সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর টাইটেল মাদ্রাসার ছাত্র আমিরুল ইসলামকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ৯ অক্টোবর ‘অপহরণ’ করা হয়েছিল ্ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে। পরে একটি হোটেলে ‘আটকে রেখে’ নির্যাতন করা হয় তাকে। এ ঘটনায় পুলিশ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে। আমিরুল ইসলামকে ‘অপহরণ ও উদ্ধারের’ বিষয়ে আজ (রোববার) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বক্তব্যে বলা হয়, আমিরুল ইসলাম (১৬) ওসমানীনগর উপজেলার কিয়ামপুর গ্রামের খায়রুল ইসলামের পূত্র। সে উমরপুর টাইটেল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। গত ৯ অক্টোবর বাড়ি থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে কোনো খোঁজ েিলনি তার। ১২ অক্টোবর তার বাবা ওসমানীনগর থানায় লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করেন। এ সংক্রান্ত জিডি দায়ের করে পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
জেলা পুলিশ সুপার ভিকটিমকে উদ্ধারের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধারকারী টিম সমূহকে তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে সমন্বয় সাধনের জন্য ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলামকে নির্দেশনা দেন। পুলিশ মাঠে নেমে জানতে পারে ভিকটিমকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করছে একটি চক্র। মুক্তিপণ না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে সিলেটের রশিদপুরস্থ ফুলকলি শোরুমের সামনে থেকে আমিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, তাকে অপহরণ করে হোটেলে আটকে রেখে হাত-মুখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। পরে অপহরণকারীদের গ্রেফতারে মাঠে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় অপহরণকারীকে। তিনি হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানাধীন আহুতিয়া গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের পূত্র মো. নজরুল ইসলাম মেনু মিয়া। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় আজ মামলা হয়েছে ওসমানীনগর থানায়।