০১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘরোয়া সামাজিক অনুষ্ঠানেও আওয়ামী লীগ নাশকতার গন্ধ খুঁজছে :রুহুল কবির রিজভী।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:২৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
  • 21

ঘরোয়া সামাজিক অনুষ্ঠানেও আওয়ামী লীগ নাশকতার গন্ধ খুঁজছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে একটি ঘরোয়া দাওয়াতে আমি এবং ঢাবিসহ অন্য বিশ^বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও পেশাজীবী উপস্থিত ছিলাম। সবমিলিয়ে ১০/১২ জন আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে যদি নাশকতার কোনো পরিকল্পনা করা হতো, তাহলে সিসিটিভি’র ক্যামেরার আওতার মধ্যে কিভাবে আমরা ডাইনিং কক্ষে গিয়ে বসলাম? সেখানে অনেকেই সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন। এটিকেই এখন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং তাদের দলদাস কিছু শিক্ষক। বিভিনড়ব সংগঠনের নামে এখন তারা ষড়যন্ত্রের নামে আমাদের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি দিয়ে আমিসহ ঢাবি ক্লাবের সভাপতি ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ওবায়দুল ইসলামকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছে। আসলে ঢাবি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দলদাস প্রশাসন ড. ওবায়েদকে নানাভাবে হয়রানি করছে। ঢাবি যেন এক্সপোর্ট প্রমোশন জোনের মতো আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের প্রমোশন জোনে পরিণত হয়েছে। আর এদেরকে ছত্রছায়া দিচ্ছে দলদাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আসলে এক দেশে দুই আইন। ক্লাবসহ ঢাবি চত্ত্বরে আওয়ামী নেতা-মন্ত্রীদের অভয়ারণ্য। অনেক রাত পর্যন্ত তারা ক্লাবে আড্ডা দেয় এবং লনটেনিস খেলা সহ নানাবিধ কর্মকাণ্ড চালায়। তাদের জন্য সাত খুন মাফ। অথচ কোনো শিক্ষকের আমন্ত্রণে বিরোধীদলের কোনো নেতা ঢাবিতে কিছু সময়ের জন্য অবস্থান করলেই তারা সেখানে নাশকতার গন্ধ পায়। এমনকি অন্য দেশের অনেক শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীকে অহরহ ঢাবিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এক্ষেত্রে অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অগোচরে ব্যক্তিগত বা বিভিনড়ব সংগঠনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা দিব্যি সারা বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। মূলত: বিরোধীদলের ওপর অত্যাচার করছে বা প্রতিশোধ নিচ্ছে রাষ্ট্র। সরকার তাদের সমালোচনাকারীদের কড়া নজরদারির মধ্যে রেখেছে। এখন বাংলাদেশের মানুষের দেহ ও মন সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে।
তিনি বলেন, এসব ষড়যন্ত্রতত্ত্ব মূলত: দমনমূলক তত্ত্ব। পদ্মাসেতু নিয়ে সরকার যত সমালোচনার মুখে পড়েছে সেটিকে আড়াল করতেই তারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সাজিয়েছে। এই সেতু নিয়ে দুর্নীতি পাগলা ঘোড়ার মতো বেসামাল হয়ে পড়েছে। মানুষের সমালোচনাকে বাকরুদ্ধ করার জন্যই দমননীতি কার্যকর করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা আসলেই আমাদের সমাজের অভ্যন্তরে অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তার ক্ষমতা অজেয় ও কর্তৃত্ব অনতিক্রম্য। কয়েকদিন আগে তিনি আরো বেশি ক্ষমতা চান বলে জানিয়েছেন। এই মনোবৃত্তি হিটলার-মুসোলিনির মতো। এখনই তার যে ক্ষমতা তাতে গণতন্ত্র, নির্বাচন, বাক-স্বাধীনতা দুমড়ে মুচড়ে রাস্তার ধারে ফেলে দেয়া হয়েছে। এরপর আরো বেশি ক্ষমতাধিকারী হলে তিনি দেশটাকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যাবে তা চিন্তা করতেও গা শিউরে ওঠে। আর্তনাদ আর হাহাকারে দেশটা ভরে উঠবে। জনগণের বিবেক ও চিন্তার স্বাধীনতা এবং আলো ও অগ্রগতি চিরতরে ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ঘরোয়া সামাজিক অনুষ্ঠানেও আওয়ামী লীগ নাশকতার গন্ধ খুঁজছে :রুহুল কবির রিজভী।

