যুক্তরাজ্যে অ্যাসাইলাম আবেদন করে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় অনিশ্চিত দিন কাটাচ্ছেন বহু অভিবাসী। রিফিউজি কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী গত বছর এমন অপেক্ষায়মান লোকের সংখ্যা ছিল ৬৫ হাজার। বিবিসি জানাচ্ছে, এই সংখ্যা ২০১০ সালের তুলনায় প্রায় ৯ গুন।
যুদ্ধ-বিগ্রহ, রাজনৈতিক, জাতিগত, ধর্মীয় বা ভিন্নমত প্রকাশের কারণে নিপীড়নের শিকার এবং নিজ দেশে প্রাণ ঝুঁকির মুখে-এমন ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চাইতে পারেন। এটি অ্যাসাইলাম আবেদন নামে পরিচিত। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাক্ষাৎকার এবং আবেদনের সঙ্গে দেওয়া প্রমাণাদির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ম।
কিন্তু দেখা গেছে, অ্যাসাইলাম আবেদনের পর ব্রিটিশ হোম অফিস থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ওদিকে বেড়েই চলেছে আবেদনকারীর সংখ্যা। ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন অনেকে।
লিবিয়ায় যুদ্ধ ও নির্যাতন থেকে পালিয়ে আসা একজন অ্যাসাইলাম আবেদনকারী প্যাট্রিসিয়া বিবিসিকে জানান, দুই বছর ধরে তিনি হোম অফিসের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে করতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
হোম অফিস জানিয়েছে, ‘ভাঙ্গা’ অ্যাসাইলাম ব্যবস্থা ঠিক করতে পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কোভিড-১৯ মহামারির ফলে সৃষ্ট ব্যাকলগ এর জন্য দায়ি।
রিফিউজি কাউন্সিলের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রাথমিক সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষায় থাকা আবেদনকারীর সংখ্যা ২০১০ সালে ছিল ৩ হাজার ৫৮৮, যা ২০২০ সালে প্রায় ৯ গুন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৬।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষায় থাকা শিশুর সংখ্যা এই সময় ব্যবধানে বেড়েছে ১২ গুন (২০১০ সালে ৫৬৩ এবং ২০২০ সালে ৬ হাজার ৮৮৭)। ৫৫ জন আবেদনকারী শিশু হিসেবে আবেদন করলেও সিদ্ধান্তের জন্য তারা ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষায় আছে।