১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলকে কোনো পরাশক্তির শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হ‌তে দেয়া হবে না: জিনপিং

থাইল্যান্ডে এপেক সম্মেলন শুরুর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এক লিখিত বক্তব্যে চীনা প্রেসিডেন্ট এশিয়ায় যেকোনো যুদ্ধ প্রত্যাখ্যান করার ওপর জোর দেন। সেই সঙ্গে নতুন করে শীতল যুদ্ধের ঝুঁকির ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন তিনি।

চলতি মাসে এশিয়ায় ইতোমধ্যে দুটি গুরুত্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আসিয়ান ও জি-২০ সম্মেলনের পর শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলন। এতে যোগ দিতে দেশটিতে জড়ো হয়েছেন বিশ্বনেতারা।

এবারের সম্মেলনের মধ্যদিয়ে জিনপিং মূলত চীনকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক ঐক্যের চালিকাশক্তি হিসেবে উপস্থাপন করতে চান। মূল সম্মেলন শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে দেয়া লিখিত বক্তব্যে সেটাই স্পষ্ট করেছেন তিনি।

জিনপিং তার বক্তব্যে স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল কারও উঠান নয়, আর কোনো পরাশক্তির শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চও হবে না।’ এরপর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ককে রাজনীতিকরণ ও অস্ত্রকরণের ব্যাপারেও হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘নতুন করে শীতল যুদ্ধ ও পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার যেকোনো চেষ্টা এই অঞ্চলের মানুষ ও সময় বরদাস্ত করবে না।’ বক্তব্যে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করলেও এর মাধ্যমে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রকে একটা প্রচ্ছন্ন বার্তা দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

এবারের এপেক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও চীনসহ এপেকের ২১ সদস্য রাষ্ট্রের নেতারা। বাণিজ্য, বিশ্ব অর্থনীতি এবং অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনা হবে সম্মেলনে। থাইল্যান্ডে শুক্র ও শনিবার দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরুর আগে বৃহস্পতিবার বিশ্বনেতাদের অনেকটা আয়েশ করেই একসঙ্গে রাতের খাবার উপভোগ করতে দেখা যায়।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাসহ সবাই থাই খাবার উপভোগ করেন।

শুক্রবার মূল সম্মেলন শুরুর আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিভিন্ন দেশের নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। নেতারা অনেকেই একে অপরের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন। চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতার জন্য আরও বেশি অবদান রাখবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান শি জিনপিং।

এপেক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসও। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বার্থ তুলে ধরবেন এবং মিয়ানমারে চলমান সামরিক হামলা সংক্রান্ত উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করবেন। এবারের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় কোনো দেশের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে ফ্রান্সের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই অঞ্চলের ‘সংঘাত’ অবসানের আহবান জানিয়েছেন। ব্যাংককে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ আহবান জানান।

সম্মেলনের ফাঁকে ব্যবসায়ী নেতাদের এক সমাবেশে ম্যাক্রোঁ বলেন, মার্কিন-চীন ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার মুখে তিনি এই অঞ্চলে ফ্রান্সের কৌশলগত সম্পর্ক পুনরায় সক্রিয় করতে চাইছেন। তিনি আরও বলেন, তার দেশ এই অঞ্চলে সংঘর্ষ এড়াতে এবং স্থিতিশীলতা ফেরাতে ভূমিকা পালন করতে চায়। ম্যাক্রো বলেন, ‘আমরা আধিপত্যে বিশ্বাস করি না, আমরা সংঘাতে বিশ্বাস করি না, আমরা স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করি।’

ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জলবায়ু পরিবর্তন থেকে অর্থনৈতিক মন্দার ওভারল্যাপিং সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে এবং এটি মোকাবেলায় একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি বলেন ,‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল হল গতিশীল ভারসাম্য তৈরি করা।’

ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার একটি প্রধান উৎস হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, এটি একটি অত্যন্ত খারাপ কাজ হিসেবে এশিয়া ও অন্যত্র সব দেশের স্বীকৃতি দিতে হবে।

এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানকারী দেশগুলোর সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় অর্ধেক বিশ্ব বাণিজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী ২১টি অর্থনীতি বাণিজ্যকে উন্নীত করার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবে এবং বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করবে।

করোনা ভাইরাস মহামারির পরে এবং কয়েক বছর ধরে মহামারীতে ক্ষয়িষ্ণু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি ব্লকের দুটি বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার পরে এই প্রথমবারের মতো কর্মকর্তারা সশরীরে সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন। এপেক নেতাদের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস।

এপেক-এর যে তিনটি সদস্য রাষ্ট্র (চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম) ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে সংযুক্ত করার রাশিয়ার প্রচেষ্টার নিন্দা জানিয়ে অক্টোবরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে ভোট প্রদান থেকে বিরত ছিল, তাদের মধ্যে থাইল্যান্ড একটি। কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন যে এবারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। কারণ এই বছরের এপেক সভা ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার ফলে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়ছে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলকে কোনো পরাশক্তির শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হ‌তে দেয়া হবে না: জিনপিং

