০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্কিন-ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান চুরির পরিকল্পনা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
  • 46

রাশিয়ার অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চুরির পরিকল্পনা করেছিল ইউক্রেন। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে রাশিয়ার গোয়েন্দারা। রুশ গণমাধ্যম রাশিয়া টুডে’কে রুশ গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

রুশ গণমাধ্যম রাশিয়া টুডের (আরটি) এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) এর পেছনে মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত তদন্তকারী সংস্থা বেলিংক্যাটসহ ব্রিটিশ সংযুক্তির কথা উল্লেখ করেছে।

খবরে বলা হয়, ইউক্রেন যাদের মাধ্যমে রাশিয়ার সামরিক বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিল তাদের মধ্যে রুশ পাইলটও ছিলেন। দেশটি যে কোনো উপায়ে রাশিয়ার অস্ত্র চুরি করতে চেয়েছিল।

এ জন্য ইউক্রেনের তরফ থেকে এই পাইলটদের ব্যাপক অর্থের লোভ দেখানো হয়। এমনকি বলা হয়, তাদেরকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকত্বও পাইয়ে দেয়া হবে। কিন্তু এসব লোভে শেষ পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি।

আরটি জানিয়েছে, এ জন্য ইউক্রেন বিশেষ এজেন্ট নিয়োগ করে। এই পরিকল্পনায় মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত একটি তদন্ত সংস্থার এক কর্মকর্তা যুক্ত ছিলেন।

ওই সংস্থাটি সাংবাদিকদের একটি গ্রুপ বলে নিজেদেরকে পরিচয় দিয়ে থাকে। এই পরিকল্পনার আওতায় ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং ট্যাংক হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল। বিনিময়ে একজন পাইলটকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ ডলার পুরস্কার দেয়ার লোভ দেখিয়েছিল তারা। ওই পাইলট জানিয়েছেন, মূলত রাশিয়ার অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সু-৩৪ বোমারু বিমান এবং টিইউ-২২ বিমানের দিকে বেশি আগ্রহ ছিল ইউক্রেনের।

ইউক্রেনের এজেন্টরা এ ব্যাপারে রাশিয়ার সু-৩৪ বিমানের একজন পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তাকে ১০ লাখ ডলার পুরস্কার দেয়ার কথা জানায়। প্রথমে ওই পাইলট বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেন নি। কিন্তু পরবর্তীতে ইউক্রেনের এজেন্টদের চাপাচাপির কারণে তিনি বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পারেন।

তবে বড় পুরস্কারের বিনিময়ে মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে চাননি। তিনি দ্রুত বিষয়টি রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়ে দেন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে থাকে রুশ গোয়েন্দারা।

রাশিয়ার এই পাইলট জানান, তাকেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকত্ব এবং আয়েশি জীবনযাপনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। ইউক্রেনের সরকার এবং গোয়েন্দাদের জোরালো বিশ্বাস ছিল যে, এই ধরনের সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখানো হলে রাশিয়ার পাইলটরা সহজেই বিশ্বাসঘাতকতা করে কিয়েভের হাতে বিমান এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম তুলে দেবে।

তবে ঘটে তার উল্টোটা। নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য তারা ইউক্রেনের অনেক সামরিক তথ্য ওই রুশ পাইলটকে প্রদান করেন। সেই তথ্য কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনে একাধিক অভিযান চালায় রাশিয়া।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে ৩শ’ রুপির গয়না ৬ কোটিতে বিক্রি করে মার্কিন নারীর সঙ্গে প্রতারণা।

মার্কিন-ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান চুরির পরিকল্পনা

Update Time : ১১:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২

রাশিয়ার অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চুরির পরিকল্পনা করেছিল ইউক্রেন। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে রাশিয়ার গোয়েন্দারা। রুশ গণমাধ্যম রাশিয়া টুডে’কে রুশ গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

রুশ গণমাধ্যম রাশিয়া টুডের (আরটি) এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) এর পেছনে মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত তদন্তকারী সংস্থা বেলিংক্যাটসহ ব্রিটিশ সংযুক্তির কথা উল্লেখ করেছে।

খবরে বলা হয়, ইউক্রেন যাদের মাধ্যমে রাশিয়ার সামরিক বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিল তাদের মধ্যে রুশ পাইলটও ছিলেন। দেশটি যে কোনো উপায়ে রাশিয়ার অস্ত্র চুরি করতে চেয়েছিল।

এ জন্য ইউক্রেনের তরফ থেকে এই পাইলটদের ব্যাপক অর্থের লোভ দেখানো হয়। এমনকি বলা হয়, তাদেরকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকত্বও পাইয়ে দেয়া হবে। কিন্তু এসব লোভে শেষ পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি।

আরটি জানিয়েছে, এ জন্য ইউক্রেন বিশেষ এজেন্ট নিয়োগ করে। এই পরিকল্পনায় মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত একটি তদন্ত সংস্থার এক কর্মকর্তা যুক্ত ছিলেন।

ওই সংস্থাটি সাংবাদিকদের একটি গ্রুপ বলে নিজেদেরকে পরিচয় দিয়ে থাকে। এই পরিকল্পনার আওতায় ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং ট্যাংক হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল। বিনিময়ে একজন পাইলটকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ ডলার পুরস্কার দেয়ার লোভ দেখিয়েছিল তারা। ওই পাইলট জানিয়েছেন, মূলত রাশিয়ার অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সু-৩৪ বোমারু বিমান এবং টিইউ-২২ বিমানের দিকে বেশি আগ্রহ ছিল ইউক্রেনের।

ইউক্রেনের এজেন্টরা এ ব্যাপারে রাশিয়ার সু-৩৪ বিমানের একজন পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তাকে ১০ লাখ ডলার পুরস্কার দেয়ার কথা জানায়। প্রথমে ওই পাইলট বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেন নি। কিন্তু পরবর্তীতে ইউক্রেনের এজেন্টদের চাপাচাপির কারণে তিনি বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পারেন।

তবে বড় পুরস্কারের বিনিময়ে মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে চাননি। তিনি দ্রুত বিষয়টি রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়ে দেন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে থাকে রুশ গোয়েন্দারা।

রাশিয়ার এই পাইলট জানান, তাকেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকত্ব এবং আয়েশি জীবনযাপনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। ইউক্রেনের সরকার এবং গোয়েন্দাদের জোরালো বিশ্বাস ছিল যে, এই ধরনের সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখানো হলে রাশিয়ার পাইলটরা সহজেই বিশ্বাসঘাতকতা করে কিয়েভের হাতে বিমান এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম তুলে দেবে।

তবে ঘটে তার উল্টোটা। নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য তারা ইউক্রেনের অনেক সামরিক তথ্য ওই রুশ পাইলটকে প্রদান করেন। সেই তথ্য কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনে একাধিক অভিযান চালায় রাশিয়া।