১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আমরা সংলাপে যাই নাই। কারণ নির্বাচন কমিশন মানি না। মির্জা আব্বাস

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২
  • 31

প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে

নির্বাচন কমিশনের ডাকা সংলাপে বিএনপি অংশগ্রহণ করে নাই জানিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা সংলাপে যাই নাই। কারণ আমরা নির্বাচন কমিশন চিনি না, নির্বাচন কমিশন বুঝি না, নির্বাচন কমিশন মানি না। আমরা চাই এ সরকার থাকবে না। এই পার্লামেন্ট থাকবে না। এই সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন এক সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে সেই নির্বাচনে আমরা যাব।’

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে যে কটূক্তি করেছেন, যদি ক্ষমা না চান- জনগণ আপনাদের রাজপথে পেলে শায়েস্তা করে ছেড়ে দিবে।

সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, তারেক রহমানকে বকা দেন, গালি দেন, দিতে থাকেন। চামড়ার মুখ তো বলতে থাকেন। কিন্তু সময় পেলে জনগণ আপনাদের ছাড়বে না, এই কথাটা মনে রাখবেন। ঢাকা শহরে আন্দোলনের যে জোয়ার উঠেছে আগামী দিনে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সেই আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। আর ছাড় দেয়া হবে না।

মির্জা আব্বাস বলেন, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করে কটূক্তি করা আওয়ামী লীগের একটা স্বভাবগত কৌশল। যখন বাংলাদেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না, পানি পাচ্ছে না, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বন্যায় দেশ ডুবে যাচ্ছে ওই সময়ে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে একটি কথা বলে দিল। যাতে করে আমরা ওই দিকে নজর দিয়ে দেই। বাংলাদেশের মানুষ এত বোকা নয়, আমরা সব বুঝি। এই সমস্ত আজে-বাজে কথা বলে আমাদের এবং বাংলাদেশের মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানো যাবে না।

তিনি আরো বলেন, সিইসি বলেছেন বিএনপিকে বারবার সংলাপে ডাকবো, আমরা আপনাকে সাধুবাদ জানাই। বিএনপিকে বারবার ডাকবেন এই কারণে যে বিএনপিকে ছাড়া আপনারা নির্বাচন করতে পারবেন না। আপনি সিইসি দূরের কথা বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করার সাধ্য বাংলাদেশের কারো নাই। যারা এই নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা করবে ভেতরে কিংবা বাইরে দেশে কিংবা বিদেশে তাদের কোথাও ছাড় দেয়া হবে না।

সরকারের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, আপনারা বলেছিলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, বিদ্যুতের আর কোনো সমস্যা নেই। এখন আবার পানির মূল্য বৃদ্ধি, তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। অথচ আমরা যতটুকু জানি সরকারি পর্যায়ে কখনো এসবের মূল্য বৃদ্ধি করা হয় না, বেসরকারি পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে মূল্য বৃদ্ধি করে। অথচ অনির্বাচিত এই সরকার সব কিছুর মূল্য বৃদ্ধি করছে।

সিইসি বলেছেন, বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হবে না অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, বিএনপি নির্বাচনের না এলেও নির্বাচন হবে এমন প্রসঙ্গ টেনে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, যদিও বিএনপির এই মুহূর্তে নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই তারপরও সিইসি একটি কথা বলেছেন- তিনি মানুষ তো, বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হবে না একেবারে সঠিক কথা বলেছেন।

আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

‘আমরা সংলাপে যাই নাই। কারণ নির্বাচন কমিশন মানি না। মির্জা আব্বাস

Update Time : ১১:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২

নির্বাচন কমিশনের ডাকা সংলাপে বিএনপি অংশগ্রহণ করে নাই জানিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা সংলাপে যাই নাই। কারণ আমরা নির্বাচন কমিশন চিনি না, নির্বাচন কমিশন বুঝি না, নির্বাচন কমিশন মানি না। আমরা চাই এ সরকার থাকবে না। এই পার্লামেন্ট থাকবে না। এই সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন এক সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে সেই নির্বাচনে আমরা যাব।’

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে যে কটূক্তি করেছেন, যদি ক্ষমা না চান- জনগণ আপনাদের রাজপথে পেলে শায়েস্তা করে ছেড়ে দিবে।

সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, তারেক রহমানকে বকা দেন, গালি দেন, দিতে থাকেন। চামড়ার মুখ তো বলতে থাকেন। কিন্তু সময় পেলে জনগণ আপনাদের ছাড়বে না, এই কথাটা মনে রাখবেন। ঢাকা শহরে আন্দোলনের যে জোয়ার উঠেছে আগামী দিনে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সেই আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। আর ছাড় দেয়া হবে না।

মির্জা আব্বাস বলেন, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করে কটূক্তি করা আওয়ামী লীগের একটা স্বভাবগত কৌশল। যখন বাংলাদেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না, পানি পাচ্ছে না, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বন্যায় দেশ ডুবে যাচ্ছে ওই সময়ে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে একটি কথা বলে দিল। যাতে করে আমরা ওই দিকে নজর দিয়ে দেই। বাংলাদেশের মানুষ এত বোকা নয়, আমরা সব বুঝি। এই সমস্ত আজে-বাজে কথা বলে আমাদের এবং বাংলাদেশের মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানো যাবে না।

তিনি আরো বলেন, সিইসি বলেছেন বিএনপিকে বারবার সংলাপে ডাকবো, আমরা আপনাকে সাধুবাদ জানাই। বিএনপিকে বারবার ডাকবেন এই কারণে যে বিএনপিকে ছাড়া আপনারা নির্বাচন করতে পারবেন না। আপনি সিইসি দূরের কথা বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করার সাধ্য বাংলাদেশের কারো নাই। যারা এই নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা করবে ভেতরে কিংবা বাইরে দেশে কিংবা বিদেশে তাদের কোথাও ছাড় দেয়া হবে না।

সরকারের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, আপনারা বলেছিলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, বিদ্যুতের আর কোনো সমস্যা নেই। এখন আবার পানির মূল্য বৃদ্ধি, তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। অথচ আমরা যতটুকু জানি সরকারি পর্যায়ে কখনো এসবের মূল্য বৃদ্ধি করা হয় না, বেসরকারি পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে মূল্য বৃদ্ধি করে। অথচ অনির্বাচিত এই সরকার সব কিছুর মূল্য বৃদ্ধি করছে।

সিইসি বলেছেন, বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হবে না অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, বিএনপি নির্বাচনের না এলেও নির্বাচন হবে এমন প্রসঙ্গ টেনে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, যদিও বিএনপির এই মুহূর্তে নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই তারপরও সিইসি একটি কথা বলেছেন- তিনি মানুষ তো, বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হবে না একেবারে সঠিক কথা বলেছেন।

আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।