০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক‌রোনায় আক্রান্ত হ‌য়ে খুলনা ও যশোরে একদিনে ২১ জনের মৃত্যু।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:০১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
  • 18

খুলনা ও যশোরে একদিনে প্রাণ গেছে ২১ জনের। এরমধ্যে খুলনার তিনটি হাসপাতালে করোনায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে- খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৭ জন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন ও খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু হয়।

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আওতাভুক্ত করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এ ছাড়া ১৩০ শয্যার এ করোনা হাসপাতালে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। যার মধ্যে রেড জোনে ৯৮ জন, ইয়ালো জোনে ১৩ জন, এইচডিইউতে ১৮ জন এবং আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ জন।
এদিকে স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে জানান, যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা ও করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১০ জন। উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের পাঁচ পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে লকডাউন সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে লকডাউন কার্যকরভাবে মানছে না সাধারণ মানুষ যেকারণে শনাক্ত মৃত্যু সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে প্রশাসন বলছে লকডাউন কার্যকর করতে আরো কঠোরতা আরোপ করা হবে। সেইসাথে জনগণকেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ তাদের।

স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় ৫২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৮ শতাংশ। আজ মারা গেছেন ১০ জন। এদের মধ্যে ৬ জন করোনা রোগী এবং অপর ৪ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৩৭ জন।

এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও দারিদ্র্যতার কারণে বাহিরে আসছে সাধারণ মানুষ। সেইসাথে লকডাউন কার্যকর করতে আরো কঠোরতা আরোপের কথা বলেছেন তারা।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের পাঁচ পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে লকডাউন সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে লকডাউন কার্যকরভাবে মানছে না সাধারণ মানুষ যেকারণে শনাক্ত মৃত্যু সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ক‌রোনায় আক্রান্ত হ‌য়ে খুলনা ও যশোরে একদিনে ২১ জনের মৃত্যু।

Update Time : ০২:০১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

খুলনা ও যশোরে একদিনে প্রাণ গেছে ২১ জনের। এরমধ্যে খুলনার তিনটি হাসপাতালে করোনায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে- খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৭ জন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন ও খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু হয়।

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আওতাভুক্ত করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এ ছাড়া ১৩০ শয্যার এ করোনা হাসপাতালে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। যার মধ্যে রেড জোনে ৯৮ জন, ইয়ালো জোনে ১৩ জন, এইচডিইউতে ১৮ জন এবং আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ জন।
এদিকে স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে জানান, যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা ও করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১০ জন। উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের পাঁচ পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে লকডাউন সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে লকডাউন কার্যকরভাবে মানছে না সাধারণ মানুষ যেকারণে শনাক্ত মৃত্যু সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে প্রশাসন বলছে লকডাউন কার্যকর করতে আরো কঠোরতা আরোপ করা হবে। সেইসাথে জনগণকেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ তাদের।

স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় ৫২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৮ শতাংশ। আজ মারা গেছেন ১০ জন। এদের মধ্যে ৬ জন করোনা রোগী এবং অপর ৪ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৩৭ জন।

এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও দারিদ্র্যতার কারণে বাহিরে আসছে সাধারণ মানুষ। সেইসাথে লকডাউন কার্যকর করতে আরো কঠোরতা আরোপের কথা বলেছেন তারা।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের পাঁচ পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে লকডাউন সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে লকডাউন কার্যকরভাবে মানছে না সাধারণ মানুষ যেকারণে শনাক্ত মৃত্যু সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।