০৪:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা।ইশরাক হোসেন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:১০:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২
  • 22

ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাকশাল বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশে অবাধ সাংবাদিক চর্চাকে তিনি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন গণমাধ্যমকে উন্মুক্ত করে দেয়ার মাধ্যমে।

বুধবার (১ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত দোয়া, আলোচনা সভা ও রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ কাল রাতে যখন পাকিস্তানি বাহিনী বর্বর হত্যাকান্ডে মেতে ওঠে তখন একটি রাজনৈতিক শূন্যতা দেখা দেয়। সে সময় ৩৬ বছর বয়সে জিয়াউর রহমান নিজ বলে বলিয়ান হয়ে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র দখল করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তার সে ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বার্তা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন সেক্টরে অবস্থানরত বাঙালি অফিসাররা বিদ্রোহ করেন। পরে সাধারণ মানুষেরাও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

আজ আমরা যে আধুনিক বাংলাদেশ নিয়ে গর্ব করি। শহীদ রাষ্ট্রপতি অল্প সময় ক্ষমতায় ছিলেন। এ অল্প সময়ে তিনি অসাধারণ কাজ করেছেন। আমাদের রেমিট্যান্স খাতে বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানির প্রবর্তক ছিলেন জিয়াউর রহমান। আমাদের তৃতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রাস্তা গার্মেন্টস শিল্প। আপনারা জানেন এখাতে ৬০ লক্ষের ওপরে মানুষ কর্মরত। এই গার্মেন্টস শিল্পকে বিকশিত করতে জিয়াউর রহমান বিভিন্ন ব্যাবসায়ী ও শিল্পপতিদের কোরিয়া পাঠান। সেখানে ট্রেনিং শেষে তাদের প্রণোদনা ও লোন দেয়া হয়। সে গার্মেন্টস শিল্প আজ গর্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে । কৃষি খাতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান খাল কাটা কর্মসূচির মাধ্যমে বর্ষা মৌসুমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়েছিলেন পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে সে পানি জমিয়ে সেচ দেয়ার ব্যাবস্থা করেছিলেন।

এই জালেম সরকার আজ জিয়াউর রহমানের কবর স্থানান্তরের মত মন্তব্য করে। এটি আমাদের ব্যথিত করে। জিয়াউর রহমান একমাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি বর্ডারের ভেতরে, বাংকারের ভেতরে থেকে যুদ্ধ করেছেন। বাকিরা বর্ডারের ওপারে কৌশলগত কারনে অবস্থা নিয়েছিলেন। সেই জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেয়ার মত ধৃষ্টতা দেখায় যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় মাঠেই ছিল না।

বর্তমান সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা তিন তিনটি নির্বাচন বিনা ভোটে রাষ্ট্রযন্ত্রকে কুক্ষিগত করে ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আছে। আমরা যারা রাজনীতি করি তা ক্ষমতার জন্য নয়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বার বার বলেছেন আমরা ভেটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য লড়াই করছি। এ রাষ্ট্রের মালিক জনগন। এ রাষ্ট্রের সকল নাগরিক সমান মর্যাদা পাবে সমান বিচার পাবে। তবে আজ একমাত্র সরকার দল এবং তার লেজুড়বৃত্তি করে আসছে তারাই বাংলাদেশের মালিক হয়ে গেছে। আর আমরা তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক। সে দিন আর নেই, বাংলাদেশে আজ গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।

এ সরকার গুম খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে আছে। আজ বিশ্ব পরিমন্ডলে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। আপনারা জানেন এর সাথে জড়িত থাকার অপরাধে দেশের সাতজন শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য কলঙ্কজনক। অনুষ্ঠানে ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা।ইশরাক হোসেন

Update Time : ০৩:১০:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২

ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাকশাল বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশে অবাধ সাংবাদিক চর্চাকে তিনি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন গণমাধ্যমকে উন্মুক্ত করে দেয়ার মাধ্যমে।

বুধবার (১ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত দোয়া, আলোচনা সভা ও রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ কাল রাতে যখন পাকিস্তানি বাহিনী বর্বর হত্যাকান্ডে মেতে ওঠে তখন একটি রাজনৈতিক শূন্যতা দেখা দেয়। সে সময় ৩৬ বছর বয়সে জিয়াউর রহমান নিজ বলে বলিয়ান হয়ে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র দখল করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তার সে ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বার্তা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন সেক্টরে অবস্থানরত বাঙালি অফিসাররা বিদ্রোহ করেন। পরে সাধারণ মানুষেরাও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

আজ আমরা যে আধুনিক বাংলাদেশ নিয়ে গর্ব করি। শহীদ রাষ্ট্রপতি অল্প সময় ক্ষমতায় ছিলেন। এ অল্প সময়ে তিনি অসাধারণ কাজ করেছেন। আমাদের রেমিট্যান্স খাতে বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানির প্রবর্তক ছিলেন জিয়াউর রহমান। আমাদের তৃতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রাস্তা গার্মেন্টস শিল্প। আপনারা জানেন এখাতে ৬০ লক্ষের ওপরে মানুষ কর্মরত। এই গার্মেন্টস শিল্পকে বিকশিত করতে জিয়াউর রহমান বিভিন্ন ব্যাবসায়ী ও শিল্পপতিদের কোরিয়া পাঠান। সেখানে ট্রেনিং শেষে তাদের প্রণোদনা ও লোন দেয়া হয়। সে গার্মেন্টস শিল্প আজ গর্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে । কৃষি খাতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান খাল কাটা কর্মসূচির মাধ্যমে বর্ষা মৌসুমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়েছিলেন পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে সে পানি জমিয়ে সেচ দেয়ার ব্যাবস্থা করেছিলেন।

এই জালেম সরকার আজ জিয়াউর রহমানের কবর স্থানান্তরের মত মন্তব্য করে। এটি আমাদের ব্যথিত করে। জিয়াউর রহমান একমাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি বর্ডারের ভেতরে, বাংকারের ভেতরে থেকে যুদ্ধ করেছেন। বাকিরা বর্ডারের ওপারে কৌশলগত কারনে অবস্থা নিয়েছিলেন। সেই জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেয়ার মত ধৃষ্টতা দেখায় যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় মাঠেই ছিল না।

বর্তমান সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা তিন তিনটি নির্বাচন বিনা ভোটে রাষ্ট্রযন্ত্রকে কুক্ষিগত করে ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আছে। আমরা যারা রাজনীতি করি তা ক্ষমতার জন্য নয়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বার বার বলেছেন আমরা ভেটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য লড়াই করছি। এ রাষ্ট্রের মালিক জনগন। এ রাষ্ট্রের সকল নাগরিক সমান মর্যাদা পাবে সমান বিচার পাবে। তবে আজ একমাত্র সরকার দল এবং তার লেজুড়বৃত্তি করে আসছে তারাই বাংলাদেশের মালিক হয়ে গেছে। আর আমরা তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক। সে দিন আর নেই, বাংলাদেশে আজ গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।

এ সরকার গুম খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে আছে। আজ বিশ্ব পরিমন্ডলে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। আপনারা জানেন এর সাথে জড়িত থাকার অপরাধে দেশের সাতজন শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য কলঙ্কজনক। অনুষ্ঠানে ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।