1. [email protected] : নিজস্ব প্রতিবেদক :
  2. [email protected] : rahad :
শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কেনাকাটায় সিন্ডিকেট। | JoyBD24
বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ০২:০২ অপরাহ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কেনাকাটায় সিন্ডিকেট।

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৪ জুলাই, ২০২২
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল

দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কেনাকাটায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে সিন্ডিকেট। প্রকল্পের প্রতিটি পণ্যের মান ও গ্রেড বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) স্পষ্ট করে দিলেও তা মানছে না ঠিকাদার। বিদেশ থেকে কেনার নাম করে প্রকল্পে ঢোকানো হচ্ছে মানহীন ও নিম্নমানের পণ্য। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর সব পণ্যের মান যাচাই বাছাই করা হয়। তাতে বেশির ভাগ পণ্য নিম্নমানের প্রমাণ হওয়ায় সেগুলো সংশ্লিষ্ট দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।

স্বপ্নের আরেক নাম থার্ড টার্মিনাল। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণ হচ্ছে এই টার্মিনাল। এরই মধ্যে প্রকল্পের অবকাঠামো তৈরির কাজ প্রায় ৪০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এখন চলছে অভ্যন্তরীণ কেনাকাটা। তবে অভিযোগ উঠেছে, একটি সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে মানহীন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে নির্মিত হচ্ছে টার্মিনাল ভবন। বিদেশ থেকে কেনার নাম করে কোরিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকল্পে আনা হচ্ছে মানহীন ও নিম্ন গ্রেডের পণ্য। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে এমন অভিযোগ আসার পর সব পণ্যের মান যাচাই বাছাই করা হয়। তাতে বেশির ভাগ পণ্য নিম্নমানের প্রমাণ হওয়ায় সেগুলো সংশ্লিষ্ট দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, কিছু দিন আগে কিছু বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যাপারে আমি শুনতে পেলাম তারা কনসালটেন্টকে রাজি করে ইতোমধ্যে অর্ডার দিয়ে ফেলেছে। যখনই আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি, আমি সবাইকে ডেকেছি। আমি তাদের বলেছি, আমি এই আইটেম নেব না। কেনা তারা আইটেম চেঞ্জ করেছে জানতে চেয়েছি। আমার আন্তর্জাতিক মানের আইটেম আসতেই হবে। আমি তাদের পুরো লটই বাতিল করে দিয়েছি।

তারপরও থামেনি দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট। প্রকল্পের লিফট স্কেলেটর, স্ক্যানিং মেশিন ও স্যানেটারি আইটেমসহ বেশ কিছু নিরাপত্তাজনিত পণ্য তাদের পছন্দের দেশ ও কোম্পানির কাছ থেকে কিনতে মরিয়া তারা। বেবিচকের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এম ইকবাল হোসেন বলেন, কিছু অসাধু ঠিকাদার আছে। সবাই নাম জানে তাদের। এদের একটা সিন্ডিকেট আছে। আমি যেটা শুনি, সংসদীয় কমিটির একজন এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। ওনি যাকে বলবেন, তাকেই এজেন্সি নিতে হবে। সেই এজেন্সিকে কাজটা দিতে হবে। সিন্ডিকেট ভাঙা কোনো ব্যাপারই না। প্রধানমন্ত্রী যেখানে নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি এটার খোঁজ খবর নিচ্ছেন, তাহলে আর কীসের সিন্ডিকেট?

মানহীন কোনো পণ্য প্রকল্পে ব্যবহার করতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বেবিচকের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এই টেন্ডারের তৈরি করা থেকে আমি এটাতে সংযুক্ত আছি। আমাকে কেউ ফাঁকি দিতে পারবে না। আজকে আমি কপারের পরিবর্তে সিলভার দেওয়া তার নেব না। এটার যে স্পেসিফিকেশন আছে, সেটাই আমাকে দিতে হবে। অথবা এর চেয়ে ভালো মানের দিতে হবে। যদি ভালো মানের হয়, দেশ বা কোম্পানি পরিবর্তন করতে পারি। কিন্তু নিম্নমান কখনো আলোচনায় আসবে না। পণ্যের মান নিয়ে কেউ কোনো হস্তক্ষেপ করলে তা গ্রহণ করা হবে না বলেও জানান তিনি।

দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নের পর সরকারের আরেকটি মেগা প্রকল্প এই থার্ড টার্মিনালে কিছু নিম্নমানের পণ্য ব্যবহার করা হচ্ছে, এমন খবরে শঙ্কিত দেশবাসী। তাই এখানে যে সিন্ডিকেট নিম্নমানের পণ্য ঢোকাতে চাচ্ছে, তাদেরকে অবশ্যই রোধ করতে হবে এবং তাদেরকে জবাবদিহিতার আওয়তায় আনতে হবে। আর এই উদ্যোগটি যদি এখনই না নেওয়া হয়, এই থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ হয়ে গেলে সেটি আর শোধরানোর উপায় থাকবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2012 joybd24
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Joybd24