পাঁচ দিন পরে ১৩ বছরের কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা পুলিশ উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল উত্তরপাড়া বিল্লাল মিয়ার বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
কিশোরীকে আটকে রাখার অপরাধে পুলিশ বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী সাহিদা বেগমকে (৪৮) আটক করেছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাহিদা বেগমকে (৪৮) এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং উদ্ধারকৃত কিশোরীকে তার বাবার কাছে দেয়া হয়েছে।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী সাহিদা বেগম পার্শ্ববর্তী আজগানা গ্রামের ওই কিশোরীর বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই কিশোরীকে দেখে নানা ধরনের প্রলোভন দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যান। যাওয়ার পথে ওই কিশোরীকে তরল পদার্থ জাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়। বাড়িতে যাওয়ার পর আবারও কিশোরীকে তরল পদার্থ জাতীয় কিছু খাওয়ান। সারারাত ওই কিশোরী অচেতন অবস্থায় ঘুমায়। এভাবে অচেতন করে তাকে পাঁচদিন আটকে রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযুক্তর বাড়ির পাশের বাড়িতে টিউবওয়েল স্থাপন করতে আসেন কিশোরীর পরিচিত ব্যক্তিরা। সুযোগ বুঝে ওই কিশোরী তাদের সঙ্গে কথা বলে জানায় অভিযুক্ত সাহিদা বেগম তাকে আটকে রেখেছে। পরে তারা কিশোরীর বাবাকে বিষয়টি জানান।
এ খবর পেয়ে কিশোরীর বাবা ৯৯৯ এ কল দিলে মির্জাপুর থানা পুলিশ রাতে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সাহিদা বেগমকে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম বুলবুল অভিযুক্ত সাহিদা বেগমকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, অভিযুক্ত নারী সাহিদা বেগম বিভিন্ন স্থান থেকে কিশোরী ও যুবতী মেয়েদের নানা প্রলোভনে তার বাড়িতে এনে নেশা জাতীয় ও যৌন উত্তেজক দ্রব্য পান করিয়ে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করেন।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কিশোরীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং অভিযুক্তকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।