লকডাউনের ষষ্ট দিনেও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে যাত্রীদের ভীড় দেখা গেছে। এদিন সকাল থেকে শিমুলিয়া থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীদের ভীড় আরও বৃদ্ধি পায়। তবে বাংলাবাজার হয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভীড় ছিল সহনীয় পর্যায়ে।
রোববার (২৭ জুন) সকালে ঘাট এলাকা ও ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষণই দেখা যায়নি। লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতেই যাত্রীরা গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। ভীড়ের মধ্যে অনেককেই দেখা গেছে মাস্কবিহীন চলাফেরা করতে।
দূরপাল্লা বা অভ্যন্তরীন রুটের যাত্রীবাহী যানবাহন বন্ধ থাকলেও বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে মোটরসাইকেল, থ্রী হুইলার, ইজিবাইকসহ হালকা যানবাহনে ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছেন। যাত্রী ও যানবাহনগুলোকে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে আটকে থাকতে দেখা যায়।
বরিশালের যাত্রী আসলাম খান জানান, ইজিবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেলে বরিশালে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, গোপালগঞ্জে ৫শ’ টাকা, খুলনায় ৭শ’ টাকা, মাদারীপুরে ২শ’ টাকা, বাগেরহাটে ৬শ’ ৫০ টাকাসহ প্রতিটি যানবাহনেই যাত্রীদের কাছ থেকে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মিরাজ হোসেন জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহাসড়ক ও অভ্যন্তরীণ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বেড়িকেড দিলেও বিভিন্ন অযুহাতে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছান।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন মিয়া জানান, পণ্যবাহী ট্রাকের সাথে সাথে ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। আজ এ রুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।