শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে। বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে পার্লামেন্ট ভবনে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সুরিয়া। এদিকে কলোম্বোর সড়কে আবারো বিক্ষোভ করেছে রনিলকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। আর সর্বদলীয় বৈঠক শুরু আজ থেকেই।
শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে প্রথম পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে ১৩৪ ভোট পেয়ে বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে দেয়া বক্তব্যে রনিল বলেন, কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামীতে বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। দেশের সংকট নিরসনে একসঙ্গে কাজ করতে রাজনৈতিক সব দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এরপর আবারো বিক্ষোভ শুরু হয় রাজধানী কলোম্বোতে। রনিলকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে নারাজ আন্দোলনকারীরা।
রাজাপাকসের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে রাজপথে নামা বিক্ষোভকারীরা রনিলকেও রাষ্ট্রপ্রধান পদ থেকে সরানোর ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের জন্য রনিলও দায়ী বলে মনে করেন তারা।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহেকে।
বিক্ষোভের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে পার্লামেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন রনিল বিক্রমাসিংহে।
এদিনও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এলাকায় স্বল্পসংখ্যক বিক্ষোভকারী অবস্থান করছেন। এবার তাদের স্লোগান রনিল বিদায় হও।
২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন রনিল। এর আগে ছয় দফায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে শ্রীলঙ্কায়। অনেকেই প্রয়োজনীয় খাদ্য কেনার সামর্থ্য হারিয়েছে। এর মধ্যে গণআন্দোলনের মুখে গত সপ্তাহে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। পরে তিনি পদত্যাগ করার পর বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।