০৫:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অব‌শে‌ষে ৩৬৭ রা‌নে অল আউট হ‌লো প্রোটিয়ারা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৫৮:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২
  • 25

ডারবানের কিংসমিডে টেস্টের প্রথম দিনে হওয়া ৭৬.৫ ওভারে মাত্র ৪টি উইকেট নিতে পারে বাংলাদেশ। তবে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে নিজেদের শুধরে নিয়ে প্রথম সেশনের ২৮.১ ওভারেই তুলে নিয়েছে আরও ৪টি উইকেট। সেই ধারা অব্যাহত রেখে দ্বিতীয় সেশনেই টাইগাররা গুটিয়ে দিল প্রোটিয়াদের।

সাড়ে চার সেশনে ১২১টি ওভার খেলে স্বাগতিকরা অলআউট হল ৩৬৭ রানে। টাইগারদের পক্ষে পেসার খালেদ আহমেদ ৪টি, মেহেদী মিরাজ ৩টি, এবাদত হোসাইন ২টি এবং বাকি উইকেটটি নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

যদিও নবম ও দশম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে প্রোটিয়ারা। দলীয় ২৯৮ রানে অষ্টম উইকেট পতনের পর শেষ দুই জুটিতেই স্বাগতিকরা যোগ করেছে ৬৯টি মূল্যবান রান। যারমধ্যে নবম উইকেটে ৩৪ এবং শেষ উইকেটে ৩৫ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ সর্বোচ্চ ৩৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান নয় নম্বরে নামা সিমন হারমার।

এদিন প্রথম সেশনে ২৮.১ ওভারে ৮১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। আর দ্বিতীয় সেশনে ১৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে যোগ করেছে ৫৩ রান।

এদিকে, সাজঘরে বসে নিশ্চয়ই আক্ষেপে কপাল চাপড়াচ্ছেন টেম্বা বাভুমা। কেননা, সামান্য দূরেই তার জন্য অপেক্ষা করছিল তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। কিন্তু মেহেদী মিরাজের ওই বলটি খেলতে না পেরে বোল্ড হয়েছেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। বাভুমার মতো দক্ষিণ আফ্রিকারও আফসোস হওয়ার কথা। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট হারিয়েছে এলগারের দল।

নিজেদের ইনিংসের শুরু এবং শেষ দিকে দুই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে স্বাগতিকদের। এলগার এবং সারেল এরউয়ির ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। নিচের সারির ব্যাটারদের কারণে সেটা ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা।

এর আগে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিন স্কোরবোর্ডে ২৩৩ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টেম্বা বাভুমা ৫৩ এবং কাইল ভেরেইন্নে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। খালেদ আহমেদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ফিরে যান ভেরেইন্নে। আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে মাত্র ১টি রান যোগ করতে পারেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

একই ওভারের পরের বলে মুল্ডারকে সাজঘরের পথ দেখান খালেদ। কেশব মহারাজের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়ে জোড়া ধাক্কার চাপ সামাল দেন বাভুমা। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১২ চারের সাহায্যে ৯৩ রান করেন ওয়ানডে দলপতি। পরের ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ১৯ রান করা মহারাজকে আউট করেন এবাদত হোসাইন।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন এলগার। প্রথম দিন খালেদ আহমেদের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ১১টি বাউন্ডারি মারেন টেস্ট অধিনায়ক। এরউয়ি এবং কিগান পিটারসেনের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৪১ এবং ১৯ রান।

এই ইনিংসে বোলিংয়ে সাফল্যের দিক থেকে পাওয়া বলা যায় খালেদ আহমেদ। আগের তিন টেস্টে মাত্র একটি উইকেট নেয়া খালেদ আহমেদ ডারবানে ফিরেই করলেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, ৯২ রান দিয়ে নিলেন ৪টি উইকেট। এবার পালা ব্যাটিংয়ে জবাব দেয়ার।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