Update Time : ০৮:০২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২

থাইল্যান্ডে এপেক সম্মেলন শুরুর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এক লিখিত বক্তব্যে চীনা প্রেসিডেন্ট এশিয়ায় যেকোনো যুদ্ধ প্রত্যাখ্যান করার ওপর জোর দেন। সেই সঙ্গে নতুন করে শীতল যুদ্ধের ঝুঁকির ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন তিনি।

চলতি মাসে এশিয়ায় ইতোমধ্যে দুটি গুরুত্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আসিয়ান ও জি-২০ সম্মেলনের পর শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলন। এতে যোগ দিতে দেশটিতে জড়ো হয়েছেন বিশ্বনেতারা।

এবারের সম্মেলনের মধ্যদিয়ে জিনপিং মূলত চীনকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক ঐক্যের চালিকাশক্তি হিসেবে উপস্থাপন করতে চান। মূল সম্মেলন শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে দেয়া লিখিত বক্তব্যে সেটাই স্পষ্ট করেছেন তিনি।

জিনপিং তার বক্তব্যে স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল কারও উঠান নয়, আর কোনো পরাশক্তির শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চও হবে না।’ এরপর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ককে রাজনীতিকরণ ও অস্ত্রকরণের ব্যাপারেও হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘নতুন করে শীতল যুদ্ধ ও পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার যেকোনো চেষ্টা এই অঞ্চলের মানুষ ও সময় বরদাস্ত করবে না।’ বক্তব্যে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করলেও এর মাধ্যমে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রকে একটা প্রচ্ছন্ন বার্তা দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

এবারের এপেক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও চীনসহ এপেকের ২১ সদস্য রাষ্ট্রের নেতারা। বাণিজ্য, বিশ্ব অর্থনীতি এবং অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনা হবে সম্মেলনে। থাইল্যান্ডে শুক্র ও শনিবার দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরুর আগে বৃহস্পতিবার বিশ্বনেতাদের অনেকটা আয়েশ করেই একসঙ্গে রাতের খাবার উপভোগ করতে দেখা যায়।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাসহ সবাই থাই খাবার উপভোগ করেন।

শুক্রবার মূল সম্মেলন শুরুর আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিভিন্ন দেশের নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। নেতারা অনেকেই একে অপরের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন। চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতার জন্য আরও বেশি অবদান রাখবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান শি জিনপিং।

এপেক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসও। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বার্থ তুলে ধরবেন এবং মিয়ানমারে চলমান সামরিক হামলা সংক্রান্ত উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করবেন। এবারের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় কোনো দেশের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে ফ্রান্সের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই অঞ্চলের ‘সংঘাত’ অবসানের আহবান জানিয়েছেন। ব্যাংককে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ আহবান জানান।

সম্মেলনের ফাঁকে ব্যবসায়ী নেতাদের এক সমাবেশে ম্যাক্রোঁ বলেন, মার্কিন-চীন ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার মুখে তিনি এই অঞ্চলে ফ্রান্সের কৌশলগত সম্পর্ক পুনরায় সক্রিয় করতে চাইছেন। তিনি আরও বলেন, তার দেশ এই অঞ্চলে সংঘর্ষ এড়াতে এবং স্থিতিশীলতা ফেরাতে ভূমিকা পালন করতে চায়। ম্যাক্রো বলেন, ‘আমরা আধিপত্যে বিশ্বাস করি না, আমরা সংঘাতে বিশ্বাস করি না, আমরা স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করি।’

ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জলবায়ু পরিবর্তন থেকে অর্থনৈতিক মন্দার ওভারল্যাপিং সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে এবং এটি মোকাবেলায় একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি বলেন ,‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল হল গতিশীল ভারসাম্য তৈরি করা।’

ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার একটি প্রধান উৎস হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, এটি একটি অত্যন্ত খারাপ কাজ হিসেবে এশিয়া ও অন্যত্র সব দেশের স্বীকৃতি দিতে হবে।

এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানকারী দেশগুলোর সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় অর্ধেক বিশ্ব বাণিজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী ২১টি অর্থনীতি বাণিজ্যকে উন্নীত করার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবে এবং বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করবে।

করোনা ভাইরাস মহামারির পরে এবং কয়েক বছর ধরে মহামারীতে ক্ষয়িষ্ণু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি ব্লকের দুটি বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার পরে এই প্রথমবারের মতো কর্মকর্তারা সশরীরে সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন। এপেক নেতাদের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস।

এপেক-এর যে তিনটি সদস্য রাষ্ট্র (চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম) ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে সংযুক্ত করার রাশিয়ার প্রচেষ্টার নিন্দা জানিয়ে অক্টোবরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে ভোট প্রদান থেকে বিরত ছিল, তাদের মধ্যে থাইল্যান্ড একটি। কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন যে এবারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। কারণ এই বছরের এপেক সভা ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার ফলে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়ছে।