বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন, বন্যার শুরু থেকেই আমাদের নেতাকর্মীরা মাঠে ছিলেন। আল্লাহর মেহেরবানীতে এখন পর্যন্তও আছেন। জামায়াতে ইসলামী সামর্থ্যরে আলোকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। বন্যার্ত মানুষ যতদিন কষ্টের মধ্যে থাকবে আমরাও তাদের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।
গতকাল সোমবার জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় বন্যার্তদের পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসাবে নতুন দুটি ঘরের উদ্বোধন ও ঢেউটিন বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিরামহীন বৃষ্টির মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, সামাজিক কাজে সরকার আমাদের সহযোগিতা করে না বরং জামায়াত নেতাকর্মীদের মারধর করে। জেল-জুলুম দিয়ে নির্যাতন করে। ফাঁসি দেয়। কিন্তু নির্যাতন করে আমাদের থামাতে পারবে না। আমাদের নেতাকর্মীদের হৃদয়ে মানবতা আছে। কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে আওয়ামী লীগ, কে জামায়াত, কে বিএনপি সেটা মুখ্য বিষয় নয়। আমরা সবাইকে মানুষ হিসাবে মূল্যায়ন করি। বিপদে সবার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি।
তিনি বলেন, বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি বিভিন্ন এলাকায় গেলে পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসা করে আপনি এখানে কেন এসেছেন। আমি বলেছি, বাংলাদেশ কারো জমিদারি নয়, এটা আমার বাংলাদেশ। আমার জন্মভূমি। মানুষ বিপদে পড়েছে আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। মানুষের পাশে দাঁড়ানো অপরাধ হলে আমার হাতে হ্যান্ডক্যাপ লাগান।
এ সময় জামায়াতের আমীর দুই উপজেলায় বন্যার্ত মানুষের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে ২টি ঘরের উদ্বোধন করেন এবং ৯০টি পরিবারে মধ্যে ডেউটিন, ১০০ পিছ শাড়ি ও ১০০টি লুঙ্গি বিতরণ করেন।
বড়লেখা উপজেলায় উপজেলা আমীর এমাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ফয়ছল আহমদের পরিচালনায় এবং জুড়ী উপজেলায় উপজেলা আমীর হাফেজ নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সিলেট অঞ্চল পরিচালক এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জেলা আমীর মোঃ আব্দুল মান্নান,জামায়াত নেতা মাওলানা আমিনুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামীর আলী, ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি হাফেজ ফারুক আহমেদ মঞ্জু, সিলেট মহানগরী শিবিরের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ।