এখনো ভারতের তুলনায় অনেক কম টাকায় পেট্রোল-ডিজেলসহ জ্বালানি কিনছে বাংলাদেশের জনগণ। ভারতে প্রতিদিন রাত ১২টার পরে আন্তর্জাতিক ক্রুড অয়েলের দাম হিসাবে সমন্বয় করা হয় পেট্রো পণ্যের দাম।
সেই হিসাবে আজ শনিবার (৬ আগস্ট) ভারতে পেট্রোলের সর্বোচ্চ দাম মুম্বাইতে ১১১.৩৫ রুপি প্রতি লিটার। সর্বনিম্ন দাম দিল্লীতে ৯৬.৭২ রুপি। কলকাতায় পেট্রোলের দাম ১০৬.০৩ রুপি।
একইভাবে ডিজেলের সর্বোচ্চ দাম মুম্বাইতে ৯৭.২৮ রুপি। ডিজেলের সর্বনিম্ন দাম দিল্লীতে ৮৯.৬২ রুপি। কলকাতায় আজ ডিজেলের দাম ৯২.৭৬ রুপি।
ভারতে বাংলাদেশী টাকার বর্তমান বিনিময় মূল্য কমতে কমতে ১০০ রুপির বিপরীতে মিলছে মাত্র ৭৪ টাকা। সেই হিসাবে হিসাব বলছে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতের মুম্বাইতে বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লিটার পেট্রোল কিনতে সর্বোচ্চ খরচ হবে ১৫০ টাকা ৪৭ পয়সা।
সর্বনিন্ম দিল্লিতে এক লিটার পেট্রোল কিনতে খরচ হবে ১৩০ টাকা ৭০পয়সা এবং কলকাতায় বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লিটার পেট্রোল কিনতে খরচ হবে ১৪৩ টাকা ২৮ পয়সা। যেখানে শুক্রবার দাম বৃদ্ধির পরে বাংলাদেশে ১ লিটার পেট্রোলের দাম দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৩০টাকায়।
একইভাবে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতে এক লিটার ডিজেল কিনতে বাংলাদেশি মুদ্রায় গুনতে হবে ১৩১ টাকা ৪৬ পয়সা। সর্বনিম্ন গুনতে হবে ১২১ টাকা ১২ পয়সা। এবং কলকাতায় বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লিটার ডিজেল কিনতে লাগবে ১২৫ টাকা ৩৫ পয়সা। যেখানে দাম বৃদ্ধির পরে বাংলাদেশে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে মাত্র ১১৪ টাকায়।
এর আগে গেলো বছরের অক্টোবর নভেম্বরে পেট্রোলের জন্য সর্বোচ্চ ১২২.৩২ রুপি প্রতি লিটারে এবং ডিজেলের জন্য ১১৩.২১ রুপি করে দিয়েছে ভারতীয়রা। সম্প্রতি পেট্রোপণ্যের ওপর থেকে সরকারের ট্যাক্স ছাড় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোপণ্যের দাম কমায় নতুন দাম সমন্বয় করেছে ভারত।
বাংলাদেশী মুদ্রার হিসেবে গেল বছরের অক্টোবর নভেম্বর মাসে পেট্রোলের জন্য ভারতীয়রা এখনো পর্যন্ত সবথেকে বেশি দাম গুনেছে ১৬৫.২৯ টাকা এবং ডিজেলের ক্ষেত্রে গুনেছে ১৫২.৯৯ টাকা।
ব্যাপক দাম বৃদ্ধির পরে ভারতে কিছুটা দাম কমায় আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে দেশটির সাধারণ মানুষ। গ্রাহকরা বলছে এই দাম অনেকটাই তাদের গা সওয়া হয়ে গেছে। ভারতে পেট্রোপণ্যের ওপর ট্যাক্স ছাড় দেয়ার পরেও বর্তমানে মূল দামের ওপর প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি ট্যাক্স আদায় করে থাকে ভারত সরকার।
এদিকে বাংলাদেশের তুলনায় পেট্রোল-ডিজেলে উচ্চমূল্য দিলেও ভারতীয়রা শতভাগ পেট্রোল বা ডিজেল পান না। আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে তেল শোধনাগারেই তেলের সঙ্গে মেশানো হয় ২০ শতাংশ ইথানল। গেলো বছর ১০ শতাংশ ইথানল ব্লেন্ডিং করে ভারত সরকার প্রায় ৪১ হাজার কোটি রুপির বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে।