চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইউরোপীয় অঞ্চলে যুক্তরাজ্যের খাদ্য ও পানীয় রফতানি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রফতানি পরিমাণে এ হ্রাসের হার দেখা দিয়েছে বলে জানায় যুক্তরাজ্যের ফুড অ্যান্ড ড্রিংক ফেডারেশন (এফডিএফ)।
এফডিএফের তথ্যে দেখা যায়, গত বছরের এই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে খাদ্য ও পানীয় রফতানি ৪৭ শতাংশ কমেছে।
এফডিএফ জানায়, মূলত ব্রেক্সিটের কারণে যুক্তরাজ্যের ব্যবসাকেন্দ্রিক নীতিতে কিছু পরিবর্তন আসায় রফতানির পরিমাণে এ হ্রাসের হার ঘটেছে। পাশাপাশি কভিড-১৯ মহামারির কারণেও রফতানি হ্রাস পেয়েছে বলে জানায় তারা।
তবে দেশটির সরকারি সূত্র বলছে, ব্রেক্সিটের প্রভাব নিয়ে এখনই কোনো ধরনের চূড়ান্ত উপসংহার টানার সময় হয়নি।
সরকারি মুখপাত্র জানান, জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের সর্বশেষ বাণিজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী মার্চ ও এপ্রিলে ইউরোপে সামগ্রিক রফতানি বেড়েছে। এ দুই মাসের মোট রফতানির পরিমাণ ২০২০ সালে মাসভিত্তিক গড় রফতানির পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে।
অ্যালকোহল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান স্কাই ওয়েভ জিনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সহ-উৎপাদক রেচেল হিকস জানান, ব্যবসায় লালবাতি জ্বলার মতো অবস্থা চলছে। প্রথম প্রান্তিকে ইউরোপীয় অঞ্চলে তার কোম্পানির রফতানির পরিমাণ হঠাৎ করেই হ্রাস পেয়েছে। ফলে তার টার্নওভার ৩০ শতাংশের মতো কমে এসেছে।
ব্রিটিশ খাদ্য ও পানীয়ের রফতানি সবচেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে আয়ারল্যান্ডে। দেশটিতে ব্রিটিশ রফতানির পরিমাণ কমেছে ৭০ শতাংশ। জার্মানি, স্পেন ও ইতালিতে রফতানি হ্রাস পেয়েছে অর্ধেকের মতো। এর আগে কয়েক দশক ধরে বৈশ্বিক রফতানির প্রায় অর্ধেক পরিমাণ খাদ্য ও পানীয় ইউরোপের বাজারগুলোতে সরবরাহ করত যুক্তরাজ্যের উৎপাদকরা।
ইউরোপীয় অঞ্চলের ব্রিটিশ খাদ্য ও পানীয়ের রফতানি কমলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অঞ্চলের বাইরে ব্রিটিশ পণ্যের রফতানি সরবরাহ দাঁড়িয়েছে মোট রফতানির ৫৫ শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোতে ব্রিটিশ রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে চীনে রফতানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।