০৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়েশার বিবাহকালীন বয়স সমাচার ।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
  • 34
আমাদের চারিপাশে প্রচলিত ইসলামে সহীহ বুখারীর হাদিস দিয়ে এটা বহুলভাবে প্রচার করা হয় যে , হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) যখন হযরত আয়েশাকে বিবাহ করেন তখন হযরত আয়েশার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর ।
হযরত আয়েশার তখন পুতুল খেলার বয়স ছিল । অসম বয়সের এই বিয়েতে তিনি প্রচন্ড ভয় পেয়েছিলেন ইত্যাদি ইত্যাদি ।
এবং নয় বছর বয়সে হযরত আয়েশা মহানবীর (সাঃ) সাথে ঘর করা শুরু করেন ।
হযরত মুহাম্মাদের (সাঃ) বয়স তখন ছিল ৫৪ বছর ।
প্রথমে দেখে নিন এই সম্বন্ধে প্রচলিত সহীহ হাদিস ।
গ্রন্থ – সহীহ আল বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায় – ৬৩/ আনসারগন [রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুম]-এর মর্যাদা (كتاب مناقب الأنصار)
হাদিস নম্বর – ৩৮৯৬
৬৩/৪৪.
‘আয়িশাহ (রাঃ) এর সঙ্গে নবীর (সাঃ) বিবাহ, তাঁর মাদীনাহ উপস্থিতি এবং ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর সঙ্গে তাঁর বাসর।
৩৮৯৬.
হিশাম এর পিতা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন , রাসুল (সাঃ) মদীনার দিকে বের হওয়ার তিন বছর আগে খাদীজাহর (রাঃ) মৃত্যু হয় । তারপর দু’বছর অথবা এর কাছাকাছি সময় অতিবাহিত করে তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে বিবাহ করেন । যখন তিনি ছিলেন ছয় বছরের বালিকা । তারপর নয় বছর বয়সে বাসর উৎযাপন করেন ।
সূত্র – সহীহ বুখারী , হাদিস নং -৩৮৯৪ , ৩৬০৯ (আধুনিক প্রকাশনী) / হাদিস নং – ৩৬১৪ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
সুধীবৃন্ধঃ
বিষয়টি নিয়ে সারা দুনিয়াতে এখনও খুব বাজে ভাবে হযরত মুহাম্মাদের (সাঃ) মান মর্যাদা সাংঘাতিক ভাবে ভুলন্ঠিত করা হয় ।
এবং জাতি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল মানুষের পক্ষ থেকে এই জাতীয় সমালোচনা অবশ্যই যৌক্তিক ।
কোন সভ্য সমাজ এই জাতীয় অসম ও শিশু বা বাল্য বিবাহ মেনে নিতে পারে না ।
এরপরেও প্রচলিত গল্পটি যদি সত্য হত , কষ্ট হলেও মেনে নেওয়া যেত । কিন্ত শতকরা একশত ভাগ টাটকা ডাঁহা একটি মিথ্যা গল্প কেনইবা মেন নেব ?
প্রিয় পাঠক ,
তথ্য সমৃদ্ব লেখাটি কিছু দীর্ঘ হওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়ে অনুরোধ করছি যে , লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন এবং জ্বলজ্যান্ত একটি মিথ্যা গল্প থেকে মুক্ত হন ।
পবিত্র কোরআনে পরিস্কার করে ঘোষনা দেওয়া হচ্ছে যে ,
” —- আল্লাহর রাসুলের মধ্যে নিঃসন্দেহে তোমাদের জন্য আছে এক উত্তম আদর্শ —– ” ।
সুরা – আহযাব / ২১ ।
এই আয়াত বলবৎ থাকার পরেও রাসুল (সাঃ) কখনও কি এই জাতীয় জঘন্য নিকৃষ্ট কর্ম করতে পারেন !
আমাদের বিচার বুদ্বি বিবেক এতটাই লোপ পেয়ে গেল কিভাবে ?
বিষয়টি কেন আমরা এভাবে চিন্তা করি না !
সাধারনত একজন পুরুষের দ্বিতীয় বিবাহ করার অন্যতম কারন এটাই যে , প্রথম পত্মী ইন্তেকাল করার পরে ছোট সন্তানদের লালন পালন এবং সংসার তদারকির জন্য দ্বিতীয় বিবাহ করে ।
সেই হিসাবে রাসুলের (সাঃ) প্রথম পত্মী খাদিজার (সাঃআঃ) ইন্তেকালের পরে ঘরে থাকা ছোট কন্যা ফাতেমার (সাঃআঃ) দেখভালের জন্য এবং সংসার তদারকির জন্য রাসুল (সাঃ) কি ছয় বছরের আরেক শিশু মেয়েকে বিবাহ করতে পারেন ?
