অনেকটা ভোগান্তি নিয়েই ঈদে বাড়ি ফিরছে মানুষ। ট্রেনে সকালের যাত্রীরা পড়েছেন শিডিউল বিপর্যয়ে। ধুমকেতু, নীলসাগর ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষা করছে হাজার হাজার যাত্রী।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাকার বাস টার্মিনাল, কমলাপুর রেলস্টেশন ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নগরীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের সময়সূচিতে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটেছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত কমলাপুর ছেড়ে যায়নি সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের নীলসাগর এক্সপেস, সকাল ৭টার ধূমকেতু এক্সপেস এবং ৮টা ১৫ মিনিটের সুন্দরবন এক্সপেস। সকালেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অন্তত ২৬টি জেলার বাস ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ব্যবহার করে। তবে পদ্মা বহুমুখী সেতুর দিকে যাওয়া ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, ঢাকার সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনালে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ হাজারো মানুষ কোরবানির উৎসব উদযাপনের জন্য গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য জড়ো হয়েছেন। কিন্তু মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের কারণে তাদের নিজ নিজ বাস পেতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। একই কারণে বাস কোম্পানিগুলো সময়সূচি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেক যাত্রী বাসে করে মাদারীপুর, শরীয়তপুর, খুলনা, বরিশাল ও ফরিদপুর যেতে চাচ্ছেন। এতে বাস টার্মিনালগুলোতে এ বছর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, লঞ্চে যাত্রীরা তাদের নিজ নিজ জেলা বিশেষ করে দক্ষিণের জেলাগুলোতে যাওয়ার জন্য সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ভিড় করেছেন। সদরঘাট টার্মিনালের যাত্রীরা জানান, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী বাসে করে বরিশাল, মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় যেতে শুরু করায় বিগত বছরের মতো তাদের কোনো অসুবিধা হয়নি।