০২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগনের বুকে আর একটিও গুলি চালাবার চেষ্টা করবেন না।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২
  • 21

পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বিএনপি নেতারা বলেছেন, আন্দোলন করা জনগনের গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোটাধিকারসহ জনগনের সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করবে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বলব, জনগনের বুকে আর একটিও গুলি চালাবার চেষ্টা করবেন না। আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকালে বরিশাল নগরীর টাউন হল চত্বরে ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম ও ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমকে নিহতসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বিএনপির এই সমাবেশকে ঘিরে শহরের গুরুত্বপূর্ন মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত র‌্যাব ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। বরিশাল মহানগর ও জেলা (দক্ষিণ) এবং উত্তর জেলা বিএনপির যৌথ আয়োজনে সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু, এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) এ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, এবায়েদুল হক চান, দক্ষিন জেলা বিএনপি আহবায়ক মজিবুর রহমান নান্টু, উত্তর জেলা আহবায়ক দেওয়ান মো. শহিদউল্লাহ প্রমুখ।

আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকের এই সমাবেশ মহাসমাবেশে রূপলাভ করেছে। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে ২৫-৩০ হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছেন। এটিও যেমন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। তেমনি সেইদিন ভোলায়ও বিদ্যুতের লোড শেডিং ও জ্বালানিখাতে অবস্থাপনার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে মিছিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেখানে আপনারা গুলি চালিয়ে আমার দুই ভাই নুরে আলম ও আবদুর রহিমকে হত্যা করেছেন। আরো অনেক ভাই হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের গুলি করে আপনারা এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন না।

গয়েশ্বর বলেন, বাংলার মাটিতে কোনো রাজনৈতিক কর্মীর রক্ত বৃথা যায়নি। যেমন শহীদ নুর হোসেনের রক্তের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন হয়েছে; তেমনি শহীদ আব্দুর রহিম এবং নূরে আলমের রক্তের বিনিময়ে নিশিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও পতন হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এই দুটি হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছেন। আ. রহিম ও নুরে আলম দেশ ও জনগনের জন্য জীবন দিয়ে গেছে। এই শহীদের আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করা হবে। শেখ হাসিনার অধিনে এদেশে আর কোন নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন করে এই দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনারা জনগনের টাকায় বেতন নেন। জনগন আপনাদের টাকায় চলে না। জনগনের বুকে আর গুলি চালাবার চেষ্টা করবেন না। গুলি করে এই সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে পারবেন না। তিনি আরো বলেন, ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে কুইনরেন্টালের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এই জনগনের টাকা পাচারের জন্য তাদের হিসাব দিতে হবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

জনগনের বুকে আর একটিও গুলি চালাবার চেষ্টা করবেন না।

Update Time : ১১:০১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২

পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বিএনপি নেতারা বলেছেন, আন্দোলন করা জনগনের গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোটাধিকারসহ জনগনের সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করবে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বলব, জনগনের বুকে আর একটিও গুলি চালাবার চেষ্টা করবেন না। আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকালে বরিশাল নগরীর টাউন হল চত্বরে ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম ও ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমকে নিহতসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বিএনপির এই সমাবেশকে ঘিরে শহরের গুরুত্বপূর্ন মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত র‌্যাব ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। বরিশাল মহানগর ও জেলা (দক্ষিণ) এবং উত্তর জেলা বিএনপির যৌথ আয়োজনে সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু, এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) এ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, এবায়েদুল হক চান, দক্ষিন জেলা বিএনপি আহবায়ক মজিবুর রহমান নান্টু, উত্তর জেলা আহবায়ক দেওয়ান মো. শহিদউল্লাহ প্রমুখ।

আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকের এই সমাবেশ মহাসমাবেশে রূপলাভ করেছে। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে ২৫-৩০ হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছেন। এটিও যেমন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। তেমনি সেইদিন ভোলায়ও বিদ্যুতের লোড শেডিং ও জ্বালানিখাতে অবস্থাপনার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে মিছিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেখানে আপনারা গুলি চালিয়ে আমার দুই ভাই নুরে আলম ও আবদুর রহিমকে হত্যা করেছেন। আরো অনেক ভাই হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের গুলি করে আপনারা এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন না।

গয়েশ্বর বলেন, বাংলার মাটিতে কোনো রাজনৈতিক কর্মীর রক্ত বৃথা যায়নি। যেমন শহীদ নুর হোসেনের রক্তের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন হয়েছে; তেমনি শহীদ আব্দুর রহিম এবং নূরে আলমের রক্তের বিনিময়ে নিশিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও পতন হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এই দুটি হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছেন। আ. রহিম ও নুরে আলম দেশ ও জনগনের জন্য জীবন দিয়ে গেছে। এই শহীদের আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করা হবে। শেখ হাসিনার অধিনে এদেশে আর কোন নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন করে এই দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনারা জনগনের টাকায় বেতন নেন। জনগন আপনাদের টাকায় চলে না। জনগনের বুকে আর গুলি চালাবার চেষ্টা করবেন না। গুলি করে এই সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে পারবেন না। তিনি আরো বলেন, ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে কুইনরেন্টালের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এই জনগনের টাকা পাচারের জন্য তাদের হিসাব দিতে হবে।