দ্বিতীয় বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল (সাঃ) অবশ্যই একজন বয়স্ক মেয়ে পছন্দ করবেন । এটাই যৌক্তিক ও বুদ্বিবৃত্তিক সিদ্বান্ত হওয়া উচিত ।
খুবই দুঃখ লাগে যে , রাসুলকে (সাঃ) এইভাবে সহীহ হাদিসের দোহাই দিয়ে সমগ্র দুনিয়ার সামনে কতটা নীচ ও হীন করে দেয়া হচ্ছে ।
দুঃখের মাত্রা আরও বেড়ে যায় যখন দেখতে পাই যে , এই জাতীয় জঘন্য মিথ্যা প্রচারনার বিরুদ্বে আজ পর্যন্ত আমাদের সুন্নি সমাজের সম্মানীয় ধর্মীয় আলেম পন্ডিতগন কোন যৌক্তিক জবাব দিতে পারলেন না !
এমনকি এ সকল আলেমগন বিষয়টি নিয়ে কোনরুপ খোঁজখবর বা গবেষনা করার প্রয়োজন মনে করেন না ।
প্রিয় পাঠক ,
বিশ্বাস করুন , পুরো বিষয়টি জঘন্য ডাঁহা একটি মিথ্যা কাহিনী ।
পরিকল্পিতভাবে এসব করা হচ্ছে শুধুমাত্র রাসুলের (সাঃ) মান সম্মান ও মর্যাদাকে দুনিয়ার সামনে ছোট করার জন্য !
আসুন ,
প্রথমে দেখে নিন সুন্নিদের বিখ্যাত গ্রন্থে উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়েশার বিবাহকালীন বয়স নিয়ে যে তথ্যগুলো এখনও বিদ্যমান আছে ।
ঐতিহাসিক ও সহীহ হাদিসের ইমামরা বলেছেন ।
দৃষ্টান্তস্বরূপ –
১) –
মা আয়েশা থেকে বর্ণিত —
حدثنا قُتَيْبَةُ بن سَعِيدٍ حدثنا حُمَيْدُ بن عبد الرحمن عن هِشَامِ بن عُرْوَةَ عن أبيه عن عَائِشَةَ رضي الله عنها قالت ما غِرْتُ على امْرَأَةٍ ما غِرْتُ على خَدِيجَةَ من كَثْرَةِ ذِكْرِ رسول اللَّهِ (ص) إِيَّاهَا قالت وَتَزَوَّجَنِي بَعْدَهَا بِثَلَاثِ سِنِينَ وَأَمَرَهُ رَبُّهُ عز وجل أو جِبْرِيلُ عليه السَّلَام أَنْ يُبَشِّرَهَا بِبَيْتٍ في الْجَنَّةِ من قَصَبٍ.
তিনি (হযরত আয়েশা) হযরত খাদিজার ইন্তেকালের তিন বৎসর পর অর্থাৎ নবুয়্যতের ১৩তম বছরে রাসুলকে (সাঃ) বিবাহ করেছেন ।
সূত্র – সহীহ আল বুখারী , খণ্ড – ০৩ , হাদিস নং ৩৬০৬ / কিতাবু ফাযায়িলিস সাহাবা , বাব তায্-উইজিন নাবী ওয়া খাদিজা ।
ইবনে মুলাককান আনসারী আশ শাফেয়ী তার “গ্বায়াতুস সাউল ফি খাসায়িসির রাসূল” কিতাবের খণ্ড ০১ , পৃষ্ঠা ২৩৬ তে সহীহ বুখারীর উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করার পর লিখেছেন –
وبنى بها بالمدينة في شوال في السنة الثانية .
“রাসূল (সাঃ) হিজরী দ্বিতীয় বৎসরে হযরত আয়েশাকে ঘরে তুলে নিয়ে এসেছিলেন ।”
২) –
ঐতিহাসিক ও সহীহ হাদিসের ইমামরা বলেছেন –
দৃষ্টান্তস্বরূপ –
“আনসাবুল আশরাফ” কিতাবে বর্ণিত আছে –
وتزوج رسولُ الله صلى الله عليه وسلم، بعد خديجة، سودة بنت زَمعة بن قيس، من بني عامر بن لؤي، قبل الهجرة بأشهر… فكانت أول امرأة وطئها بالمدينة.
