে। পেশোয়ার জালমির পক্ষে ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ ইরফান অ উমাইদ আসিফ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

১৭৬ রানের লক্ষ্যে নেমেই ব্যাটে ঝড় তোলেন হযরতুল্লাহ জাজাই। অন্য প্রান্তে বিরতি দিয়ে উইকেট পড়লেও ছক্কা-চারের ফুলঝুরি ছুটিয়ে মাত্র ২৩ বলেই ফিফটি তুলে নেন আফগান মারকুটে ব্যাটসম্যান।
৩৭ বলে ৭৭ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে পেরেরার শিকার হয়ে জাজাই যখন মাঠ ছাড়েন, তখনও ৫১ বলে ৭৩ রান প্রয়োজন জালমির।

যা পূরণ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন শোয়েব মালিক (২৫ বলে ৩০), খালিদ উসমান (১৪ বলে ১৭) ও শেরফেন রাদারফোর্ড (১০ বলে ১৭)। এর আগে পাঁচটি ছক্কার সঙ্গে ১০টি চারের সাহায্যে ম্যাচ সেরা ওই ইনিংস খেলেন জাজাই।

তবে মজার ব্যাপারটি হচ্ছে- ৭৭ রান করা জাজাইকে ফেরানো পেরেরা ওই সময় দুই ওভারে মাত্র ১০ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট তুলে নিলেও পরে আর বল করার সুযোগই পাননি। যেখানে বাকী আট ওভারে জালমির দরকার ছিল ৬৮ রান। হাতে ছিল তাদের ৭টি উইকেট এবং করাচির অন্য বোলারাও তখন রান বিকোচ্ছেন দেদারছে।

যাইহোক অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিমের হয়তো তখন অন্য পরিকল্পনাই ছিল, যা কিনা কাজে আসেনি। তিনি নিজেও ৩ ওভারে দেন ২৬ রান এবং তাঁর প্রিয় বোলার নূর মোহাম্মদ শুরুর উইকেটটি পেলেও ৪ ওভারে রান দেন ৪১টি। অন্যদিকে, ২ ওভারে ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েও বল পাননি পেরেরা। যা নিয়ে ম্যাচ শেষে সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে করাচি অধিনায়ককে।

এদিকে, ম্যাচটিতে হেরে করাচিকে বিদায় করে দিয়ে দ্বিতীয় এলেমিনেটর খেলার সুযোগ পেল পেশোয়ার। আজ মঙ্গলবার বিকেলে দ্বিতীয় এলেমিনেটরে শাদাব খানের ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে ওয়াহাব রিয়াজের দল। এ ম্যাচের জয়ী দলটাই আগামী ২৪ জুন বিকেলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফাইনালে মুলতানের সুলতানদের মুখোমুখি হবে।

গতকাল সোমবার বিকেলে একমাত্র কোয়ালিফায়ারে ইসলামাবাদকে ৩১ রানে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালে পৌঁছে গেছে মোহাম্মাদ রিজওয়ানের দল। যদিও লিগ পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৮টি ম্যাচ জিতে শীর্ষে থেকেই কোয়ালিফায়ারে গিয়েছিল ইউনাইটেডরা। অন্যদিকে, পাঁচটি ম্যাচ জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে দুই নম্বর পজিশনে ছিল মুলতান।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

জাজাই ঝড়ে পাকিস্তান সুপার লিগ থে‌কে বিদায় নি‌লো করা‌চি।

Update Time : ১১:২৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

হযরতুল্লাহ জাজাইয়ের ঝড় তোলা মারকাটারি ইনিংসে ভর করে করাচি কিংসকে পাকিস্তান সুপার লিগের এলিমিনেটর থেকে বিদায় করে দিল পেশোয়ার জালমি। আবু ধাবিতে সোমবার (২১ জুন) রাতের ম্যাচে এক বল বাকী থাকতেই পাঁচ উইকেটে হার মানেন বাবর আজমরা।

শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ওয়াহাব রিয়াজের জালমি। ফলে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪২ রানেই দুই উইকেট হারালেও বাবর আজম ও থিসারা পেরেরার ঝোড়ো ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং স্কোরই পায় করাচি।

নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৭৫ রান তোলে কিংসরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন ওপেনার বাবর আজম। পাক অধিনায়কের ৪৫ বলের এই ইনিংসে ছিল ছয়টি চারের মার। অপর ওপেনার শারজিল খানের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ২৬ রান।

তবে দলের স্কোরে মূল ভূমিকা রাখেন অবসর নেয়া লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। তাঁর ১৮ বলে ৩৭ রানের টর্ণেডো ইনিংসে ভর করেই মূলত ওই চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় করাচি। তিনটি ছক্কার সঙ্গে চারটি চারের মার ছিল পেরেরার ওই ইনিংসে। পেশোয়ার জালমির পক্ষে ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ ইরফান অ উমাইদ আসিফ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

১৭৬ রানের লক্ষ্যে নেমেই ব্যাটে ঝড় তোলেন হযরতুল্লাহ জাজাই। অন্য প্রান্তে বিরতি দিয়ে উইকেট পড়লেও ছক্কা-চারের ফুলঝুরি ছুটিয়ে মাত্র ২৩ বলেই ফিফটি তুলে নেন আফগান মারকুটে ব্যাটসম্যান।
৩৭ বলে ৭৭ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে পেরেরার শিকার হয়ে জাজাই যখন মাঠ ছাড়েন, তখনও ৫১ বলে ৭৩ রান প্রয়োজন জালমির।

যা পূরণ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন শোয়েব মালিক (২৫ বলে ৩০), খালিদ উসমান (১৪ বলে ১৭) ও শেরফেন রাদারফোর্ড (১০ বলে ১৭)। এর আগে পাঁচটি ছক্কার সঙ্গে ১০টি চারের সাহায্যে ম্যাচ সেরা ওই ইনিংস খেলেন জাজাই।

তবে মজার ব্যাপারটি হচ্ছে- ৭৭ রান করা জাজাইকে ফেরানো পেরেরা ওই সময় দুই ওভারে মাত্র ১০ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট তুলে নিলেও পরে আর বল করার সুযোগই পাননি। যেখানে বাকী আট ওভারে জালমির দরকার ছিল ৬৮ রান। হাতে ছিল তাদের ৭টি উইকেট এবং করাচির অন্য বোলারাও তখন রান বিকোচ্ছেন দেদারছে।

যাইহোক অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিমের হয়তো তখন অন্য পরিকল্পনাই ছিল, যা কিনা কাজে আসেনি। তিনি নিজেও ৩ ওভারে দেন ২৬ রান এবং তাঁর প্রিয় বোলার নূর মোহাম্মদ শুরুর উইকেটটি পেলেও ৪ ওভারে রান দেন ৪১টি। অন্যদিকে, ২ ওভারে ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েও বল পাননি পেরেরা। যা নিয়ে ম্যাচ শেষে সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে করাচি অধিনায়ককে।

এদিকে, ম্যাচটিতে হেরে করাচিকে বিদায় করে দিয়ে দ্বিতীয় এলেমিনেটর খেলার সুযোগ পেল পেশোয়ার। আজ মঙ্গলবার বিকেলে দ্বিতীয় এলেমিনেটরে শাদাব খানের ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে ওয়াহাব রিয়াজের দল। এ ম্যাচের জয়ী দলটাই আগামী ২৪ জুন বিকেলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফাইনালে মুলতানের সুলতানদের মুখোমুখি হবে।

গতকাল সোমবার বিকেলে একমাত্র কোয়ালিফায়ারে ইসলামাবাদকে ৩১ রানে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালে পৌঁছে গেছে মোহাম্মাদ রিজওয়ানের দল। যদিও লিগ পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৮টি ম্যাচ জিতে শীর্ষে থেকেই কোয়ালিফায়ারে গিয়েছিল ইউনাইটেডরা। অন্যদিকে, পাঁচটি ম্যাচ জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে দুই নম্বর পজিশনে ছিল মুলতান।