শিশুরা প্রায়ই মুখ ও দাঁতের ব্যথায় কষ্ট পায়। তীব্র ব্যথায়, বিশেষ করে খাবার চিবানোর সময় কান্নাকাটিও করে। চকোলেট, চিপস থেকে শুরু করে নানা ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে শিশুদের ঝোঁক থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে এই ধরনের খাবার বেশি খেলে শিশুদের দাঁতের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ও বৃদ্ধি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি তার দাঁতের স্বাভাবিক গঠন ও বিকাশও গুরুত্বপূর্ণ। তাই দাঁত ভালো রাখতে বিভিন্ন ক্ষতিকর খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে। পাশাপাশি এমন কিছু খাবার খেতে হবে যা দাঁত ভালো রাখতে সহায়তা করে।
যেসব খাবার খেলে দাঁত ভালো থাকবে—
বাদাম
বাদাম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যকরও। বিশেষ করে কাঠবাদাম, ব্রাজিল নাট ও কাজুবাদাম দাঁতের জন্য বেশ উপকারি। বাদমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস থাকে যা দাঁতের জন্য বেশ ভালো। পাশাপাশি, বাদামে থাকা ভিটামিন ডি দাঁত ভাল রাখতে সহায়তা করে।
বাদামে যথেষ্ট পরিমাণ শর্করাও থাকে। ফলে বাদাম খাওয়ার পর দাঁতে জীবাণু হতে পারে না। শিশু হালকা কিছু খাওয়ার বায়না করলে বাদাম খাওয়াতে পারেন।
পনির
বাদামের মতো পনিরও খেতে সুস্বাদু। এ কারণে শিশুরাও খেতে পছন্দ করে। পনির যেহেতু দুগ্ধজাত পদার্থ, তাই এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে। পাশাপাশি, পনির মুখগহ্বরের অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করতেও সাহায্য করে। ফলে দাঁতের ক্ষয় কমে। হ্রাস পায় ক্যাভিটির আশঙ্কাও।
পানীয়
কোমল পানীয় খেতে খুবই পছন্দ করে শিশুরা। কিন্তু কোমল পানীয়তে থাকে অতিরিক্ত চিনি। কিছু ক্ষেত্রে থাকে অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডও। তাই এই ধরনের পানীয় দাঁতের জন্য বিপদ ডেকে আনে। এই ধরনের পানীয়ের বদলে শিশুকে দুধ খেতে উৎসাহ দিন।
তবে অনেক শিশুই দুধ খেতে চায় না। এখন দুধের সঙ্গে খাওয়ার জন্য বেশ কিছু সুস্বাদু শিশুদের উপযোগী খাবার কিনতে পাওয়া যায়। দুধে মিশিয়ে দিতে পারেন সেই খাবারও।