“হিজরী চতুর্থ সনে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) হযরত আয়েশাকে বিয়ে করেন ।
সূত্র – আল বালাযুরী, আহমাদ বিন ইয়াহইয়া বিন জাবির (মৃত্যুঃ ২৭৯হিঃ), আনসাবুল আশরাফ, খণ্ড ১, পৃঃ নং ১৮১ ।
অন্যদিকে ইমাম শামসুদ্দীন আয্ যাহাবী বলেছেন —
وتوفيت في آخر خلافة عمر ، وقد انفردت بصحبة النبي صلى الله عليه وسلم أربع سنين لا تشاركها فيه امرأة ولا سرية ، ثم بنى بعائشة بعد … .
“হযরত সুদা বিনতে যামআ’ ইবনে ক্বাইস ইবনে আব্দুশ শামস একাই হিজরতের প্রথম চার বছর রাসূলের স্ত্রী ছিলেন । এই সময়ের মধ্যে অন্য কেউ রাসূলের (সাঃ) স্ত্রী ছিলেন না । অতঃপর আল্লাহর রাসূল (সাঃ) হযরত আয়েশাকে বিবাহ করেন ।
সূত্র – যাহাবী , শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন আহমাদ বিন উসমান(মৃত্যুঃ ৭৪৮হিঃ), তারিখুল ইসলাম ওয়া ওয়াফাইয়াতিল মাশাহিরী ওয়াল আ’লাম, খণ্ড – ০৩, পৃষ্ঠা নং ২৮৮ ।
উপসংহার –
সুন্নি রেফারেন্স থেকে দুইটি প্রসিদ্ব ও মজবুত মত ।
১। বিবাহ হয়েছে নবুয়্যত প্রাপ্তির ১৩ তম বছরে । তবে তাকে নবীজীর (সাঃ) ঘরে উঠিয়ে আনা হয়েছে ২য় হিজরীতে।
২। বিবাহ হয়েছে ৪র্থ হিজরীতে ।
******
এবারে দেখে নিন রাসুলের (সাঃ) সাথে বিবাহের সময় হযরত আয়েশার বয়স কত ছিল ?
সকল ঐতিহাসিক ও সহীহ হাদিসের ইমামরা বলেছেন –
হযরত আয়েশার বড় বোন হযরত আসমা বিনতে আবু বকর ছোট বোন হযরত আয়েশা থেকে দশ বছর বড় ছিলেন এবং নবুয়্যতের ১৩ তম বছরে হযরত আসমা বিনতে আবু বকরের বয়স ছিল ২৭ বৎসর ।
সূত্র – আল ইসবাহানী , আবু নাঈম আহমাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (মৃত্যূঃ ৪৩০হিঃ), মা’রিফাতুস সাহাবা, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ৩২৫৩, হাদিস নং ৩৭৬৯ / আত্ তাবারানী , আবুল ক্বাসিম সুলাইমান ইবনে আহমাদ ইবনে আইয়ুব (মৃত্যুঃ ৩৬০হিঃ), আল মু’জামুল কাবির, খণ্ড ২৪, পৃঃ নং ৭৭ / ইবনুল আসাকির আদ্ দামিশক্বী আশ শাফিঈ; আবুল কাসিম আলী ইবনিল হুসাইন ইবনে হিবাতুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ(মৃত্যুঃ ৫৭১হিঃ), তারিখু মাদিনাতু দামিশ্ক ওয়া যিকরু ফাযলিহা ওয়া তাসমিয়্যাতি মি হাল্লিহা মিনাল আমাসিল, খণ্ড ৮, পৃঃ নং ৩৪৫, ৩৪৬; খণ্ড ৯, পৃঃ নং ৬৯ / ইবনে আসির, আলী ইবনে মুহাম্মাদ(মৃত্যুঃ ৫৭১হিঃ), উসুদুল গ্বাবা ফি মা’রিফাতিস সাহাবা, খণ্ড ৭, পৃঃ নং ১১ / আন্ না-ওয়া-উই; আবু যাকারিয়া ইয়াহিয়া ইবনে শারাফ ইবনে মারি(মৃত্যুঃ ৬৭৬হিঃ) / তাহযিবুল আসমায়ি ওয়াল লুগ্বাত, খণ্ড – ০২, পৃষ্ঠা নং ৫৯৭-৫৯৮ / আল্ হাইসামী; আবুল হাসান আলী ইবনে আবি বাকর(মৃত্যুঃ ৮০৭হিঃ) , মাজমাউয্ যাওয়ায়িদ ওয়া মাম্বাউল ফাওয়ায়িদ, খণ্ড ৯, পৃঃ নং ২৬০ / আল্ আইনী; বদরুদ্দীন আবু মুহাম্মাদ মাহমুদ ইবনে আহমাদ আল গ্বাইতাবী আল হানাফি(মৃত্যুঃ ৮৫৫হিঃ), উ’মদাতুল ক্বরী শারহু সাহিহিল বুখারী, খণ্ড ২, পৃঃ নং ৯৩ / আল আসক্বালানী আশ্ শাফেয়ী’; আবুল ফাদ্বল আহমাদ ইবনে আলী ইবনে হাজার(মৃত্যুঃ ৮৫২হিঃ), আল্ ইসাবাতু ফি তামিযিস সাহাবা, খণ্ড ৭, পৃঃ নং ৪৮৭ / আল্ বাইহাক্বী , আবু বাকর আহমাদ ইবনুল হুসাইন ইবনে আলী ইবনে মুসা(মৃত্যুঃ ৪৫৮হিঃ), সুনানু বাইহাক্বী আল কুবরা, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২০৪ / যাহাবী, শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন আহমাদ বিন উসমান(মৃত্যুঃ ৭৪৮হিঃ), তারিখুল ইসলাম ওয়া ওয়াফাইয়াতিল মাশাহিরী ওয়াল আ’লাম, খণ্ড ২, পৃঃ নং ২৮৯ / আস সানআনী, মুহাম্মদি ইবনে ইসমাঈল(মৃত্যুঃ ৮৫২হিঃ), সুবুলস সালাম শারহু বুলুগ্বিল মারাম মিন আদিল্লাতিল আহকাম, খণ্ড ১, পৃঃ নং ৩৯ ।
উপরে উল্লেখিত সুন্নি মাযহাবের নামকরা বিখ্যাত সহীহ হাদিস এবং বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ মোতাবেক এটা অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে , নবুয়্যতের ১৩ তম বছরে হযরত আয়েশার বয়স ছিল ২৭-১০= ১৭ বৎসর ।
আর হিজরী ২য় বৎসরে হযরত আয়েশার বয়স হবে ১৭+২=১৯ বৎসর এবং এবং হিজরী ৪র্থ বৎসরে হযরত আয়েশার বয়স হবে ১৭+৪=২১ বৎসর ।
সাধারন অংকের হিসাবে এটা জলের মত পরিস্কার যে , রাসুলের (সাঃ) সাথে বিবাহের সময় হযরত আয়েশার বয়স কমপক্ষে ২০ বছর ছিল ।
পাঠক ,
এবারে আরও কিছু তথ্য জেনে নিন —
হযরত মুহাম্মাদের (সাঃ) সাথে যখন উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়েশার শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয় তখন হযরত আয়েশার বয়স ছিল সতের থেকে ২০ (কুড়ি) বছর ।
এবং হযরত মুহাম্মাদের (সাঃ) সাথে বিবাহের পূর্বে হযরত আয়েশা জনৈক মুতেমের পুত্র জুবাইরের বাগদত্তা ছিলেন ।
রাসুলের (সাঃ) সাথে যখন বিবাহের কথা পাকাপাকি হয় তখন হযরত আয়েশার পিতা হযরত আবু বকর মুতেমের পুত্র জুবাইরের নিকট থেকে বাগদত্তা বাতিল করে আনেন ।
এরপরেই হযরত আয়েশা এবং হযরত মুহাম্মাদের (সাঃ) বিবাহ হয় ।
এই সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে হলে —-
You Tube এ যেয়ে টাইপ করুন –
Aisha Marriage Age Exposed With Evidence !