অব‌শে‌ষে ৩৬৭ রা‌নে অল আউট হ‌লো প্রোটিয়ারা

Update Time : ০৬:৫৮:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২

ডারবানের কিংসমিডে টেস্টের প্রথম দিনে হওয়া ৭৬.৫ ওভারে মাত্র ৪টি উইকেট নিতে পারে বাংলাদেশ। তবে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে নিজেদের শুধরে নিয়ে প্রথম সেশনের ২৮.১ ওভারেই তুলে নিয়েছে আরও ৪টি উইকেট। সেই ধারা অব্যাহত রেখে দ্বিতীয় সেশনেই টাইগাররা গুটিয়ে দিল প্রোটিয়াদের।

সাড়ে চার সেশনে ১২১টি ওভার খেলে স্বাগতিকরা অলআউট হল ৩৬৭ রানে। টাইগারদের পক্ষে পেসার খালেদ আহমেদ ৪টি, মেহেদী মিরাজ ৩টি, এবাদত হোসাইন ২টি এবং বাকি উইকেটটি নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

যদিও নবম ও দশম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে প্রোটিয়ারা। দলীয় ২৯৮ রানে অষ্টম উইকেট পতনের পর শেষ দুই জুটিতেই স্বাগতিকরা যোগ করেছে ৬৯টি মূল্যবান রান। যারমধ্যে নবম উইকেটে ৩৪ এবং শেষ উইকেটে ৩৫ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ সর্বোচ্চ ৩৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান নয় নম্বরে নামা সিমন হারমার।

এদিন প্রথম সেশনে ২৮.১ ওভারে ৮১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। আর দ্বিতীয় সেশনে ১৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে যোগ করেছে ৫৩ রান।

এদিকে, সাজঘরে বসে নিশ্চয়ই আক্ষেপে কপাল চাপড়াচ্ছেন টেম্বা বাভুমা। কেননা, সামান্য দূরেই তার জন্য অপেক্ষা করছিল তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। কিন্তু মেহেদী মিরাজের ওই বলটি খেলতে না পেরে বোল্ড হয়েছেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। বাভুমার মতো দক্ষিণ আফ্রিকারও আফসোস হওয়ার কথা। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট হারিয়েছে এলগারের দল।

নিজেদের ইনিংসের শুরু এবং শেষ দিকে দুই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে স্বাগতিকদের। এলগার এবং সারেল এরউয়ির ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। নিচের সারির ব্যাটারদের কারণে সেটা ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা।

এর আগে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিন স্কোরবোর্ডে ২৩৩ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টেম্বা বাভুমা ৫৩ এবং কাইল ভেরেইন্নে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। খালেদ আহমেদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ফিরে যান ভেরেইন্নে। আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে মাত্র ১টি রান যোগ করতে পারেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

একই ওভারের পরের বলে মুল্ডারকে সাজঘরের পথ দেখান খালেদ। কেশব মহারাজের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়ে জোড়া ধাক্কার চাপ সামাল দেন বাভুমা। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১২ চারের সাহায্যে ৯৩ রান করেন ওয়ানডে দলপতি। পরের ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ১৯ রান করা মহারাজকে আউট করেন এবাদত হোসাইন।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন এলগার। প্রথম দিন খালেদ আহমেদের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ১১টি বাউন্ডারি মারেন টেস্ট অধিনায়ক। এরউয়ি এবং কিগান পিটারসেনের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৪১ এবং ১৯ রান।

এই ইনিংসে বোলিংয়ে সাফল্যের দিক থেকে পাওয়া বলা যায় খালেদ আহমেদ। আগের তিন টেস্টে মাত্র একটি উইকেট নেয়া খালেদ আহমেদ ডারবানে ফিরেই করলেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, ৯২ রান দিয়ে নিলেন ৪টি উইকেট। এবার পালা ব্যাটিংয়ে জবাব দেয়ার।