০৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রসঙ্গে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৩৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
  • 47

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি সার্বভৌম, স্বাধীন ও কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

ফিলিস্তিন জনগণের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন: ‘আমরা দৃঢ়ভাবে একটি সার্বভৌম, স্বাধীন ও কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করি, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম।’

প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের জন্য তাদের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে তাদের অবিচল সংহতি পুনর্নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যোগ দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জোরালো আদেশের নিরিখে গঠিত হয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশের সংবিধানে
সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতা বা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ন্যায্য সংগ্রামে সারা বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর পক্ষে বাংলাদেশের নীতিগত অবস্থান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তিনি যোগ করেন, প্রকৃতপক্ষে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য আমাদের নিজেদের সংগ্রাম ফিলিস্তিনি জনগণের সহ্য করা অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে আমাদের প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে।

তিনি বলেন, দখলদার বাহিনীর ক্রমাগত সকল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং শিশুসহ নিরপরাধ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের লজ্জাজনক ব্যর্থতা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীন মনোভাবের সাথে উপযুপরি দায়মুক্তি দখলদার বাহিনীকে বারবার মানবাধিকার লঙ্ঘনে উৎসাহিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখলদার শক্তি সাম্প্রতিক নৃশংসতাসহ সকল ফিলিস্তিনির বিরুদ্ধে বেআইনি ও যুদ্ধংদেহী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা অবিলম্বে অব্যাহত আগ্রাসন, অবৈধ বসতি নির্মাণ এবং বাড়িঘর ভেঙে ফেলা বন্ধ করার আহ্বান জানাই।’

তিনি ফিলিস্তিন সংকটের একটি ন্যায্য, শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী সমাধান খুঁজতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জাতিসংঘের প্রাাসঙ্গিক রেজুলেশন, আরব শান্তি উদ্যোগ ও কোয়াার্টেট রোড ম্যাপের সাথে সঙ্গতি রেখে ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে আমাদের সংহতিকে অর্থবহ পদক্ষেপে রূপান্তরের প্রচেষ্ট জোরদার করতে হবে।’ – বাসস

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে ৩শ’ রুপির গয়না ৬ কোটিতে বিক্রি করে মার্কিন নারীর সঙ্গে প্রতারণা।

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রসঙ্গে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী।

Update Time : ০৫:৩৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি সার্বভৌম, স্বাধীন ও কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

ফিলিস্তিন জনগণের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন: ‘আমরা দৃঢ়ভাবে একটি সার্বভৌম, স্বাধীন ও কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করি, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম।’

প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের জন্য তাদের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে তাদের অবিচল সংহতি পুনর্নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যোগ দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জোরালো আদেশের নিরিখে গঠিত হয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশের সংবিধানে
সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতা বা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ন্যায্য সংগ্রামে সারা বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর পক্ষে বাংলাদেশের নীতিগত অবস্থান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তিনি যোগ করেন, প্রকৃতপক্ষে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য আমাদের নিজেদের সংগ্রাম ফিলিস্তিনি জনগণের সহ্য করা অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে আমাদের প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে।

তিনি বলেন, দখলদার বাহিনীর ক্রমাগত সকল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং শিশুসহ নিরপরাধ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের লজ্জাজনক ব্যর্থতা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীন মনোভাবের সাথে উপযুপরি দায়মুক্তি দখলদার বাহিনীকে বারবার মানবাধিকার লঙ্ঘনে উৎসাহিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখলদার শক্তি সাম্প্রতিক নৃশংসতাসহ সকল ফিলিস্তিনির বিরুদ্ধে বেআইনি ও যুদ্ধংদেহী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা অবিলম্বে অব্যাহত আগ্রাসন, অবৈধ বসতি নির্মাণ এবং বাড়িঘর ভেঙে ফেলা বন্ধ করার আহ্বান জানাই।’

তিনি ফিলিস্তিন সংকটের একটি ন্যায্য, শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী সমাধান খুঁজতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জাতিসংঘের প্রাাসঙ্গিক রেজুলেশন, আরব শান্তি উদ্যোগ ও কোয়াার্টেট রোড ম্যাপের সাথে সঙ্গতি রেখে ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে আমাদের সংহতিকে অর্থবহ পদক্ষেপে রূপান্তরের প্রচেষ্ট জোরদার করতে হবে।’ – বাসস