ভিডিওতে সকল কিতাবের রেফারেন্স ও লিখিত প্রমান দেয়া আছে ।
ইংরেজী সাব টাইটেল দেয়া আছে ।
এছাড়াও উর্দ্দু ভাষাতে শুনুন –
You Tube এ যেয়ে টাইপ করুন –
Age of Syeda Ayesha RA at the time of Marrige by Javed Ahmed Ghamidi এর কন্ঠে ।
ইনি হলেন পাকিস্তানের খুব বিখ্যাত একজন ইসলামিক গবেষক ।
আশা করি বহুদিনের জঘন্য টাটকা ডাঁহা একটি মিথ্যা কাহিনী থেকে মুক্ত হলেন ।
Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়েশার বিবাহকালীন বয়স সমাচার ।

Update Time : ১০:৪১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
আমাদের চারিপাশে প্রচলিত ইসলামে সহীহ বুখারীর হাদিস দিয়ে এটা বহুলভাবে প্রচার করা হয় যে , হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) যখন হযরত আয়েশাকে বিবাহ করেন তখন হযরত আয়েশার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর ।
হযরত আয়েশার তখন পুতুল খেলার বয়স ছিল । অসম বয়সের এই বিয়েতে তিনি প্রচন্ড ভয় পেয়েছিলেন ইত্যাদি ইত্যাদি ।
এবং নয় বছর বয়সে হযরত আয়েশা মহানবীর (সাঃ) সাথে ঘর করা শুরু করেন ।
হযরত মুহাম্মাদের (সাঃ) বয়স তখন ছিল ৫৪ বছর ।
প্রথমে দেখে নিন এই সম্বন্ধে প্রচলিত সহীহ হাদিস ।
গ্রন্থ – সহীহ আল বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায় – ৬৩/ আনসারগন [রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুম]-এর মর্যাদা (كتاب مناقب الأنصار)
হাদিস নম্বর – ৩৮৯৬
৬৩/৪৪.
‘আয়িশাহ (রাঃ) এর সঙ্গে নবীর (সাঃ) বিবাহ, তাঁর মাদীনাহ উপস্থিতি এবং ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর সঙ্গে তাঁর বাসর।
৩৮৯৬.
হিশাম এর পিতা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন , রাসুল (সাঃ) মদীনার দিকে বের হওয়ার তিন বছর আগে খাদীজাহর (রাঃ) মৃত্যু হয় । তারপর দু’বছর অথবা এর কাছাকাছি সময় অতিবাহিত করে তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে বিবাহ করেন । যখন তিনি ছিলেন ছয় বছরের বালিকা । তারপর নয় বছর বয়সে বাসর উৎযাপন করেন ।
সূত্র – সহীহ বুখারী , হাদিস নং -৩৮৯৪ , ৩৬০৯ (আধুনিক প্রকাশনী) / হাদিস নং – ৩৬১৪ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
সুধীবৃন্ধঃ
বিষয়টি নিয়ে সারা দুনিয়াতে এখনও খুব বাজে ভাবে হযরত মুহাম্মাদের (সাঃ) মান মর্যাদা সাংঘাতিক ভাবে ভুলন্ঠিত করা হয় ।
এবং জাতি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল মানুষের পক্ষ থেকে এই জাতীয় সমালোচনা অবশ্যই যৌক্তিক ।
কোন সভ্য সমাজ এই জাতীয় অসম ও শিশু বা বাল্য বিবাহ মেনে নিতে পারে না ।
এরপরেও প্রচলিত গল্পটি যদি সত্য হত , কষ্ট হলেও মেনে নেওয়া যেত । কিন্ত শতকরা একশত ভাগ টাটকা ডাঁহা একটি মিথ্যা গল্প কেনইবা মেন নেব ?
প্রিয় পাঠক ,
তথ্য সমৃদ্ব লেখাটি কিছু দীর্ঘ হওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়ে অনুরোধ করছি যে , লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন এবং জ্বলজ্যান্ত একটি মিথ্যা গল্প থেকে মুক্ত হন ।
পবিত্র কোরআনে পরিস্কার করে ঘোষনা দেওয়া হচ্ছে যে ,
” —- আল্লাহর রাসুলের মধ্যে নিঃসন্দেহে তোমাদের জন্য আছে এক উত্তম আদর্শ —– ” ।
সুরা – আহযাব / ২১ ।
এই আয়াত বলবৎ থাকার পরেও রাসুল (সাঃ) কখনও কি এই জাতীয় জঘন্য নিকৃষ্ট কর্ম করতে পারেন !
আমাদের বিচার বুদ্বি বিবেক এতটাই লোপ পেয়ে গেল কিভাবে ?
বিষয়টি কেন আমরা এভাবে চিন্তা করি না !
সাধারনত একজন পুরুষের দ্বিতীয় বিবাহ করার অন্যতম কারন এটাই যে , প্রথম পত্মী ইন্তেকাল করার পরে ছোট সন্তানদের লালন পালন এবং সংসার তদারকির জন্য দ্বিতীয় বিবাহ করে ।
সেই হিসাবে রাসুলের (সাঃ) প্রথম পত্মী খাদিজার (সাঃআঃ) ইন্তেকালের পরে ঘরে থাকা ছোট কন্যা ফাতেমার (সাঃআঃ) দেখভালের জন্য এবং সংসার তদারকির জন্য রাসুল (সাঃ) কি ছয় বছরের আরেক শিশু মেয়েকে বিবাহ করতে পারেন ?
