ডলার কেনাবেচার জন্য ২৩ ব্যাংকের ৬৬৬ শাখা আবেদন করেছে। রোববার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ২৩ বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৬৬৬ শাখা এ সেবা চালুর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে অনুমতি দেয়া হবে।
বর্তমানে বৈদেশিক লেনদেনে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোর (এডি) শাখা ১২০০টি এবং ২৩৫টি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলো থেকেই কেবল নগদ ডলার কেনাবেচনার অনুমতি রয়েছে।
তবে সম্প্রতি দেশের সব ব্যাংকের শাখায় ডলার কেনাবেচার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং হুন্ডি প্রতিরোধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এখন খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহককে দিতে হচ্ছে ১১০ টাকা। তবু এ চড়া দামে বিদেশগামীদের মার্কিন মুদ্রা জোগাড় করতে বেগ পেতে হচ্ছে। চিকিৎসা ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তা পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় সংকট কাটাতে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এখন বেড়েই চলেছে ডলারের দাম। বিপরীতে মূল্য হারাচ্ছে স্থানীয় মুদ্রা টাকা। অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানেও সমস্যার সমাধান মিটছে না। অনেকে এখনও অবৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠাচ্ছেন। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পণ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে গেছে। ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে আমদানি ও পরিবহন ব্যয়। এতে দেশে ডলারের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে।