অনলাইন ডেস্ক 
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক নওরীন রহমান বিচার না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জসহ দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান তিনি।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে শহরের বড় বাজার এলাকার একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী নওরীন বলেন, আমার জীবন আজ বিপন্নের পথে। শুধুমাত্র ছাত্রলীগকে ভালোবেসে ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে আমি নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের হাত ধরে ছাত্রলীগে যোগ দেই। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় তার বাসায় আমাকে ডাকা হতো। একপর্যায়ে আমাকে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিলে তা এড়িয়ে যাই। এর কিছুদিন পর পারিবারিক একটি ছবি হাতে পান তিনি। বাসায় ডেকে ওই ছবি দেখিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে কুপ্রস্তাব দেন। এ সময় রাজি না হলে ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, তিনি আমার আরও কিছু ছবি এডিট করে সেই ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে বাজেভাবে প্রচার শুরু করেন। চ্যালেঞ্জের সহযোগীরা আজেবাজে কথাবার্তাসহ আমাকে নানাভাবে হুমকি দেন। মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আমি কোনো উপায় না পেয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেই। কিন্তু অভিযোগ জমা দেওয়ার তিন দিন পার হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিষয়টি আমি জেলা নেতাদের জানিয়েছি, তারা এর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমি। কোনো ধরনের প্রতিকার না পেলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আমি যদি আত্মহত্যা করি, তার জন্য পুলিশ, প্রশাসন, জেলার নেতারা সবাই দায়ী থাকবে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি দেলোয়ার রহমান বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর দেওয়া একটি মামলা এজাহার হিসেবে নেওয়া হয়েছে। সেটি থানায় রেকর্ড করে সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী নওরীন গত ১৯ সেপ্টেম্বর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ জমা দেন। পরে গত ২০ সেপ্টেম্বর জেলা ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় এজাহার জমা দেন।