দ্বিতীয় বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল (সাঃ) অবশ্যই একজন বয়স্ক মেয়ে পছন্দ করবেন । এটাই যৌক্তিক ও বুদ্বিবৃত্তিক সিদ্বান্ত হওয়া উচিত ।
খুবই দুঃখ লাগে যে , রাসুলকে (সাঃ) এইভাবে সহীহ হাদিসের দোহাই দিয়ে সমগ্র দুনিয়ার সামনে কতটা নীচ ও হীন করে দেয়া হচ্ছে ।
দুঃখের মাত্রা আরও বেড়ে যায় যখন দেখতে পাই যে , এই জাতীয় জঘন্য মিথ্যা প্রচারনার বিরুদ্বে আজ পর্যন্ত আমাদের সুন্নি সমাজের সম্মানীয় ধর্মীয় আলেম পন্ডিতগন কোন যৌক্তিক জবাব দিতে পারলেন না !
এমনকি এ সকল আলেমগন বিষয়টি নিয়ে কোনরুপ খোঁজখবর বা গবেষনা করার প্রয়োজন মনে করেন না ।
প্রিয় পাঠক ,
বিশ্বাস করুন , পুরো বিষয়টি জঘন্য ডাঁহা একটি মিথ্যা কাহিনী ।
পরিকল্পিতভাবে এসব করা হচ্ছে শুধুমাত্র রাসুলের (সাঃ) মান সম্মান ও মর্যাদাকে দুনিয়ার সামনে ছোট করার জন্য !
আসুন ,
প্রথমে দেখে নিন সুন্নিদের বিখ্যাত গ্রন্থে উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়েশার বিবাহকালীন বয়স নিয়ে যে তথ্যগুলো এখনও বিদ্যমান আছে ।
ঐতিহাসিক ও সহীহ হাদিসের ইমামরা বলেছেন ।
দৃষ্টান্তস্বরূপ –
১) –
মা আয়েশা থেকে বর্ণিত —
حدثنا قُتَيْبَةُ بن سَعِيدٍ حدثنا حُمَيْدُ بن عبد الرحمن عن هِشَامِ بن عُرْوَةَ عن أبيه عن عَائِشَةَ رضي الله عنها قالت ما غِرْتُ على امْرَأَةٍ ما غِرْتُ على خَدِيجَةَ من كَثْرَةِ ذِكْرِ رسول اللَّهِ (ص) إِيَّاهَا قالت وَتَزَوَّجَنِي بَعْدَهَا بِثَلَاثِ سِنِينَ وَأَمَرَهُ رَبُّهُ عز وجل أو جِبْرِيلُ عليه السَّلَام أَنْ يُبَشِّرَهَا بِبَيْتٍ في الْجَنَّةِ من قَصَبٍ.
তিনি (হযরত আয়েশা) হযরত খাদিজার ইন্তেকালের তিন বৎসর পর অর্থাৎ নবুয়্যতের ১৩তম বছরে রাসুলকে (সাঃ) বিবাহ করেছেন ।
সূত্র – সহীহ আল বুখারী , খণ্ড – ০৩ , হাদিস নং ৩৬০৬ / কিতাবু ফাযায়িলিস সাহাবা , বাব তায্-উইজিন নাবী ওয়া খাদিজা ।
ইবনে মুলাককান আনসারী আশ শাফেয়ী তার “গ্বায়াতুস সাউল ফি খাসায়িসির রাসূল” কিতাবের খণ্ড ০১ , পৃষ্ঠা ২৩৬ তে সহীহ বুখারীর উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করার পর লিখেছেন –
وبنى بها بالمدينة في شوال في السنة الثانية .
“রাসূল (সাঃ) হিজরী দ্বিতীয় বৎসরে হযরত আয়েশাকে ঘরে তুলে নিয়ে এসেছিলেন ।”
২) –
ঐতিহাসিক ও সহীহ হাদিসের ইমামরা বলেছেন –
দৃষ্টান্তস্বরূপ –
“আনসাবুল আশরাফ” কিতাবে বর্ণিত আছে –
وتزوج رسولُ الله صلى الله عليه وسلم، بعد خديجة، سودة بنت زَمعة بن قيس، من بني عامر بن لؤي، قبل الهجرة بأشهر… فكانت أول امرأة وطئها بالمدينة.
“হিজরী চতুর্থ সনে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) হযরত আয়েশাকে বিয়ে করেন ।
সূত্র – আল বালাযুরী, আহমাদ বিন ইয়াহইয়া বিন জাবির (মৃত্যুঃ ২৭৯হিঃ), আনসাবুল আশরাফ, খণ্ড ১, পৃঃ নং ১৮১ ।
অন্যদিকে ইমাম শামসুদ্দীন আয্ যাহাবী বলেছেন —
وتوفيت في آخر خلافة عمر ، وقد انفردت بصحبة النبي صلى الله عليه وسلم أربع سنين لا تشاركها فيه امرأة ولا سرية ، ثم بنى بعائشة بعد … .
“হযরত সুদা বিনতে যামআ’ ইবনে ক্বাইস ইবনে আব্দুশ শামস একাই হিজরতের প্রথম চার বছর রাসূলের স্ত্রী ছিলেন । এই সময়ের মধ্যে অন্য কেউ রাসূলের (সাঃ) স্ত্রী ছিলেন না । অতঃপর আল্লাহর রাসূল (সাঃ) হযরত আয়েশাকে বিবাহ করেন ।
সূত্র – যাহাবী , শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন আহমাদ বিন উসমান(মৃত্যুঃ ৭৪৮হিঃ), তারিখুল ইসলাম ওয়া ওয়াফাইয়াতিল মাশাহিরী ওয়াল আ’লাম, খণ্ড – ০৩, পৃষ্ঠা নং ২৮৮ ।
উপসংহার –
সুন্নি রেফারেন্স থেকে দুইটি প্রসিদ্ব ও মজবুত মত ।
১। বিবাহ হয়েছে নবুয়্যত প্রাপ্তির ১৩ তম বছরে । তবে তাকে নবীজীর (সাঃ) ঘরে উঠিয়ে আনা হয়েছে ২য় হিজরীতে।
২। বিবাহ হয়েছে ৪র্থ হিজরীতে ।
******
এবারে দেখে নিন রাসুলের (সাঃ) সাথে বিবাহের সময় হযরত আয়েশার বয়স কত ছিল ?
সকল ঐতিহাসিক ও সহীহ হাদিসের ইমামরা বলেছেন –
হযরত আয়েশার বড় বোন হযরত আসমা বিনতে আবু বকর ছোট বোন হযরত আয়েশা থেকে দশ বছর বড় ছিলেন এবং নবুয়্যতের ১৩ তম বছরে হযরত আসমা বিনতে আবু বকরের বয়স ছিল ২৭ বৎসর ।
সূত্র – আল ইসবাহানী , আবু নাঈম আহমাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (মৃত্যূঃ ৪৩০হিঃ), মা’রিফাতুস সাহাবা, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ৩২৫৩, হাদিস নং ৩৭৬৯ / আত্ তাবারানী , আবুল ক্বাসিম সুলাইমান ইবনে আহমাদ ইবনে আইয়ুব (মৃত্যুঃ ৩৬০হিঃ), আল মু’জামুল কাবির, খণ্ড ২৪, পৃঃ নং ৭৭ / ইবনুল আসাকির আদ্ দামিশক্বী আশ শাফিঈ; আবুল কাসিম আলী ইবনিল হুসাইন ইবনে হিবাতুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ(মৃত্যুঃ ৫৭১হিঃ), তারিখু মাদিনাতু দামিশ্ক ওয়া যিকরু ফাযলিহা ওয়া তাসমিয়্যাতি মি হাল্লিহা মিনাল আমাসিল, খণ্ড ৮, পৃঃ নং ৩৪৫, ৩৪৬; খণ্ড ৯, পৃঃ নং ৬৯ / ইবনে আসির, আলী ইবনে মুহাম্মাদ(মৃত্যুঃ ৫৭১হিঃ), উসুদুল গ্বাবা ফি মা’রিফাতিস সাহাবা, খণ্ড ৭, পৃঃ নং ১১ / আন্ না-ওয়া-উই; আবু যাকারিয়া ইয়াহিয়া ইবনে শারাফ ইবনে মারি(মৃত্যুঃ ৬৭৬হিঃ) / তাহযিবুল আসমায়ি ওয়াল লুগ্বাত, খণ্ড – ০২, পৃষ্ঠা নং ৫৯৭-৫৯৮ / আল্ হাইসামী; আবুল হাসান আলী ইবনে আবি বাকর(মৃত্যুঃ ৮০৭হিঃ) , মাজমাউয্ যাওয়ায়িদ ওয়া মাম্বাউল ফাওয়ায়িদ, খণ্ড ৯, পৃঃ নং ২৬০ / আল্ আইনী; বদরুদ্দীন আবু মুহাম্মাদ মাহমুদ ইবনে আহমাদ আল গ্বাইতাবী আল হানাফি(মৃত্যুঃ ৮৫৫হিঃ), উ’মদাতুল ক্বরী শারহু সাহিহিল বুখারী, খণ্ড ২, পৃঃ নং ৯৩ / আল আসক্বালানী আশ্ শাফেয়ী’; আবুল ফাদ্বল আহমাদ ইবনে আলী ইবনে হাজার(মৃত্যুঃ ৮৫২হিঃ), আল্ ইসাবাতু ফি তামিযিস সাহাবা, খণ্ড ৭, পৃঃ নং ৪৮৭ / আল্ বাইহাক্বী , আবু বাকর আহমাদ ইবনুল হুসাইন ইবনে আলী ইবনে মুসা(মৃত্যুঃ ৪৫৮হিঃ), সুনানু বাইহাক্বী আল কুবরা, খণ্ড ৬, পৃঃ নং ২০৪ / যাহাবী, শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন আহমাদ বিন উসমান(মৃত্যুঃ ৭৪৮হিঃ), তারিখুল ইসলাম ওয়া ওয়াফাইয়াতিল মাশাহিরী ওয়াল আ’লাম, খণ্ড ২, পৃঃ নং ২৮৯ / আস সানআনী, মুহাম্মদি ইবনে ইসমাঈল(মৃত্যুঃ ৮৫২হিঃ), সুবুলস সালাম শারহু বুলুগ্বিল মারাম মিন আদিল্লাতিল আহকাম, খণ্ড ১, পৃঃ নং ৩৯ ।
উপরে উল্লেখিত সুন্নি মাযহাবের নামকরা বিখ্যাত সহীহ হাদিস এবং বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ মোতাবেক এটা অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে , নবুয়্যতের ১৩ তম বছরে হযরত আয়েশার বয়স ছিল ২৭-১০= ১৭ বৎসর ।
আর হিজরী ২য় বৎসরে হযরত আয়েশার বয়স হবে ১৭+২=১৯ বৎসর এবং এবং হিজরী ৪র্থ বৎসরে হযরত আয়েশার বয়স হবে ১৭+৪=২১ বৎসর ।
সাধারন অংকের হিসাবে এটা জলের মত পরিস্কার যে , রাসুলের (সাঃ) সাথে বিবাহের সময় হযরত আয়েশার বয়স কমপক্ষে ২০ বছর ছিল ।
পাঠক ,
এবারে আরও কিছু তথ্য জেনে নিন —
হযরত মুহাম্মাদের (সাঃ) সাথে যখন উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়েশার শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয় তখন হযরত আয়েশার বয়স ছিল সতের থেকে ২০ (কুড়ি) বছর ।
এবং হযরত মুহাম্মাদের (সাঃ) সাথে বিবাহের পূর্বে হযরত আয়েশা জনৈক মুতেমের পুত্র জুবাইরের বাগদত্তা ছিলেন ।
রাসুলের (সাঃ) সাথে যখন বিবাহের কথা পাকাপাকি হয় তখন হযরত আয়েশার পিতা হযরত আবু বকর মুতেমের পুত্র জুবাইরের নিকট থেকে বাগদত্তা বাতিল করে আনেন ।
এরপরেই হযরত আয়েশা এবং হযরত মুহাম্মাদের (সাঃ) বিবাহ হয় ।
এই সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে হলে —-
You Tube এ যেয়ে টাইপ করুন –
Aisha Marriage Age Exposed With Evidence !
ভিডিওতে সকল কিতাবের রেফারেন্স ও লিখিত প্রমান দেয়া আছে ।
ইংরেজী সাব টাইটেল দেয়া আছে ।
এছাড়াও উর্দ্দু ভাষাতে শুনুন –
You Tube এ যেয়ে টাইপ করুন –
Age of Syeda Ayesha RA at the time of Marrige by Javed Ahmed Ghamidi এর কন্ঠে ।
ইনি হলেন পাকিস্তানের খুব বিখ্যাত একজন ইসলামিক গবেষক ।
আশা করি বহুদিনের জঘন্য টাটকা ডাঁহা একটি মিথ্যা কাহিনী থেকে মুক্ত হলেন ।