Update Time : ১২:২৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

ঘরোয়া সামাজিক অনুষ্ঠানেও আওয়ামী লীগ নাশকতার গন্ধ খুঁজছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে একটি ঘরোয়া দাওয়াতে আমি এবং ঢাবিসহ অন্য বিশ^বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও পেশাজীবী উপস্থিত ছিলাম। সবমিলিয়ে ১০/১২ জন আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে যদি নাশকতার কোনো পরিকল্পনা করা হতো, তাহলে সিসিটিভি’র ক্যামেরার আওতার মধ্যে কিভাবে আমরা ডাইনিং কক্ষে গিয়ে বসলাম? সেখানে অনেকেই সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন। এটিকেই এখন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং তাদের দলদাস কিছু শিক্ষক। বিভিনড়ব সংগঠনের নামে এখন তারা ষড়যন্ত্রের নামে আমাদের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি দিয়ে আমিসহ ঢাবি ক্লাবের সভাপতি ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ওবায়দুল ইসলামকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছে। আসলে ঢাবি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দলদাস প্রশাসন ড. ওবায়েদকে নানাভাবে হয়রানি করছে। ঢাবি যেন এক্সপোর্ট প্রমোশন জোনের মতো আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের প্রমোশন জোনে পরিণত হয়েছে। আর এদেরকে ছত্রছায়া দিচ্ছে দলদাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আসলে এক দেশে দুই আইন। ক্লাবসহ ঢাবি চত্ত্বরে আওয়ামী নেতা-মন্ত্রীদের অভয়ারণ্য। অনেক রাত পর্যন্ত তারা ক্লাবে আড্ডা দেয় এবং লনটেনিস খেলা সহ নানাবিধ কর্মকাণ্ড চালায়। তাদের জন্য সাত খুন মাফ। অথচ কোনো শিক্ষকের আমন্ত্রণে বিরোধীদলের কোনো নেতা ঢাবিতে কিছু সময়ের জন্য অবস্থান করলেই তারা সেখানে নাশকতার গন্ধ পায়। এমনকি অন্য দেশের অনেক শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীকে অহরহ ঢাবিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এক্ষেত্রে অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অগোচরে ব্যক্তিগত বা বিভিনড়ব সংগঠনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা দিব্যি সারা বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। মূলত: বিরোধীদলের ওপর অত্যাচার করছে বা প্রতিশোধ নিচ্ছে রাষ্ট্র। সরকার তাদের সমালোচনাকারীদের কড়া নজরদারির মধ্যে রেখেছে। এখন বাংলাদেশের মানুষের দেহ ও মন সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে।
তিনি বলেন, এসব ষড়যন্ত্রতত্ত্ব মূলত: দমনমূলক তত্ত্ব। পদ্মাসেতু নিয়ে সরকার যত সমালোচনার মুখে পড়েছে সেটিকে আড়াল করতেই তারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সাজিয়েছে। এই সেতু নিয়ে দুর্নীতি পাগলা ঘোড়ার মতো বেসামাল হয়ে পড়েছে। মানুষের সমালোচনাকে বাকরুদ্ধ করার জন্যই দমননীতি কার্যকর করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা আসলেই আমাদের সমাজের অভ্যন্তরে অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তার ক্ষমতা অজেয় ও কর্তৃত্ব অনতিক্রম্য। কয়েকদিন আগে তিনি আরো বেশি ক্ষমতা চান বলে জানিয়েছেন। এই মনোবৃত্তি হিটলার-মুসোলিনির মতো। এখনই তার যে ক্ষমতা তাতে গণতন্ত্র, নির্বাচন, বাক-স্বাধীনতা দুমড়ে মুচড়ে রাস্তার ধারে ফেলে দেয়া হয়েছে। এরপর আরো বেশি ক্ষমতাধিকারী হলে তিনি দেশটাকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যাবে তা চিন্তা করতেও গা শিউরে ওঠে। আর্তনাদ আর হাহাকারে দেশটা ভরে উঠবে। জনগণের বিবেক ও চিন্তার স্বাধীনতা এবং আলো ও অগ্রগতি চিরতরে ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।