০৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাটভিয়াতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করলো রাশিয়া

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫৪:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
  • 59

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত দেশগুলোতে ধারাবাহিকভাবে গ্যাস সরবরাহ আগেই বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। সে তালিকায় এবার সর্বশেষ দেশ হিসেবে যুক্ত হলো লাটভিয়া। খবর বিবিসি।

দেশটির রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম জানিয়েছে, গ্যাস উত্তোলনের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে তারা প্রতিবেশী দেশটিতে সরবরাহ বন্ধ রেখেছে।

লাটভিয়ার জ্বালানি সংস্থা লাটভিজাস গেজ এর আগে জানিয়েছিল, তারা রাশিয়া থেকে গ্যাস কিনছে এবং গ্যাজপ্রমের সঙ্গে তাদের এই বাণিজ্যে রুবলের পরিবর্তে ইউরোতে অর্থ প্রদান করা হচ্ছে। এমন ঘোষণার একদিন পরেই গ্যাজপ্রম গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার কথা জানালো।

এদিকে গ্যাজপ্রম জানায়, পাইপলাইনে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ আরও কমিয়ে দেওয়া হবে। এ মাসেই রক্ষণাবেক্ষণ বিরতির কারণে ১০ দিনের জন্য উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছিল।

ইউরোপের দেশগুলো এ ঘটনাকে রাশিয়ার প্রতিশোধ হিসেবে দেখছে।  রাশিয়া সরবরাহ আরও কমিয়ে দিলে আসছে শীতের আগে ইউরোপের দেশগুলোর পর্যাপ্ত গ্যাস মজুদ করা কঠিন হয়ে পড়বে। শীতে ইউরোপের দেশে গ্যাসের ব্যবহার অনেক বেশি থাকে।

এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে এবার আফ্রিকার দিকে নজর দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। চলমান গ্যাস সংকট কাটাতে তারা ভরসা করছে মূলত আলজেরিয়া, নাইজার ও নাইজেরিয়ার ওপর। গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ইউরোপে গ্যাস পাঠাতে চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পাইপলাইন নির্মাণে সমঝোতাপত্রে সই করেছে আফ্রিকার এ তিন দেশ।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে ৩শ’ রুপির গয়না ৬ কোটিতে বিক্রি করে মার্কিন নারীর সঙ্গে প্রতারণা।

লাটভিয়াতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করলো রাশিয়া

Update Time : ০৯:৫৪:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত দেশগুলোতে ধারাবাহিকভাবে গ্যাস সরবরাহ আগেই বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। সে তালিকায় এবার সর্বশেষ দেশ হিসেবে যুক্ত হলো লাটভিয়া। খবর বিবিসি।

দেশটির রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম জানিয়েছে, গ্যাস উত্তোলনের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে তারা প্রতিবেশী দেশটিতে সরবরাহ বন্ধ রেখেছে।

লাটভিয়ার জ্বালানি সংস্থা লাটভিজাস গেজ এর আগে জানিয়েছিল, তারা রাশিয়া থেকে গ্যাস কিনছে এবং গ্যাজপ্রমের সঙ্গে তাদের এই বাণিজ্যে রুবলের পরিবর্তে ইউরোতে অর্থ প্রদান করা হচ্ছে। এমন ঘোষণার একদিন পরেই গ্যাজপ্রম গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার কথা জানালো।

এদিকে গ্যাজপ্রম জানায়, পাইপলাইনে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ আরও কমিয়ে দেওয়া হবে। এ মাসেই রক্ষণাবেক্ষণ বিরতির কারণে ১০ দিনের জন্য উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছিল।

ইউরোপের দেশগুলো এ ঘটনাকে রাশিয়ার প্রতিশোধ হিসেবে দেখছে।  রাশিয়া সরবরাহ আরও কমিয়ে দিলে আসছে শীতের আগে ইউরোপের দেশগুলোর পর্যাপ্ত গ্যাস মজুদ করা কঠিন হয়ে পড়বে। শীতে ইউরোপের দেশে গ্যাসের ব্যবহার অনেক বেশি থাকে।

এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে এবার আফ্রিকার দিকে নজর দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। চলমান গ্যাস সংকট কাটাতে তারা ভরসা করছে মূলত আলজেরিয়া, নাইজার ও নাইজেরিয়ার ওপর। গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ইউরোপে গ্যাস পাঠাতে চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পাইপলাইন নির্মাণে সমঝোতাপত্রে সই করেছে আফ্রিকার এ তিন দেশ।