অবৈধ ক্যাসিনোকাণ্ডে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেফতারের পর কেটে গেছে তিন বছর। এ সময়ে অবৈধ ক্যাসিনোকাণ্ডের অভিযোগে বেশ কয়েকটি ক্লাব সিলগালা করা হয়। ফলে জমজমাট সেই ক্লাবপাড়ায় এখন নেই কারো পদচারণা। তবে সম্রাটের মুক্তির পর নতুন করে ফের আলোচনায় মতিঝিলের ক্লাব পাড়াগুলো।
আড়াই বছর কারাগারে থাকার পর গেল সপ্তাহে মুক্তি পাওয়ার পর দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে- সম্রাট কি আবারও তার হারিয়ে যাওয়া সাম্রাজ্য ফিরে পাবে? কিংবা ফিরে পেতে চেষ্টা করবে? এ বিষয়ে আপাতত কোনো উত্তর নেই। প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি নেতাকর্মীরা।
নেতা-কর্মীদের ধারণা-সম্রাট মুক্তি পাওয়ায় রাজধানীর কাকরাইলে হাজী লতিফ ট্রেড সেন্টারে অবস্থিত তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ফের নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হবে। কিন্তু না- কারগার থেকে মুক্তি পাওয়ার এক সপ্তাহ পরেও তার সেই ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়- সম্রাটের কার্যালয় থাকা সেই ভবনটির পুরোটা জুড়ে এখন একটি গোয়েন্দা পুলিশের অফিস কার্যক্রম চলছে। অন্যদিকে, ভবনটির চতুর্থ তলায় সম্রাটের ব্যক্তিগত ফ্ল্যাটটি সিলগালা অবস্থায় পড়ে আছে এখনও।
সিলগালা অবস্থায় আছে মতিঝিল থানা সংলগ্ন ভিক্টোরিয়া ক্লাব, ফকিরারপুল ইয়াংম্যান ক্লাব ও ওয়াডারার্স ক্লাবের ঘরগুলো।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় কোনো দলের কর্মী না হলেও হরতাল-অবরোধে বিরোধীদের সঙ্গে ইসমাইল হোসেন সম্রাট মতিঝিল এলাকায় পিকেটিংয়ে নামতেন। এখান থেকে যুবলীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর ১৯৯৩ সালে ঢাকার ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। এরপর ২০০৩ সালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন তিনি। পরে ২০১২ সালে ওমর ফারুক চৌধুরী যুবলীগের চেয়ারম্যান হলে সম্রাট ঢাকা দক্ষিণের সভাপতির দায়িত্ব পান। এরপরই বছরের পর বছর ধরে ঢাকা সিটি করপোরেশনের টেন্ডার ও ক্যাসিনো ক্লাবসহ নানা অবৈধকাজে জড়ায় তার নাম। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ায় আত্মগোপনে চলে যান সম্রাট। সে বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার একটি গ্রাম থেকে অপরাধ জগতের রহস্যময় এই চরিত্রকে গ্রেফতার করে র্যাব।
Leave a Reply